দৌড়াদৌড়ি
আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের দ্বিতীয় দিন। অর্থাৎ আজ কৃষ্ণনগরে দ্বিতীয় বিসর্জন হবে। কাল সন্ধ্যা থেকে আজ বেলা ১১ টা অব্দি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে।
কিন্তু আমি সেই বিসর্জন যাত্রা দেখতে যেতে পারিনি। আজ সকাল বেলায় ৬.৭ এর ট্রেনে কলকাতা এসেছিলাম। থার্ড পেপারের ইন্টারনাল এক্সাম ছিল।
ভোর ৪ টে তে ঘুম ভেঙেছে আজ। কিছুতেই ঘুম আর আসেনা। হোয়াট অ্যাপ এ সকলের স্টেটাস দেখছি ভোরে। কেও আর বাড়ি নেই। শহরের সবাই রাজবাড়ী থেকে ঘাট অব্দি দুই পাশে একত্রিত হয়ে দাঁড়িয়ে বিসর্জন দেখছে। আর আমি 🥹
আজ কেই পরীক্ষা হতে হলো। কি যন্ত্রণা। কৃষ্ণনগর এবং চন্দন নগর এ এই পুজো নিয়ে বেশি মাতামাতি হয়। কিন্তু বিশেষ করে আমাদের শহর কৃষ্ণনগরে বেশি ধুমধাম হয় । সেসব কিছু আমি শেয়ার করবো।
তবে আজ খুব ধকল গেল। পিসেমশাই এর সাথে পাঁচটা পনেরো নাগাত বাড়ি থেকে বেরোলাম । খুব ঠান্ডা। কুয়াশা হচ্ছে ধীরে ধীরে। হালকা অন্ধকার। সব মিলিয়ে দারুন একটা ওয়েদার, যেটা আমি পছন্দ করি। হালকা ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা।
একটা চাদর কান মাথা দিয়ে মুড়িয়ে বাইক এ উঠে পড়লাম।
বাবা বাড়ি নেই। আমাদের পাড়ার প্রতিমার সাথে গিয়েছে প্রতিবারের মতো। যাইহোক তাই জন্য আমাকে পিসু দিতে গিয়েছিল। চারিদিকে রাস্তা বন্ধ। ঠাকুর বার হচ্ছে বলে , রাস্তায় রাস্তায় নো এন্ট্রি। আর পুলিশ দাঁড়িয়ে। মাঝ রাস্তায় একবার ধরলো আমাদের। আমি পরীক্ষার কথা বলাতে রাস্তা ছেড়ে দিল। এই সুযোগে একটা প্রতিমা দেখা হয়ে গেল।
প্রতি বছর এই চারদিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকি সবাই। পুজোর আগের দিন থেকে ঠাকুর দেখা , তারপর পুজোর দিন। তারপর দুই দিন বিসর্জন। তারপর আবার শহর নিজের মতো ব্যস্ত হয়ে যায় কাজকর্মে।
সকালে নয়টার মধ্যে মেস বাড়ীতে ঢুকে গেলাম। তারপর স্নান করে নিলাম। অনেকদিন পর আমার মেসের পাগলি গুলোর সাথে দেখা। সবাই আমাকে দেখে এক গাল হাসি জুড়ে দিল। বলতে লাগলো আমি ছাড়া নাকি মেস থমথম করছে। হাবিবা রান্না করে রেখেছিল। স্নান করে খেয়ে নিলাম। তারপর আবার ব্যাগ গুছিয়ে ইউনিভার্সিটি রওনা হলাম। ১০ মিনিট লাগলো পৌঁছতে। এক্সাম শুরু হলো ১১ টা থেকে। তারপর ১১.৫০ এ খাতা সাবমিট করে আমি দৌড়তে দৌড়তে সিথির মোড় আসলাম। অটো নিয়ে দমদম। তারপর ১২.১৬ র ট্রেন ধরে এখন বাড়ি ফিরছি।
ট্রেনের মধ্যে আলাপ হওয়া লাল পরী
আজ আমাকে বিসর্জন দেখতে হবে। একদিন ঘুমের সুযোগ পাইনি। বাড়ি গিয়ে খেয়ে তারপর ঘুমোবো আগে। পরীক্ষার মাঝে এই পুজো পড়লে খুব চাপ হয়ে যায়। তাই পোষ্ট ও করতে পারছিলাম না।
যাইহোক হয়তো ৩ টের মধ্যে নিজের শহরে ঢুকে যাব। পুজোর সব গল্প শেয়ার করবো একসময়।
ততক্ষণ ভালো থাকুন। সকলে সাবধানে থাকুন।
@isha.ish
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আপু অনেকদ দিন পর আবার পোস্ট দেখলাম।মনে হয় পরীক্ষার জন্য অনেক ব্যস্ত হয়ে পেরেছেন। যাই হোক পরীক্ষার আগেন দিন প্রতিমা বিসর্জন হয়ে গিয়েছে আজকে পরীক্ষা পরে অবশেষে যেতে পারলেন।মেসের পাগলিরা মনে হয় বড় পাগলিকে অনেক বেশি মিস করেছিলো,তাই আরকি হেঁসেছিলো🤣🤣।পাগলি হলেও বড় পাগলির জন্য রান্না করে রেখেছিল।ধন্যবাদ আপু
দিদি আপনার যে ব্যস্ততা সময় যাচ্ছে তা আসলে বুঝতে পারছি ৷ আপনি এতো ব্যস্ততার পরেও যে মাঝে মাঝে পোস্ট করেছেন ৷ যেটা আমাকে অনেক ভালো লাগে ৷ আপনার পরীক্ষা ভালো করে দিন এমনটাই প্রত্যাশা করি ৷
আর খুব তাড়াতাড়ি ব্যস্ততা ঝেড়ে মুছে যাগ ৷
অতো সকালে উঠে ট্রেনে চলে গেলেন মেসে তারপর ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ করেই আবার ব্যাক ভাবা যায়। বেশ ব্যস্ত ছিলেন এবং দৌড়ের উপর ছিলেন। এই দৌড়ের অবস্থায় আপনি বিসর্জন দেখতে চেয়েছেন। উৎসব এর সময় পরীক্ষা আসলেই বিশাল এক ঝামেলা।।