শপিং শপিং || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আমি সুস্থ আছি। বহুদিন আগে থেকেই বন্ধুদের দেখি ট্রেন্ডস এর প্রতি লোভ। ক্লাসের পর অনেকেই কেনাকাটার জন্য যায়। আমি অনেকজনকেই বহুবার বলেছি কিন্তু কেও যেতে চায় না।
কি এক জ্বালা। ট্রেন্ডস কোথায় নিজে চিনলে তো নিজেই যেতাম।আর হ্যাঁ, একা যেতেও ভালো লাগেনা। তো আমার জেদ শুনে আমার বন্ধুরা কেও কেও আমাকে চুপ করানোর জন্যে বহুবার বলেছে ট্রেন্ডস ইউনিভার্সিটি থেকে অনেক দূরে। যেতে অনেক সময় লাগে। আর ওদের কথা অনুযায়ী আমি চুপ ও হয়েছিলাম।
একদিন আমার এক বন্ধুর থেকে আমি জানতে পারলাম। ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে ৫ মিনিট হাঁটতেই ট্রেন্ডস । এই শুনে আমি তো বিশাল রেগে গেছি। তারপর আবার জেদ শুরু করি। অবশেষে আমাকে ট্রেন্ডস নিয়ে যেতেই হলো।
বেশ বড়সড় একটা দোকান। আমাদের কৃষ্ণনগরেও যদিও ট্রেন্ডস রয়েছে ।তবে ট্রেন্ডস থেকে কেনাকাটা আমার খুব কম করা হয়। কারণ কৃষ্ণনগরে যে দোকানটা হয়েছে ,আমার বাড়ি থেকে তার দূরত্ব টা বেশ অনেকটা ।যার জন্য আমার সেখানে যাওয়াই পরেনা ।কাছেপিঠে যে মার্কেটগুলো সেখান থেকে আমি সাধারণত শপিং করে থাকি।
স্বাভাবিকভাবেই দোকানে ঢোকার সাথে সাথেই মেয়েদের জামা কাপড় দেখার সাথে সাথে চোখ চারিদিকে চক্কর খায়। কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখব, চারিদিকে নতুন নতুন জামা কাপড়, আর মেয়েরা তো শপিং মানে সবকিছু ভুলে যায় ।কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখবে ,আর কোনটা ছেড়ে কোনটা নাড়বে ,আর কোনটা ছেড়ে কোনটা ট্রাই করবে।
নিচের ফ্লোরটা পুরোপুরি এথনিক জামা কাপড়ের জন্য আর ওপরেরটা ওয়েস্টার্ন। কিছুদিন আগে বহু কুর্তি কিনেছি কৃষ্ণনগরের মার্কেট থেকে ।তাই এথনিক এর দিকে চোখ গেল না ।চোখটা যাচ্ছিল কিন্তু আমার নেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও মন সায় দিল না। দুটো ট্রাই করে দেখেছিলাম। সেগুলোর যদিও ছবি তুলিনি ।আর সামনে সেরকম কোন অনুষ্ঠান নেই যে অমন এথনিক কিছু পড়তে হবে।
সেকেন্ড ফ্লোরে চলে গেলাম আর ওয়েস্টার্ন জামা কাপড় গুলো দেখা শুরু করলাম ।আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন মেয়েদের ড্রেস চেঞ্জ করতে বেশি বিরক্ত লাগে না ।ইচ্ছামত জামা-কাপড় গুলো নিয়ে ঢুকে পড়লাম ।তার একের পর এক ড্রেস চেঞ্জ করতে থাকলাম।
সাথে চললো ছবি তোলার ভঙ্গিমা এভাবে আমি দুটো টপ,একটা লং ড্রেস, দুটো নি লেন্থ ড্রেস কিনে ফেললাম।
সবকটা জিনিসের দাম অনেক বেশি ছিল। তবে একটা জিনিসের দাম বেশ কম লাগলো। সেটা হল লং ড্রেস এর । ওটার ছবি আমি দিতে পারলাম না। ওটা মাত্র ১২০০ টাকায় পেয়েছি ।আর বাকি যা জিনিসপত্র দেখছেন ।কোনোটা দুই হাজার এর ওপর আবার কোনোটা ১৮০০/১৫০০ টাকার।
