বাড়ীর ফসল|| ১০% বেনিফিট বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আমি অনেকদিন পর আপনাদের সাথে একটা অন্যরকম গল্প শেয়ার করছি। আজ আমি আমার বাড়ির অর্থাৎ আমার মা এর নিজে হাতে লাগানো গাছ গুলোর কথা বলব।
প্রথমেই দেখাচ্ছি হলুদ গাছ।এই হলুদ গাছ নাকি আপনা আপনি হয়েছে। মা এটা লাগায়নি। আমি বুঝতে পারিনি প্রথমে যে ওটা হলুদ গাছ। যখন এক ঝুড়ি হলুদ হল। মাটির নিচ থেকে হলুদ গুলো বার করছিলো। বেশ আনন্দ হচ্ছিল। নিজের বাড়ির জিনিস এর কথাই আলাদা।
তারপর শেয়ার করছি মিষ্টি কুমড়া গাছের ছবি। আমার মিষ্টি কুমড়ো খেতে খুব ভালো লাগে। অনেক ভালোবাসি । বাড়িতে ছোটো চিংড়ি দিয়ে মিষ্টি কুমড়ো রান্না করলে ।আমার তো ওই দিয়ে ভাত খাওয়া হয়ে যায়। আবার মিষ্টি কুমড়া ভাজাও অনেক ভালো।
আমাদের বাড়িতে হঠাৎ করে এই গাছ হয়। তারপর বাইরের বাথরুমের জানালা উপর দিকে উঠে যায়। দেখতে দেখতে প্রায় তিরিশ টা মিষ্টি কুমড়া ধরে গেছিল। সেগুলো যখন এক এক করে হওয়া শুরু হলো মায়ের তো আনন্দের ঠিকানা নেই ।তারপর হয়ে যাওয়ার পর মিষ্টি কুমড়ো গুলো কেটে কেটে ভাগ করা হলো পরিচিত সকলকে দেওয়ার জন্য।
এবারে দেখাই ভেন্ডী অথবা ঢেঁড়স গাছ। আমি এর ভাজা খেতে খুব ভালোবাসি।আমাদের বাড়ির ছাদ এ এই গাছ হয়েছিল। তারপর কিছুদিন আমাদের পেটের বদলে হনুমান এর পেটে ঢুকেছে বেশি। তারপর হনুমান এর অত্যাচারের হাত থেকে কোন রকমে রেহাই পেয়ে পেটের মধ্যে ঢুকে ছিল। ভাঁজা করে খেয়েছিলাম।
লঙ্কা গাছ তো সবার বাড়িতেই থাকে এখন। আমাদের বাড়ির ছাদ এও এই গাছ ছিল। সারা বাড়িতে আমাদের টোটাল চারটে লঙ্কা গাছ আছে।
মা শসা গাছ লাগিয়েছিল , এরপর দুই জায়গায় শসা হয়েছে। অনেক বড়ো বড়ো । মাঝে মধ্যেই দুটো তিনটি করে ধরত। এখন সেই গাছ আর নেই । মরে গেছে। কিন্তু শসা আমার অনেক পছন্দের জিনিস।
এবার আসি বেগুনে। বাড়িতে বেগুন গাছ লাগানো হলো। তারপর যখন বেগুন ধরলো। হনুমান খেয়ে উল্টে তুললো। তারপর বেগুন আমরা কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখতাম।আর এই করে করে কয়েকটা বেগুন আমাদের পাল্লায় পড়েছে। বাকী হনুমান এর পেটে।
বুঝতেই পারছেন হনুমান এর উৎপাত কত আমাদের এখানে। যাইহোক, আশা করছি আমার আজকের এই বাড়ির সবজি গুলোর পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে । সকলে ভালো থাকুন। নমস্কার।
@isha.ish
ওয়াও দিদি অসাধারণ, আপনার বাড়ির শাক সবজি ফসল গুলো দেখে আমি রীতিমত হতভম্ব, খুবই সুন্দর শাক সবজি ফসলের আবাদ করেন জেনে খুবই ভালো লাগলো, বাড়িতে শাক-সবজির আবাদ করে খেলে মন ও তৃপ্তি ভরে যায়, প্রথমে বলি দিদি হলুদ গাছ আপনিও লাগান নাই আপনার পরিবারের কেউই লাগান নাই, তাহলে হলুদ গুলো কিন্তু আমার আমাকে দিয়ে দিবেন। আপনি খুবই সুন্দর দেশী শশা গাছ সহ আমাদেরকে দেখিয়েছেন, দেশী শশা গাছ তো দূরের কথা দেশী শশা বাজারে পাওয়া যায় না। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল দিদি আপনার জন্য।
