পর্দার পেছনের গল্প পার্ট -৩|| ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা ।আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের আশীর্বাদে ভালো রয়েছি। কালকে যেখানে আমি আমার গল্পটা শেষ করেছিলাম ,সেখান থেকেই শুরু করছি আবার।
আসলে ফটোগ্রাফী কনটেস্ট এর জন্য আমার যা যা অভিজ্ঞতা হয়েছে ,আমি হয়তো কখনোই ভুলতে পারবো না ।একেবারেই একটা নতুন অভিজ্ঞতা ছিল ।সাথে আমি অনেক মজা করেছিলাম ।
খেজুর গাছের ছবি তোলা হয়ে যাওয়ার পরে ওই বাগান থেকে বেরিয়ে আমাদের পরিচিত ওই দুধওয়ালার সাথে আমরা পাশেই কিছু জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। তখনই একটা সরষে ক্ষেতের মধ্যে প্রবেশ করলাম। সরষে ক্ষেতের যে ছবিটা আমরা সচরাচর দেখি হলুদ ফুলে ভরা, সেই ছবিটা আমিও চেয়েছিলাম ,কিন্তু ওই সময়ে সর্ষের ফুল ছিল না, তবে গাছের সাথে যে শিশির লেগে ছিল,তা অপূর্ব দেখাচ্ছিলো ।
তাই ফটোগ্রাফি করে ফেললাম ।আর সেই ছবি ও সেই ফটোগ্রাফী কনটেস্ট এর মধ্যে আমি দিয়েছিলাম ।সকাল সকাল মাঠে চাষাবাদ শুরু হয়ে গিয়েছিল ,যে যার মত নিজেদের ক্ষেতে এসে কাজ করা শুরু করে দিয়েছিল।
ওখান থেকে কিছুদূর হাঁটতে হাঁটতে আমরা পোঁছে গেলাম দুধওয়ালার বাড়িতে ।বাড়িতে গিয়ে চা খেলাম। খেয়ে রওনা হলাম অন্য জায়গার উদ্দেশ্যে । দুধ ওয়ালা রাস্তা দেখিয়ে দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। আমরা গাড়ি করে পেছন পেছন আসছিলাম।
চারিদিকে ফাঁকা জমির উপর দিয়ে গাছের ফাঁক দিয়ে সকালের সূর্য টা দুর্দান্ত দেখতে লাগছিল। গাড়ির মধ্যে থেকে বসেই আমি সামনে দুধ ওয়ালা সাইকেল নিয়ে চলে যাচ্ছে ওরকম একটা ছবি ক্যাপচার করেছিলাম। যেটা আমি ফটোগ্রাফী কনটেস্ট দিয়েছিলাম।
তারপর আমরা একটা বটগাছের সামনে যাই, সেই বট গাছের পাশেই একটা দুর্দান্ত সবুজ অংশ ছিল ,সেখানে ঢুকে ঘাসের উপর শিশির বিন্দুর একটা ছবি আমি শেয়ার করেছিলাম ।সব মিলিয়ে খুবই ভালো লেগেছে পরিবেশ ।এদিক ওদিক ঘুরে ঘুরে যা যা মনে হয়েছে, সব ছবিগুলো ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম ।
তারপর বাড়িতে এসে সবথেকে ভালো ছবিগুলোকে সিলেক্ট করে তারপর কনটেস্ট এর জন্য সাজিয়েছি আর নিচের কবিতা গুলোও লিখেছি। আর সবচেয়ে বড় কথা ,এই কাজটা কখনোই করতে পারতাম না যদি না আমার মা রাজি হতো ,আমাদের ড্রাইভার কাকু আমাদের সাথে যেত এবং বিশেষ করে দুধওয়ালা সাহায্য যদি না করতো।
বাড়িতে বাড়িতে দুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন উনি। সকালে নিজের গরু গুলোর আর ২০ জনের বাড়ির গরুর দুধ দোয়ান আর তারপর বিক্রি করেন । নিজের কাজ ফেলে আমার সাথে সময় দিয়েছেন উনি।ওনার কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ।
যাইহোক বাড়িতে খেজুরের রস দুবোতল এনেছি, আর বাকি তিন বোতল পাশের বাড়ির বৌদি ,কাকু নিয়েছে। খেজুরের রস খুবই সুন্দর ছিল। মিষ্টি ছিল।একদম টাটকা গাছ থেকে পাড়া রস কজন পায়!!আমার মা তো দেড় গ্লাস খেয়েছে বাড়ি এসেই। বাড়ি ফিরতে ফিরতে সাড়ে আটটা বেজে গিয়েছিল। তবে ভীষণ মজা করেছি।
আমার কনটেস্ট এর রেজাল্ট বেরোনোর পর,আমাদের বাড়িতে যখন আমাদের দুধ ওয়ালা কাকু এসেছিলেন। আমি এক প্যাকেট মিষ্টি কিনে দিয়েছি ওনার বাড়ির জন্য। উনি অনেক খুশি হয়েছেন। আর আমাকে অনেক আশীর্বাদ করেছেন । সকলের কাছ থেকে পাওয়া এই আদর গুলো আমার বড় সম্পত্তি ।
কিন্তু কথা হলো আমি চেয়েছিলাম এমন একটা ছবি , যেখানে থাকবে খেজুর গাছ ,আর শিউলি গাছ কাটতে এবং হাঁড়ি বাঁধছেন , সেদিন কে সেটা সম্ভব হয়নি ,কারণ ভোরে সেই কাজটা করেন না ।এটা দুপুরবেলার কাজ।এই নিয়ে পরে আবার আমি বেড়িয়েছিলাম।সেটার ব্যাপারে কাল বলবো।
আজ এখানেই পোষ্ট শেষ করছি। সকলে ভালো থাকুন।
@isha.ish
আপনার আজকের পোস্টটি খুব অসাধারণ হয়েছে। আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর করে কথাগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই দুর্দান্ত হয়েছে । আপনি খুব সুন্দর করে ছবিগুলো তুলেছেন এত সুন্দর পোস্ট মাঝে মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকুন
মিস করলাম সুবর্ণ সুযোগটি আমিও মিস করলাম, আজ বহু দূরে বলে স্বাদের রস খাওয়া হলো না। তবে হ্যা, ফটোগ্রাফিগুলো দেখে হৃদয়টা জুড়িয়ে গেলো রে বোন। অনেক সুন্দর ক্যাপচার করেছেন। সবুজ প্রকৃতির এই দৃশ্যগুলো বড্ড বেশী মায়া জাগায় হৃদয়ে। ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ দাদা। আপনি বোন বলে ডাকলে খুব ভালো লাগে আমার। আর সত্যিই দৃশ্য গুলো অসাধারণ ছিল, ছবিতে যা লাগছে,তার থেকে আরও অনেক ভালো।