সেদিন কেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি। কিছু মাসের জন্য কেনাকাটা একেবারেই বন্ধ রাখবো। কারণ বেশ অনেকগুলো টাকা চলে গেছে। মোটামুটি বলতে গেলে ৮০০০টাকা। যে কটা জিনিস কিনেছি সবকটাই আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। এখানে যে কটা ছবি দেখছেন ।সবকটা জামাই আমার কেনা হয়েছে। শুধুমাত্র সাদা রঙের শার্ট, লাল রঙের ড্রেস, আর হলুদ রঙের ড্রেস টা বাদ দিয়ে।
নতুন ধরনের একটা অভিজ্ঞতা হল সেদিনকে। ওখানে সত্যি জিনিসপত্রের দাম অনেক হাই। তবে অকেশনালি এরা যে ধরনের অফার দেয় ।তাতে অনেক কম দামে জিনিস পাওয়া যায়। সেদিনকে কেনাকাটার পর আমাকে অনেকগুলো কুপন দিয়েছে ,জানিনা আবার কবে ব্যবহার করতে পারব ।
আশা করি আর কেনাকাটা করা হবে না এর মধ্যে ।আপনারাও একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন ।আমার মোটামুটি ভালই লেগেছে জিনিসপত্র। অবশ্যই অনেক ভালো আর কোয়ালিটি অনেক ভাল।
কোয়ালিটির দিকে দেখতে গেলে ,ঠিক অনলাইন থেকে আমরা যে জামা কাপড় গুলো সাধারণত পেয়ে থাকি, সেগুলোর কোয়ালিটি কিন্তু এর থেকে অবশ্যই একটু খারাপ হয়। তাই হয়তো আমরা এত অল্প দামের মধ্যে অনেক কিছু পেয়ে যাই।হয়তো জিনিসটা দেখতে একরকম ।যাই হোক আশা করছি আমার আজকের পোস্ট আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে ।সকলে ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।
@isha.ish
ঠিক বলেছেন দিদি ট্রেন্ডস ছাড়া কারোরই চলে না হোক সেটা দোকান বা সমসাময়িক কোনো বিষয় হা হা। এটা ঠিক বলেছেন অনলাইনে সব জিনিসের কোয়ালিটি একটু কম মানের হয়ে থাকে। আপনি ড্রেসগুলো পড়ে ট্রায়াল দিচ্ছেন মডেল লাগছে তো হা হা। সুন্দর ছিল ড্রেসগুলো।
হাহাহাহা, মডেলিং ই তো করছিলাম গো দাদা! হিহি
আপনার পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক বিশাল শপিং মহল চারদিকে খুব চমৎকার পরিবেশ তার সাথে সাথে আপনার শপিং করার অনুভূতি খুব সুন্দর ভাবে ড্রেস গুলো পড়ে ট্রায়াল দিচ্ছেন সবকিছু মিলিয়ে খুবই অসাধারণ। এত চমৎকার পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
অনেক ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকুন।
প্রত্যেকটি ড্রেসে পুতুলের মত লাগছিল ছোট্ট বোন টিকে। যদিও মেয়েদের জামা কাপর সম্পর্কে আমার কোন ধারনাই নাই। ট্রেন্ডস নামটি সুন্দর । শপিং মল টিও বেশ বড়ই মনে হলো। আমার ছোট বোন কিংবা দিদি যদি কখনও বলতো চল মার্কেটে যাবো আমি পালিয়ে যেতাম কারন ওদের সাথে গেলে সেদিন বারোটা বেজে তেরোটায় ঝুলতো। হা হা হা। যাই হোক ইশ্বর এভাবেই হাসি খুশি রাখুন এই কামনা করি। ধন্যবাদ।
হাহাহা, ওই জন্যই তো প্রথমে আমার বন্ধুরা আমাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে রাখছিল। ছেলেদের কেন যে শপিং এ এত এলার্জি!