DIY- এসো নিজে করি|| জলরঙে দাদা -বৌদি আর টিনটিন|| ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
প্রিয় মানুষগুলোর জন্য কিছু স্পেশাল করতে কার নাহ ভালো লাগে।বহুদিন ধরে ভাবছিলাম আমার ভালোবাসার দাদা বৌদি আর টিনটিন এর জন্য কিছু করবো । বৌদির জন্মদিনে ছবি আঁকতে চাইলেও পরিস্থিতির কারণে করে উঠতে পারিনি। সেদিন খুব খারাপ লাগছিল তাই।
তবে আজ সকালে আমি একটু ফাঁক পেতেই জল রং আর তুলি নিয়ে বসে পড়েছিলাম। আর দাদা-বৌদি আর টিনটিন এর কথা মনে করেই ছবি আঁকা শুরু করে দিয়েছিলাম।
আমি অনেক খুশি যে আমি ছবিটা মন মত করতে পেরেছি ।আর আশা করছি @rme দাদা আর আমার মিষ্টি @tanuja বৌদি র আর টিনটিন বাবুর এই ছবিটা পছন্দ হবে ।তোমাদের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ।
তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক , কিভাবে আমি ছবিটা এঁকেছি।
কিছু কথা বলি, এখানে আমি নীল,লাল,হলুদ,বাদামি,কালো,সবুজ জল রং ব্যবহার করেছি। লাল রং সামান্য নিয়ে জল মিশিয়ে নিয়েই হয়ে গেছে হালকা গোলাপী। এই ভাবেই লাল নীল মিশিয়ে হয়েছে ভায়োলেট, আবার বাদামি রং সামান্য নিয়েই হয়েছে স্কিন কালার।জল রঙে জল এরই খেলা খেলতে হয় বেশি। রং একেবারেই কম ব্যবহার করতে হয়।
প্রথমে ৩ নম্বর তুলি, জল, জল রং , পেন্সিল, হাইটেক পেন, প্যালেট,মোটা ড্রইং শিট এর চার ভাগের একভাগ নিয়ে তার আরেকটা ভাগ নিয়েছি।
তারপর পেন্সিল নিয়ে হালকা হালকা করে দাদা বৌদির আউট লাইন এঁকে নিচ্ছি।দাদার শার্ট, প্যান্ট এর কিছু অংশ, বৌদির কুর্তি, মুখের গঠন সবটাই এঁকে নিয়েছি।
দাদা বউদির কোলে বসে থাকা আমাদের আদরের ছোটো টিনটিন বাবু র আউট লাইন এঁকে নিচ্ছি।
তারপর টিনটিন বাবুর ছবি আঁকার পরেই তৈরি হয়ে গেছে, মেন কাজ অর্থাৎ পুরো ছবিটার আউট লাইন আঁকা ।
এবার রং করা শুরু হয়ে গেছে ।প্রথমেই নীল রং নিয়ে নিয়েছি ।ডিপ নীল অর্থাৎ নেভি ব্লু নিয়ে জলের সাথে হালকা হালকা করে খেলা করে শার্টের রংটা করেছি। যে জায়গাগুলো অন্ধকার সে জায়গাগুলোতে অন্ধকার দেখিয়েছি। আর যে জায়গাগুলো হালকা নীল সে জায়গাগুলোতে জল বেশি ব্যবহার করে নীল রঙের পরিমাণ কম দেখিয়েছি।
এবারে নিয়ে নিয়েছি প্যালেট এর মধ্যে কালো ,বাদামী ,লাল রঙ কারণ এই প্রত্যেকটা রং ধীরে ধীরে আমাদের কাজে লাগবে।
প্রথমেই কালো রং দিয়ে মাথার চুলগুলো করে নিয়েছি দাদা আর বৌদির।
তারপরে বাদামি রং হালকা নিয়ে, তাতে অনেক খানি জল ব্যবহার করে মুখের রং টা এনেছি।
তারপর দাদা বৌদির আর টিনটিন বাবুর স্কিন অর্থাৎ মুখের গলার হাতের জায়গাগুলো রং করে নিয়েছি।
এবারের বৌদির কুর্তির ওপর লাল রং ব্যবহার করে ,লাল রং জলের সাহায্যে মে শাতে মেশাতে গোলাপি করে ফেলেছি। বর্ডার লাইন গুলোর লাল রঙের পরিমাণ টা দেখেই আপনারা বুঝতে পারছেন আশা করি।
এবারে আমার পছন্দের রং হলুদ রং দিয়ে আমি টিনটিন বাবুর শার্টের রংটা করেছি ।এক্ষেত্রে কিছু কিছু জায়গায় আমি ডিপ হলুদ ব্যবহার করেছি।
তারপর ধীরে ধীরে টিনটিন বাবুর প্যান্টের রংটা অর্থাৎ কালো রং করেছি।
সাথে টিনটিন বাবুর লাল জুতো আর দাদার প্যান্টের রং করে ফেলেছি ।দাদার প্যান্টের রং করতে গিয়ে আমি নীল আর ডিপ সবুজ ব্যবহার করেছি।
হাইটেক পেন এর সাহায্যে দাদার হাতের অংশটাকে ,আঙ্গুলগুলোকে ভালোভাবে এঁকে নিয়েছি। টিনটিন বাবুর কলার এবং সবার চোখ মুখ এঁকে নিয়েছি।
পুরো ব্যাপারটাকে আরও সুন্দর করার জন্য নিচে প্রথমে হাইটেক পেন এর সাহায্যে ফুল পাতা এঁকে, তাতে রং করেছি ।এছাড়াও চারিপাশ দিয়ে কিছু ফুলের আভা দেখিয়েছি।
ফাইনাল ছবি
আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেছে আমাদের প্রিয় দাদা- বৌদি এবং টিনটিন বাবুর ছবি ।আমি আমার সাধ্যমত জল রং দিয়ে ছবি আঁকার চেষ্টা করেছি ।একেবারেই এই কাজগুলো শখে করা ।তাই আশা করছি আপনাদের সকলের ভাল লাগবে ।
আর যেহেতু এই ছবিতে আমার ভালোবাসা মেশানো রয়েছে। দাদা-বৌদি এবং টিনটিন বাবুর পছন্দ হবে, এটা আমি শিওর ।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম ।আপনারাও চাইলে এভাবেই প্রিয়জনদের ছবি আঁকতে পারেন এবং উপহার দিতে পারেন।
সবশেষে অনেক ভালোবাসা❤️ আমার প্রিয় দাদা, বৌদি ও টিনটিন বাবুর জন্য।
