খেজুরের গুড়ের সন্দেশ তৈরীর রেসিপি|| ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি আপাতত। আজ আমি খুশি যে বেশ অনেকদিন পর আমি একটা রেসিপি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। যবে থেকে কলকাতা গিয়েছি, রান্না করা হয়না সেই ভাবে, মানে যেভাবে বাড়িতে রান্না করতাম।
বহুদিন আগে ওই শীতের সময় আমি সখ করে খেজুরের গুড়ের সন্দেশ বানিয়েছিলাম। সেই ছবি গুলো তুলেও রেখেছিলাম। আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে। তাইতো আজ এই রেসিপি পোষ্ট টা করতে পারছি।
তবে হ্যাঁ আর ভিডিও বানানো হচ্ছেনা।যাইহোক তবুও খুব সহজে আপনাদের সাথে এই রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার চেষ্টা করছি। চলুন দেখে নেওয়া যাক উপকরণ গুলো।
উপকরণ
১. দুধ - ১ লিটার
২. খেজুরের পাটালি গুড় পরিমাণ মত , চিনি ব্যবহার করব না।
৩. লেবু রস - এক চামচ
৪. ঘি
৫. গুড়ো দুধ - হাফ কাপ
বুঝতেই পারছেন কত অল্প উপকরণ । সহজেই কিন্তু বানানো যাবে শীতকালে।
প্রথম ধাপ
প্রথমে দুধ বসালাম একটা বাটি করে, আর জ্বাল দিতে লাগলাম। আর একটা বড়ো চামচ / হাতা দিয়ে নাড়তে থাকলাম মাঝে মাঝে। গ্যাসের আঁচ লো থেকে মিডিয়াম এর মধ্যে রাখলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার এক চামচ ঘি দিয়ে দিলাম।আর মিশিয়ে নিলাম দুধের সাথে।
তৃতীয় ধাপ
এবার দিয়ে দেব পাটালি গুড়। আর মিশিয়ে নেব দুধের সাথে।
চতুর্থ ধাপ
এবারে আমি কিছু পরিমাণ গুড়ো দুধ অ্যাড করবো তাই , হাফ কাপ মত গুড়ো দুধ আমি জলের সাথে প্রথমে মিশিয়ে নিচ্ছি। আর ওই দুধের মধ্যে মিশিয়ে দিচ্ছি।এবার আবার জ্বাল দিতে থাকলাম।
পঞ্চম ধাপ
তারপর আমি একদম অল্প করে এক চামচ মত লেবুর রস দিয়ে দুধ টা একটু দানাদার বানিয়ে নেব। পুরো ছানা কাটলে হবে না, তাই অল্প করে রস ব্যাবহার করতে হবে।
যাইহোক তারপর দুধ এ মিশিয়ে নিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
গ্যাসের আঁচ টা আমি মিডিয়াম থেকে হাই এর মধ্যে রাখবো। আর তারপর নাড়তে থাকবো ।আপনারা দেখতে পারবেন আস্তে আস্তে হালকা দানা দানা ভাব আসছে।
দুধ আরও ঘন হতে থাকবে আর নাড়তে থাকতে হবে যাতে বাটির সাথে না লেগে যায়। আর দানা গুলো আরো ভালোভাবে বোঝা যেতে থাকবে।
সপ্তম ধাপ
তারপর আমি এক চামচ ঘি দিয়ে দিলাম। আর মিশিয়ে নাড়তে থাকলাম। আস্তে আস্তে জমাট বাঁধতে থাকলো আর বাটি থেকে মিশ্রণ উঠে আসতে থাকল।এবার গ্যাস বন্ধ করে দিলাম।
অষ্টম ধাপ
এবারে আমি একটা পাত্র নিয়েছি, কেক টিন নিয়েছি। তাতে ভালো করে ঘি মাখিয়ে নিয়েছি।
সন্দেশ এর মিশ্রণ টা দেখেই লোভ লাগছিল।
নবম ধাপ
তারপর আমি মিশ্রণ টা দিয়ে দিলাম পাত্রে । আর তারপর আমি ওটা রেখে দিলাম কিছুক্ষন ফ্রিজে।
দশম ধাপ
এবারে ১০ মিনিট পর ওটাকে নিজের মতো করে কাটতে হবে। আপনারা চাইলে লাড্ডু র মত আকৃতি দিতে পারেন।
ব্যাস। এই ভাবেই তৈরী হয়ে যাবে খুব সহজে খেজুরের গুড়ের সন্দেশ।
কেমন লাগলো পুরো রেসিপি টা। অবশ্যই আমাকে মন্তব্য করে জানাবেন। আশা করছি সকলের ভালো লাগবে আমার পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ পুরো পোষ্ট টা পড়ার জন্য। ভালো থাকুন। নমস্কার।
@isha.ish
