শুভ জন্মদিন বাবা || কিছু ভালোবাসার মুহূর্ত|| ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আমার প্রথম কভার পিক দেখেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন আজকে কি। হ্যাঁ আজকে আমার বাবার জন্মদিন। বাবা ৪৯ এ পা দিলেন।
যবে থেকে একটু বুঝতে শিখেছি, নিজের মতো করে আয়োজন করার ক্ষমতা এসেছে ।তবে থেকে চেষ্টা করি বাবার জন্মদিন টি নিজের মতো করে ঘরোয়াভাবে একটু পালন করার। তবে হ্যাঁ আমি বাবার জন্মদিনটি দুপুরবেলায় পালন করি।
হিরো বাবু
এখানে চারদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি ।আমি একটুখানি ভয়ে ভয়ে ছিলাম যে আজকের দিনে আমি বের হতে পারব কিনা। তবুও যখন বারোটার পর বৃষ্টিটা একটু কমলো, তারপরেই ছাতি মাথায় দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম মার্কেটের দিকে। তারপর দুটো তিনটে দোকান ঘুরে একটা দোকান থেকে কেক কিনে ফেললাম। দোকানটির নাম সামার কুল।
কেকটা নিয়ে আমার একটু সন্দেহ ছিল কারণ ওই যে সবকিছুই ভালো করতে চাই ।তো লোকে যতই ভালো বলুক যতক্ষণ না নিজে বুঝতে পারছি ,নিজে ভালোভাবে করতে পারছি। মনে শান্তি আসে না।
সামার কুল দোকান
তো যাই হোক সেখান থেকে বেরিয়ে গেলাম ডেকোরেশন এর কিছু জিনিসপত্র কেনার জন্য ।আর তারপরে গেলাম বাবার জন্য কিছু কিনতে, আমি আগের বছর থেকে অর্থাৎ স্টিমিট থেকে যখন থেকে টাকা রোজগার করতে শিখেছি ,আমি বাবাকে কিছু না কিছু কিনে দিই। এর আগে মায়ের কাছ থেকে টাকা চেয়ে কিনতে যেতাম।
এখন বলতে গেলে বাবা যা জামা কাপড় পড়ে ,যা টি-শার্ট ,শার্ট পরে সব আমি কিনে দিই মাঝেমধ্যে।
ডেকোরেশন
আগের বছরের জন্মদিনে বাবাকে একটি উলিকটের সোয়েটার দিয়েছিলাম ।ওই একটা সোয়েটার বাবা এতই পছন্দ করে যে, শীতের সময় যেখানে যায় এটা পড়েই যায়, বাড়িতে আরো অনেক সোয়েটার রয়েছে ,কিন্তু ওগুলো পড়তে চায় না।
বাবা নিজের জন্য জামা কাপড় খুব কম কেনে ।মার্কেট যাওয়াই নাকি আলসেমি! আমি আর মা গিয়ে কিনে নিয়ে আসি। তাই এবারেও ঠিক ওই একই দোকান থেকে ওরকমই একটা জিনিস কিনলাম। উপরটা একদমই সোয়েটারের মত কিন্তু ভেতরটা উলিকোট এর। দুর্দান্ত লাগলো আর কিনে ফেললাম।ছবিতে বাবা যেটা পড়ে রয়েছে , সেটাই।
জন্মদিনের কেক
তারপর বাড়ি এসে ছোটখাটো একটু ডেকোরেশন হলো। ঈশান আমাকে সমস্ত বেলুনগুলো ফুলিয়ে দিয়েছে। এর জন্য একটা হাততালি হওয়া চাই।
হ্যাপি বার্থডে টু ইউ
মা সকাল বেলা থেকে বাবার জন্য নানান ধরনের রান্না করছিলেন ।বাবা সাধারণত , আমরা আজকালকার ছেলেমেয়েরা যে সমস্ত খাবার পছন্দ করি ,সেগুলো খেতে খুব একটা পছন্দ করেন না। একদম বাঙালি খাবার বাবা খেতে ভালোবাসেন।
কাটাকাটি
তো সেই মতই মা সকাল থেকে রান্নাবান্না করছিলেন। দুপুর দুটোর পর আমরা চারজন মিলে এবং আমার এক দাদা ছিল সাথে কেক কাটা হল। বাবা ওই আমার দেওয়া সোয়েটারটা পেয়ে খুবই খুশি ।খুবই পছন্দ হয়েছে বাবার এবং আজকে সারাদিন ওই পড়েই এদিক-ওদিক করছিল।
হালুম
এত ধরনের রান্না করে মায়ের মুখ চোখ শুকিয়ে গেছে বলা যেতে পারে। যাইহোক সবাই মিলে বেশ মজা করলাম। তারপর বাবাকে খেতে বসানো হলো। বাবা আনন্দের চোটে একে ওকে ফোন করে খাবার এর রকমসকম দেখাচ্ছিলো ।আর সত্যি বলছি কেক টা দুর্দান্ত খেতে ছিল ।এটা আসলে আইস কেক ছিল ।রেড ভেলভেট এর উপর ।আমার যে সন্দেহ ছিল তা পুরোপুরি দূর হয়ে গেছে। একদমই টাটকা ছিল। কেকটা খুবই সুন্দর খেতে ছিল।
আমরা চার জন
এই যে দেখুন কি কি রান্না হয়েছিল
১.ভাত
২.ভেজ ডাল
৩.পালং শাক , সরষে শাক, মুলো শাক, ফুলকপির শাক ভাজা ৪.ফুলকপি ভাজা
৫.আলু ভাজা
৬.মিষ্টি কুমড়ো ভাজা
৭.বেগুন ভাজা
৮.রুই মাছের কালিয়া
৯.মরোলা ছোট মাছের চচ্চড়ি
১০. খাসির মাংস
১১.পায়েস
১২.টমেটো চাটনি
আর সাথে ছিল দই ,মিষ্টি।
ভাববেন না যে বাবা সব একাই খেয়েছে আমরাও কিন্তু মাঝে মধ্যে ভাগ বসিয়েছি। যাইহোক পুরো দিনটি এভাবেই কেটে গেল। বিকেল বেলা থেকে আমার পাশের দুই বাড়ি আর আরো কয়েকজন মিলে একটু লুচি, আলুর দম ,আর নলেন গুড়ের রসগোল্লা উপভোগ করা হয়েছে।
পুরো দিনটি খুব ভালোভাবে মজা করে কাটিয়েছি। হ্যাঁ তবে আমার ক্লাসগুলো মিস গেছে ।