হিহিহিহি, খুব সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন দাদা। অনেক ভালো লাগলো। আর হ্যাঁ দেশি জিনিস এর স্বাদই আলাদা।
পরিপূর্ণ একটি ফ্যামিলির জন্য যা যা সবজির প্রয়োজন, সম্পূর্ণ মনে হচ্ছে আপনার এই বাগানে রয়েছে। খুব ভালো লাগলো বাড়ির আশেপাশে এভাবে বাগান করলে, আসলে মনটা ভালো থাকে। ধন্যবাদ দিদি খুব সুন্দর কিছু বাড়ির আশেপাশের সবজির ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন সব সময় এই কামনা করি
নিজেদের লাগানো গাছ গুলোতে যখন ফলে ভরে যায় তখন সত্যি অনেক ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আমার আম্মু বাড়ীর আশে পাশে এইসব গাছ লাগায় চিচিঙ্গা গাছ ,পেয়ারা গাছ, মিষ্টি কুমড়া গাছ ,লাউ গাছ, বেগুন গাছ, মরিচ গাছ। আমার ঐসব ফসল দেখতে খুবই ভালো লাগে। এবং যখন নিজের গাছ থেকে তুলে রান্না করে খেতে খুব ভালো লাগে। তোমার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
নিজেদের হাতে লাগানো বাড়ির জিনিস খাওয়ার অন্যরকম একটা মজা আছে দিদি। আপনার মায়ের মত আমার মাও গাছপালা লাগানোতে বেশ সৌখিন। 😊😊। অনেক ভালো থাকবেন।
বাড়িতে সবজির বাগান করে ফেলেছেন দেখছি। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনার নিজের বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের সবজির গাছ দেখে। বিশেষ করে হলুদের গাছের গল্প টা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা। অনেক শুভেচ্ছা রইল।
সত্যি আপু ধাপ ধাপ অনুযায়ী আপনি খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করছেন। আর আপনার কারনে আজ আমি জীবনের প্রথম শসা গাছ দেখি। আর নিজেদের বাগানের টাটকা সবজি খাওয়ার মজাই অন্য রকম।
হ্যাঁ একদম তাই টাটকা সবজি চোখের সামনে বেড়ে উঠতে দেখা এবং তারপরে খাওয়া একটা অন্যরকম মজা।
আরে বাহ! দারুণতো অনেক কিছুই দেখতে পাচ্ছি আর অবাক হচ্ছি। আসলে আমাদের ইচ্ছাশক্তিটাই বড় বিষয়, চেষ্টা করলেই সব হয়ে যায়। আমার কাছেও দৃশ্যগুলো বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে শসাগুলোতে আমার দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছে আর বলছে আয় আয় আয়। আর মিষ্টি কুমড়া এবং ঢেড়স আমিও প্রায় গ্রামের বাড়ী হতে নিয়ে আসি। বাড়ীর জিনিষ খেতে বেশ মজা ও স্বাদ লাগে। ধন্যবাদ
আমার দাদা তো হাসতে অনেক পছন্দ করে তাই জন্য শসা গুলো দাদার দিকে তাকিয়ে হেসে দিয়েছে 😊😊। ভেজাল ছাড়া খাঁটি জিনিস খাওয়ার মজাই আলাদা আলাদা। অনেক ভালো থাকবেন।