আপনি অনেক মজাদার একটি খেজুরের গুড়ের সন্দেশ রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দিদি। আপনার এই খেজুরের গুড়ের সন্দেশ রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনি অনেক চমৎকার ভাবে ধাপে ধাপে আমাদের সকলের মাঝে সন্দেশ তৈরির প্রক্রিয়া টি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য
আমার পছন্দের এই রেসিপি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি এত লোভনীয় হয়েছে আপনার খেজুরের গুড়ের সন্দেশ, মন বলতেছে একটু পাঠিয়ে দেন না কুরিয়ার সার্ভিসে করে, খেয়ে আমরাও মনটা জুড়াই। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপিটি দিদি খুব লোভনীয় এবং আমার প্রিয় একটি সন্দেশ ধন্যবাদ আপনাকে।
হাহাহা, আমি নেক্সট টাইম অবশ্যই পাঠিয়ে দেব।ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি খেজুরের গুড় দিয়ে সন্দেশ তৈরি করেছেন দেখতে তো অসাধারণ লাগছে। এভাবে খেজুরের গুড়ের সন্দেশ এখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি আমার কাছে ইউনিক রেসিপি মনে হচ্ছে। অবশ্যই বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখবো খেতে কেমন লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এত লোভনীয় একটি রেসিপি দিয়ে যে লোভ লাগিয়ে দিলেন আমি এখন কি করি বলেন তো। গুড়ের সন্দেশ খেতে বেশ মজাই হবে কারণ আমার কিছু ফ্রেন্ড যখন পুজো শেষে নিয়ে আসতো তখন খেতে খুবই ভাল লাগত। আসলে এমন জিনিস গুলো চোখের সামনে দেখলে লোভ লেগে যায় ।অসাধারণ ভাবে তৈরি করেছেন আপু।
আপনার সন্দেশ টি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। খেতে মনে অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার পোস্টটির উপস্থাপনা অনেক সুন্দর ছিল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সন্দেশ আমার অনেক অনেক বেশি পছন্দের।নানার বাসায় য্যখন থাকতাম বাসার পাশেই ছিল সন্দেস মিষ্টির দোকান।নানার থেকে পয়সা নিয়েই দোর দিতাম।খেজুরের গুরের সন্দেস প্রথম দেখলাম অনেক সুন্দর রেসিপি হয়েছে দিদি ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
খেজুরের গুড়ের সন্দেশ বেশ মজার হবে।যদিও কখনো খাওয়া হয়নি।তবে খেজুরের গুড়ের পায়েস এবং পিঠা খুবই সুস্বাদু হয়।খেজুরের গুড়ের সন্দেশ রেসিপি বানানোর পদ্ধতি গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
সন্দেশ আমি ছোট বেলায় খুবেই খেয়েছি আপু, এখনো মাঝে মাঝে খাই, আপনি তো আরো খেজুরের সন্দেশ তৈরি করেছেন, অনেক খেতে ইচ্ছে করতেছে আপু, অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু।
খেজুরের গুড় খুবই মিস করি আপু। আসলে ছোটবেলায় খেতে চাইতাম না আর এখন পাচ্ছি না। আপনি আজকে খেজুরের গুড়ের সন্দেশ শেয়ার করেছেন। এ রেসেপিটি অনেক ভালো লাগছে। আর খেতেও মনে হয় বেশ মজার হবে ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার তৈরি খেজুরের গুড়ের সন্দেশ দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে খুব।সত্যি কথা বলতে কি আপনার খেজুরের গুড়ের সন্দেশ দেখে আমার মুখে জল চলে এসেছে।শুধু মনে হচ্ছে এর মধ্য থেকে যদি আমি একটা খেতে পারতাম।
খেজুরের গুড়ের সন্দেশ তৈরির পদ্ধতি খুব সুন্দর ছিল আপু।