আহ্লাদে ঘোরাঘুরি আর লেখা
ওরা যখন এমনই সুন্দর, তাহলে এডিট করবো কেন ? হ্যাঁ ,ওদের মধ্যে আমিও আছি কিন্তু 🤭। বাড়ি আসলেই বাবার সাথে জেদ ধরি এদিক ওদিক ঘুরতে যাওয়ার। আর কলকাতায় থাকলে বন্ধুদের নাজেহাল করি। আমার মতে হাতে আমাদের প্রচুর সময়, চুপ করে বসে দুশ্চিন্তা করার চেয়ে একটু ঘোরাঘুরি করা ভালো। আর না হলে কাজে ব্যস্ত থাকা ভালো। প্রত্যেকদিন এই একটু করে বাইরে বেরোনো যেন অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে।
জানলার ধারে বসে
বৃষ্টি দেখতে ভালো লাগে।
রাতের ছাদ থেকে চাঁদ।
গাড়ির সানরুফ দিয়ে সূর্যের হাসি।
আর,
ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে, ' তোমাকে '।
স্পর্শের বাইরে কিন্তু চোখের বাইরে নয়।
বাবাকে কাজের সূত্রে মাঝেমধ্যে শহরের বাইরে একটু যেতে হয়। সেদিনও একটা মিটিং ছিল। রানাঘাট বিডিও অফিসে। আমার সেখানে কোন কাজ না থাকলেও বাবার সাথে জেদ ধরলাম। বেশি জেদ করতে হয়নি। একবার দুবার বলাতেই রাজি হয়ে গেল। তারপর গান শুনতে শুনতে গল্প আড্ডা করতে করতে পৌঁছে গেলাম রানাঘাট বিডিও অফিস। স্যারের সাথে কিছুক্ষণ মিটিং করার পর, মূর্তিগুলো নিয়ে আলোচনা হল। তারপর আমরা আবার রওনা দিলাম ওখান থেকে।
রাস্তা শেষ না হোক,
এগোতে থাকব।
সময় যেভাবে এগোচ্ছে।
আমরাও এগিয়ে যাব।
তোমাকে সাথে নিয়ে সারা পৃথিবী ঘুরবো।
তুমি থেমে গেলে,
তখন না হয়,
আমিও তোমাতে থেমে যাব।
' তুমি ' আমার আমি।
ওখান থেকে রওনা হয়ে আবার গেলাম বেথুয়ার দিকে। আমার বাবার এক বন্ধু নীলাদ্রি কাকুর বাড়িতে। কাকু বেশ দারুন লেখালেখি করে ,সাথে সরকারি কর্মরত। এর পাশাপাশি আবার ব্যবসা ও করে। একটা মানুষ কি করে যে এত কাজ সামলায় আমি নিজেই অবাক হয়ে যাই। বাড়ির নিচের তলা জুড়ে খালি বই আর বই। নীলাদ্রি কাকুর বাড়িতে বেশ অনেকক্ষণ সময় কাটালাম। বেরিয়েছিলাম বিকেলের দিকে। আর ফিরতে ফিরতে বেশ রাত হল।
তবে সময় গুলো বেশ ভালোভাবে কেটেছিল। সবথেকে বেশি মজা পেয়েছি নীলাদ্রি কাকুর বাড়িতে গিয়ে। কাকু একটা কবিতা পড়ে শোনাতে গেলে আমিও আমার লেখা কবিতা পড়তে থাকি। কাকু গানও গাইতে পারে। তাই আমার সাথে আসর ভালই জমে উঠেছিল। আসরের মাঝেমধ্যে কাকিমা এসে এসে নানান ধরনের খাবার দাবার দিয়ে যাচ্ছিলেন। বেথুয়া শহরের সেরা একটা মিষ্টি খেলাম সেদিন। মিষ্টিটার নাম আমার শোনা হয়নি কিন্তু খেতে দুর্দান্ত লেগেছিল।
ঘোরার তালে তালে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করা হয়ে গেছে। সাথে নিজের দুটো দুর্দান্ত সেলফি তুলেছি।ফটোগ্রাফি অন্যদিন দেখাবো। আজ এখানেই শেষ করলাম।
সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
@isha.ish
দিদি দিদি দিদি
আপনি সত্যিই এক হিরোইন৷আপনাকে গাড়ির ভেতরে চশমা পরে যে ছবিটি তুলেছেন অসাধারণ ৷আর হ্যা দিদি ঘুরাঘুরি করতে আনন্দটাই আলাদা ৷
আর আপনার একটা কথা খুব ভাল লেগেছে৷
হায় রে, আমি তো মজা করছিলাম , আপনি আমাকে হিরো বলেছেন বলে ভুল ধরিয়ে দিচ্ছিলাম ।যাইহোক। তবুও সত্যি কথা বলেছেন ,, মেনে নিতেই হয়🤭🤭
আপু আপনি আজকে সকাল বেলায় এই ছবিটা ডিস্কডে দিয়েছিলেন দেওয়ার পরে বলেছিলেন ছেলেরা হিরো মেয়েরা হিরোইন দেখে বোঝা যাচ্ছে একদম ঠিক বলেছিলেন আপু। সত্যি আপু আপনাকে দেখতে হিরোইন লাগছে। আপনি ঘোরাঘুরি করেছেন এই বিষয়ে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপু।
হাহাহা, দাদা আসলে, আমার একটা পোস্টে গোপিরায় দাদা ভুল কমেন্ট করেছিল। তাই ওরকম বলেছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
দিদি আপনার জিদ ধরা সাথক হয়েছে ,আপনার পোস্ট দেখে বুঝা যাচ্ছে আপনি দিন টি অনেক ভাল ভাবে আর খুব আনন্দের সাথে উপভোগ ।মাঝে এই রকম জিদ ধরে যদি সাথক হয় আসলে মনের অনেক ভাল লাগে ।
হ্যাঁ, ধন্যবাদ আপনাকে ।
বাহ সুন্দর একটি বাক্য পেলাম স্পর্শের বাইরে কিন্তু চোখের বাইরে নয়। আসলেই আমরা অনেক কিছু হয়তো স্পর্শ করতে পারি না। কিন্তুু আমাদের চোখের বাহিরে না। খুব ভাল লাগলো ধন্যবাদ।
হ্যাঁ, বাক্যটা ওই লাইন গুলোর সাথে মিল খায়। তাই লিখেছিলাম।