আশা করছি আপনাদের সকলের এই পোস্টটি ভাল লাগল ।ভগবান সকলের মঙ্গল করুক। সকলকে ভাল রাখুক। মা-বাবা আমাদের জীবনে যে স্থানে থাকে ,সেটা একেবারেই আলাদা একটা জায়গা ।তাদের সঙ্গ খুবই দরকার ।আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি আমরা চারজন যেন এভাবে থাকতে পারি সারাটা জীবন।
বন্ধুবান্ধব ভাই বোন এদের জন্মদিন পালন করলেও সবসময়ই আড়ালে থাকত বাবা মায়ের জন্মদিন টা। কিন্তু আপনি বাবার জন্মদিনটা যেভাবে পালন করেছেন এটা সত্যি প্রশংসনীয়। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এবং কেক টা দেখতে বেশ লাগছে।
স্টিমিট সত্যি আমাদের অনেকটা সফলতা দিয়েছে। এখন আর কিছু করার জন্য বাড়িতে টাকা চাওয়া লাগে না। এবং সেটা হয় সবচেয়ে আনন্দকর মূহুর্ত যখন নিজের ইনকাম দিয়ে মা বাবার জন্য কিছু করতে পারি। দারুণ পোস্ট ছিল দিদি।।
হাহাহাহা, আমার পাল্লায় পড়লে তো কোনো কিছুই আড়ালে থাকেনা। হ্যাঁ স্টিমিট সত্যিই খুব ভালো একটা জায়গা করে দিল।
অনেক অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া রইলো আংকেল এর প্রতি, জীবনের বাকিটা সময় আরো বেশী সুখময়, আরো বেশী আনন্দময়, রঙিন ও উজ্জ্বল হোক, এই প্রত্যাশা করছি।
শুভ জন্মদিন আংকেল।
অনেক ধন্যবাদ দাদা , খুবই ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। ভালবাসা ❤️
প্রথমেই আপনার বাবাকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা। দোয়া করি আপনার বাবা যেনো সব সময় সুস্থ সবল এবং হাসিখুশি থাকে। আর আয়োজন কিন্তু বেশ ভালোই হয়েছে। এই ঘরোয়াভাবে আয়োজনগুলো আমার কাছে সব সময় খুব ভালো লাগে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি।
দিদি আঙ্কেল কে জন্ম দিনের শুভেচ্ছা। আঙ্কেল যেনো সব সময় সুস্থ ও সবল থাকেন।এবং এ রকম যেনো হাসি খুশি থাকে সারাজীবন এই কামনা করি। আঙ্কেল এর জন্মদিনের আয়োজনটা খুব সুন্দর ছিল। ঘরোয়া জন্মদিন আমার খুব ভালো লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝলাম খুব সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন। পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে আনন্দ করার মজাই আলাদা। এত সুন্দর একটি দিন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
হ্যাঁ, কাল পরিবারের সাথে বেশ মজা হয়েছে,। বাইরে বৃষ্টি ছিল, তাই বাড়ির মধ্যেই মজা, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বৌদি ❤️❤️
দিদি, আংকেলের জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো।
দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আপনার পরিবারের সবাইকে অনেক হাসিখুশি দেখা যাচ্ছে। একটা বিষয় খেয়াল করলাম, আন্টির চেহারার সাথে আপনার চেহারার অনেক মিল আছে।
❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️
হ্যাঁ, মা এর সাথে আছে, বাবার সাথেও আছে😩
শুভ জন্মদিন গুরুদেব। ❤️❤️
কথা হল ,, এমন সোয়েটার আমার বেলায় যত দোষ করে। নিজে আবার ঠিকই পছন্দ করা হয়। মনে থাকবে ব্যাপারটা 🙏👌
তুমি বুড়ো হও, ৪৯ হোক, তখন লাল নীল পড়ো।
বাবারা প্রতিটা সন্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনার বাবার জন্মদিন দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল, আপনার বাবা এভাবে হাসি খুশি থাক সারা জীবন এই দোয়াই করি।আপনার বাবার জন্য অনেক ভালোবাসা রইলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
আপু আপনার বাবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল আপনার পরিবারের উপর। আমি আশীর্বাদ করি আপনার বাবা আরো দীর্ঘজীবী হোক। পুরো পোস্টটি পড়তে অসাধারণ সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। আপনারা দুই ভাইবোন আপনার পিতার মুখে কেক তুলে দিচ্ছেন এই ছবিটি দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। সন্তান এবং নেতার মধ্যে দারুন ভালোবাসা। আপু আপনার এবং আপনার পিতাসহ আপনার পরিবারের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমারও ওই ছবিটা দারুন লেগেছে।
প্রথমেই আংকেলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা, তিনি দীর্ঘজীবি হোক অনেক সুন্দর একটা মুহুর্ত কাটিয়েছেন।
আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।