মা দুর্গা ও ওনার আদরের গণেশ এর চিত্র অঙ্কন || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য।
নমস্কার বন্ধুরা 😊।আজ আমি খুব আনন্দের সাথে একটি অঙ্কন শেয়ার করতে চলেছি। একটু আগেই এই চিত্রটি আঁকলাম।
চিত্রটি বিখ্যাত চিত্র শিল্পী যামিনী রায় এঁর একেবারেই অন্যরকম চিত্র শিল্পের অনুকরণে তৈরি করেছি। যামিনী রায় এর চিত্রকলার অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য আপনারা এই চিত্র দেখেই বুঝতে পারছেন। বাঙালি সংস্কৃতির ওপর তিনি নিজেও আদব কায়দায় খুব সহজে যেভাবে প্রত্যেকটি চিত্রকে পরিবেশন করেছেন সকলের সামনে তা বড়োই আকর্ষণীয়।
তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক -
কিভাবে যামিনী রায় এঁর চিত্র কল্পে র সহায়তায় খুব সহজে ,আঁকবেন মা দুর্গা ও ওনার আদরের গণেশ কে ।
প্রথম ধাপ
নিয়ে নিয়েছি একটা ড্রইং খাতা ,পেন্সিল আর রবার। তারপর পৃষ্ঠার একপাশে আমি মা দুর্গার মুখের গঠন তৈরি করা শুরু করেছি। সাধারণ মানুষের মুখের গঠন এখানে বানানো যাবেনা। ঠিক যেমন আমি করেছি ,মুখখানা ঠিক কড়াইয়ের তলদেশের মতো। চোখগুলো টানা টানা বোঝা যাচ্ছে। এমন এবং বড় বড় দৃষ্টিকটু নয় বরং আকর্ষণীয় এবং অদ্ভুত।
দ্বিতীয় ধাপ
মায়ের মুখ যতটা মিষ্টি করা যায় সেই প্রয়াস আমি করেছি তারপর আস্তে আস্তে এগিয়েছি মুকুট এর দিকে তারপর এগিয়ে গেছি মায়ের কোলে বসে থাকা তার আদরের গণেশ এর দিকে। আমি যেভাবে ছবি দিয়েছি আশা করি আপনাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না।
তৃতীয় ধাপ
গণেশ ঠাকুরের চেহারার পরিপূর্ণতা দেওয়ার চেষ্টা করেছি সাথে মায়ের বর্ষণের দিকে কিছুটা অঙ্কনে এগিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
একটা কথা না বললেই নয়। যতই বেতাল ভাবে এই ছবি দেখতে লাগে কিন্তু এর মধ্যে রয়েছে জ্যামিতিক মাপ এর নির্ভুল প্রতিচ্ছবি। যামিনী রায় এর চিত্রগুলি কে খেয়াল করলে দেখতে পাওয়া যাবে প্রত্যেকটা চিত্রের মাপ গঠন একেবারেই অটল। আমিও সেই ভাবেই চেষ্টা করেছি কাজ করার। ছবিগুলি কে দেখে যতটা সহজ বলে মনে হয়, আঁকতে গেলে বেশ চারি দিকে খেয়াল রাখতে হয়। আমি বুঝিয়ে বলতে পারবোনা। আমার মতে আপনারাও একবার এইভাবে ছবি এঁকে দেখুন।
আমাদের পেন্সিল এর সাহায্যে অঙ্কন পদ্ধতি শেষ।
এবার আমরা রং করব।
পঞ্চম ধাপ
আমি এখানে কাঠ পেন্সিল রং ইউজ করেছি। আপনারা চাইলে যে কোন প্রকারের রং ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমেই একটা হালকা কমলা রঙের রং দিয়ে মায়ের শরীরে রং করেছি। তারপর লাল টুকটুকে রং দিয়ে মায়ের শাড়ির রঙ শুরু করেছি।
ষষ্ঠ ধাপ
সবুজের ওলানের মেলবন্ধন করার চেষ্টা করেছি এবং সাথে আকাশী রং দিয়ে গণেশের ধুতি রং করেছি।
সপ্তম ধাপ
এবার চিত্রটি কে আরো আকর্ষণীয় বানাতে একটি মার্কারের সাহায্যে কাল বর্ডার দিয়েছি নির্দিষ্ট জায়গাগুলিতে। যার ফলে চিত্রটি আরো ফুটে উঠেছে।
ফাইনাল চিত্র
আশা করছি সকলের আমার পোস্ট ভালো লাগবে। আপনাদের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম। আপনারাও বাড়িতে চেষ্টা করুন। গুগলে প্রচুর যামিনী রায় এঁর চিত্র রয়েছে সেখান থেকে আপনারা ওনার আর্ট ফর্ম এর ব্যাপারে জানতে পারবেন। সকলে ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।
নমস্কার।
সত্যিই চমৎকার চিত্রাংকন করেছেন। আপনি যেমন ভালো গান করেন ঠিক তেমনি ভালো আর্ট করেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপু।
একেবারেই এমন না। আমি গান করতে খুব ভালোবাসি। তাই চেষ্টা করি ভালো করার। কিন্তু ভালোর তো কখনো শেষ হয় না। তাই অনেকটাই আফসোস থেকে যায়। ঠিক তেমনই। পড়াশোনার ফাঁকে টুকিটাকি ছবি আঁকতে বেশ পছন্দ আমার। তাও আমি ভালো পারি না। শুধু যেটুকু পারি এটুকুতেই মজা লাগে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
অনেক সুন্দর আকিয়েছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি তো খুব সুন্দর আঁকেন দেখছি।
সত্যিই খুব সুন্দর লাগছে,বিশেষ করে গণেশ কে অনেক কিউট লাগছে।
আগে জানতাম আপনি ভালো গান করেন আর এখন দেখছি সুন্দর আঁকেন ও।
না না ওরকম কোনো ব্যাপার নয়। আমার ছবি আঁকতে মাঝেমধ্যে ভালো লাগে। পড়াশোনার ফাঁকে যখন খেয়ে কাজ পায় না তখন ঐ টুকিটাকি ছবি আঁকি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পেইন্টিং খুব ভাল এবং ব্যাখ্যাটি সহজেই বোঝা যায়।
ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।
সত্যি আপনি অনেক সুন্দর আর্ট করেন। সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা।
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দিদি আপনি তো অনেক সুন্দর আঁকেন।আপনার আঁকা দেখে আমি মুগ্ধ।আপনি গান ও অসাধারন করেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
বৌদি প্রণাম নেবেন। আপনার মন্তব্য পড়ে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আসলে বৌদি আমি ছবি সেরকম আঁকি না। খুব কম যখন একেবারেই কি করব বুঝতে পারছি না ,তখনই ছবি আঁকতে মন চায়।
অনেক সুন্দর হয়েছে। মা দুর্গার কোলে তার সন্তান গণেশ ঠাকুর ।দারুণভাবে অঙ্কন করেছেন। উপস্থাপনা ও ধাপে ধাপে খুবই ভালো হয়েছে। শুভ কামনা দিদি
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দারুণ হয়েছে অঙ্কনটি দিদি।খুব সুন্দর লাগছে মা ও তার পুত্রকে।ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।ভালো থাকুন।