সাঁতার - শেষ পর্ব || ১০ % বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। কালকে যেখান থেকে শেষ করেছিলাম ।তার পর থেকে শুরু করছি, কালকের পোস্টে আমি ঈশানের সাঁতারের হেডস ট্রেনার সম্পর্কে অনেক কিছু আলোচনা করেছিলাম। আজকে বাকি কথা শুরু করি ।
বাবা যতই রেগে থাকুক, আমার পাল্লায় পড়ে হাসতেই হবে
আমি আগেই বলেছি ১৫ দিন আগে ঈশানকে সাঁতারের ভর্তি করানো হয়েছিল। আর হ্যাঁ এই পনেরো দিনের মধ্যেই ঈশান সাঁতার শিখে গেছে ।আর নদীর এপার থেকে ওপারে আরামসে যাওয়া আসা করতে পারে ।বাবার মুখে শুনেছি আমাদের কৃষ্ণনগরের চড়ক তলার ঘাট থেকে শুরু করে কদমতলার ঘাট, যেখানে কৃষ্ণনগরের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। ও সাঁতরে চলে গিয়েছিল একদিন। যে ব্যাচটাকে সেদিন ছাড়া হয়েছিল তাদের মধ্যে সবথেকে ছোট ছিল ঈশান। আমার বাবা চড়কতলা ঘাটে বসেছিল মায়ের সাথে।
সবাই মিলে
মা আর বাবা দুজনেই গল্প করে ,দুজনের নাকি ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিল। ওইটুকুনি ছেলে পারবে তো আদেও ।স্বাভাবিকভাবে প্রাণের ভয় তো সবারই থাকে। কিন্তু ঈশান সেই ভয় জয়লাভ করেছে। মিহির জেঠু এবং তাদের সহকর্মীদের তত্ত্বাবধানে শিখে নিয়েছে জীবন রক্ষার একটি মন্ত্র। আমার পরিবার পুরো টিমের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ।
আজ কিছুদিন যাবত আমি বাড়িতে আছি আপনারা অনেকেই জানেন। কলকাতায় ফিরতে হবে আবার যদিও। মাঝে আমি ওই ঘাটে ওদের সাঁতার শেখা দেখতে গিয়েছিলাম। আমি দেখলাম উনারা খুবই অন্যরকম ভাবে শেখাচ্ছেন। ওনাদের শেখানোর পদ্ধতি খুবই উন্নতমানের ।আমাদের বাবা দাদুদের আমলে সাঁতার কেউ শেখাত না। তবে এমন ট্রেনারের কাছে শিখলে যে কোন ভাবে জলের ভয় থাকবে না।
যাদের জন্য বেঁচে থাকা
অরিন্দম কাকা
ছোটবেলা থেকে আমার পেছনে আমাকে সাঁতার শেখানোর বহু চেষ্টা করানো হয়েছে। আমার ভয়ের চোটে আজ অব্দি সেটা সম্ভব হয়নি ।ঈশান যেদিন সাঁতরে অতিক্রম করতে পারল অতটা। সেদিনই বাড়ির সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল একদিন ওনার সহকর্মীদের সাথে একত্রিত হওয়া যাবে এবং খাওয়া দাওয়ার একটা আয়োজন হবে।
কোনো প্রেমিক চাইনা, মা এর এই স্নেহ ঘেরা চাহনি যথেষ্ট
আমার প্রিয় অরিন্দম কাকা বাবার বন্ধু ,মাদারস হাটের ওনার ।আজ মাদারস হাট কৃষ্ণনগরের খাওয়া দাওয়ার প্রাণ কেন্দ্র। সেখানে সবাই মিলে উপস্থিত হয়েছিলাম গত সোমবার।আমরা মোট ১৫ জন মত ছিলাম। সবাই খুব আনন্দ করেছি ।খাওয়া দাওয়ার মধ্যে ছিল - মাটন হান্ডি বিরিয়ানি, ফ্রাইড রাইস ,চিলি চিকেন ,পনির কুলচা ,বাটার নান, মাটন কষা, ক্রিসপি বেবিকর্ন, চিকেনের আইটেমের যে স্ট্যাটারটা ছিল। সেটার নাম মনে নেই। তারপর মাসালা কোক, আর আমি একটা আইসক্রিম নিয়েছিলাম ।
আমাদের আপ্যায়নে ওরাও ভীষণ খুশি হয়েছিল ।সবাই মিলে মজা করতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। আসলেই মিহির জেঠু এবং ওনার টিম ঈশানকে যা শিখিয়ে দিলেন তা ঈশানের লাইফ টাইম এর জন্য। আমার পরিবার ওনার পুরো টিমটার প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ।
আমি জানিনা আমি সাঁতার শিখতে পারবো কিনা কখনো ।অথবা সাতারে ভর্তি হব কিনা ।বাবা মার ইচ্ছা যে জেঠুর কাছেই আমাকে সাঁতার শেখা করাবে ।খুব শীঘ্রই যদি কোন লম্বা ছুটি পাই।আমি জানি আমার উপর বাবা-মা জেদ শুরু করবে। তবে অবশ্যই সাঁতারটা শিখে রাখা ভালো। আর বাকিটা ভগবানের হাতে ছেড়ে দিচ্ছি ।
আশা করছি আমার আজকের পোস্ট আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে ।সকলে ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন ।সুস্থ রাখুন।
@isha.ish