আপু আপনার চিএাংকনটি আমার কাছে অনেক সুন্দর হয়েছে। সত্যি বলছি এই চিএাংকনটি অসাধারণ লাগছে।বিশেষ করে টিনটিনকে দেখতে ভালো লাগছে।দাদা বৌদির বসে থাকার দৃশ্যটা অপরূপ লাগছে।আপনার জন্য শুভকামনা রইল। এরকম সুন্দর একটি পোস্ট সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যতটা সাধ্য ততটা চেষ্টা করেছি ভালো করতে, আর আমারও খুব পছন্দ হয়েছে । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপু আজকে চমৎকার একটি চিত্র অঙ্কন করে আমাদের মধ্যে প্রদর্শন করলেন। যেটা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি খুবই সুন্দর হয়েছে। দাদা ও বৌদি তার সাথে টিনটিন বাবুর সম্পৃক্ততা খুব সুন্দর ভাবে অংকন এর মধ্যে তুলে ধরেছেন। আপনি খুব দক্ষতার সাথে চিত্রটি অঙ্কন করেছেন যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা। আপনাদের উৎসাহ ক্রমশ আমাকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
দিদি অসম্ভব অসম্ভব সুন্দর হয়েছে 😍।দাদা বৌদি ও আমাদের সবার আদরের টিনটিন বাবুর চিএ অংকন এক অসাধারণ হয়েছে দিদি।দিদি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে দিদি।দিদি আপনার জন্য অনেক দুআ ও ভালোবাসা রইলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।ভালোবাসা নেবেন।
দিদি অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার আর্ট করা দাদা বৌদি আর টিনটিন এর চিত্রটি ৷ অসাধারণ ছিলো সম্পূর্ণ আর্ট ছবিটি ৷ খুব দক্ষতা ও মনোযোগ সহকারে চিত্রটি আর্ট করেছেন, তা ফাইনাল ছবিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে ৷ অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি আর্ট আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য ৷
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি বলতে কি দেখতে যদিও দাদা বা বৌদির মত মনে না হলেও আপনি যে তাদেরকে উদ্দেশ্য করেই একেছেন তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। ছবি দেখেই মনে হচ্ছে একটি সুখী পরিবার। দাদা আর বৌদির পরিবারটিও এমন সুখী থাক চিরকাল এই কামনা সব সময়।
হাহাহা, হ্যাঁ দাদা অতটা এখনও সাধ্য হয় নি যে, একেবারেই অবিকল তাদের মুখ নিয়ে আসতে পারবো ।ছবি তো শখ করে আঁকি তো, তাই কখনো শেখা হয়নি ।ভুল ত্রুটি মাফ করবেন।
👍❤️
অনেক সুন্দর করে আপনি জলরঙ দিয়ে দাদা ও বৌদির এবং টিনটিন বাবুকে অংকন করেছেন। আসলে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ এই পেইন্টিং এর মধ্যে ফুটে উঠেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা আপনার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকুন।
দিদি আপনি আজকে চমৎকার ভাবে আমাদের সবার প্রিয় দাদা -বৌদি আর টিনটিন জলরং দিয়ে অংকন করেছেন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম নিখুঁত ভাবে পুরো কাজটি সম্পুর্ন করেছেন আপনার প্রশংসা করতে হয় এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন
আমার সব কাজে এত উৎসাহ দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে ।আপনার কমেন্ট আমাকে সত্যিই অনুপ্রেরণা যোগায়।
বাহ আপু,আপনি তো চমৎকার একটা পেইন্টিং করেছেন।দাদা - বৌদি আর টিনটিন বাবুকে একসাথে জলরঙে রাঙিয়ে দিলেন।অনেক সুন্দর হয়েছে এই পেইন্টিংটি। অসাধারণ একটি কাজ আজকে শেয়ার করেছেন আপু,খুব ভালো লাগলো।
খুব সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার আঁকা ছবি দাদা বৌদি দেখলে নিশ্চয়ই অনেক খুশি হবে। আপনি অনেক সুন্দর করে দাদা বৌদি ও টিনটিন বাবুকে ফুটিয়ে তুলেছেন। যা দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। দেখে মনে হচ্ছে তারা পৃথিবীর সবথেকে সুখী পরিবার। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটা ছবি আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
বেশ দারুণ লাগছে কিন্তু এই কিউট,ভালোবাসা ময় পরিবারটিকে দেখতে।কারণ যে এঁকেছে সেও বেশ ভালোবাসা দিয়েই এঁকেছে তা ভালোই টের পেলাম।
যারা কিউট তাদের সবকিছুই কিউট লাগে, আমার এই কিউট মিষ্টি দিদির জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা।