পাগলের মেলা|| ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা | আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের আশীর্বাদে এবং ভগবানের আশীর্বাদে কলকাতায় আসার পর থেকে কতকিছু যে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে ,আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না ।সবকিছু আমি আপনাদের সকলের সাথে ভাগ করে নিই,তাই এবারও কেন বাদ যাবে।
বহুদিন ধরেই দেখছি আমি যেখানে থাকি বরাহনগর তার পাশেই সিঁথির মোড়ে একটা মেলা বসেছে। মেলা দূর থেকে দেখে কতটা বড় হবে তা আমি কখনো বুঝতে পারিনি ।তবে মেলার সামনে দিয়ে অনেকবার যাওয়া আসা করেছি ।কিন্তু ঢোকা হয়নি ।
এরমধ্যেই একদিন হঠাৎ করে মেলায় যাওয়ার প্ল্যান বানানো হল ।মেলায় যাব বলে ঠিক হয়ে গেল ।প্রচন্ড গরমের সত্বেও মেলায় সকলকে নিয়ে যেতে বাধ্য হলাম। সকলে আমার ঠেলায় পড়ে ,যেতে বাধ্য হল ।কলকাতায় আসার পর থেকে আমার কিছু ভালো সঙ্গী হয়েছে ।
যেমন আমার পাশের রুম মেট আর আমার এক বন্ধু ।আমার জেদে তারা অতিষ্ঠ হয়ে সব কাজ করতে বাধ্য হয়ে যায়। যেদিন কে প্রথম দেখেছি মেলা বসতে,সেদিন কে মেলায় অতো ভিড় ছিল না । আমার মেস বাড়ি থেকে হাঁটতে হাঁটতে পনেরো-কুড়ি মিনিট লাগে ।সেই মেলায় হাঁটতে হাঁটতে গেলাম। তার পরে দেখলাম টিকিটের একটা বড় লাইন পড়েছে চার পাঁচ টা জায়গায় ।দশ টাকা করে পার হেড টিকিট কাটা হলো লাইনে দাঁড়িয়ে।
গুর গুর করে লাইনে এগোতে লাগলো মানুষের ভিড়। দেখে মনে হল মেলার ভিতর তো খুবই ভালো হবে। আমাদের যতই গরম লাগুক, আর যতই ঘেমে যাই ,তবুও মেলার ভেতরে কি আছে তা দেখার জন্য পাগল এবং উদ্বেল হয়ে উঠেছিলাম ।যখন প্রবেশ করলাম দেখলাম প্রচুর ভিড় ।
কেন যে আগে আসিনি। আগে আসলে মেলাটা ফাঁকা থাকতো।এই ভিড়ের মধ্যে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না ।আপনাকে হাঁটতেই হবে না, আপনি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবেন ।আপনাকে মানুষ ঠেলতে ঠেলতে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে ।
আস্তে আস্তে এদিক-ওদিক চারিদিকে দোকান ঘুরতে শুরু করলাম ।জামা কাপড় দোকান থেকে শুরু করে সবকিছুই রয়েছে ।কিন্তু একটা জিনিসও ভালো না। কবে কার কোন জিনিসটা নিয়ে রেখে দিয়েছে মেলায় ।ঢোকার পর থেকে সব জিনিস যখন দেখতে শুরু করলাম আমার কোনো জিনিসই আর দেখতে ভালো লাগে না।
আমাদের ওখানকার বারোদোল মেলার মত অনেকটা মনে হল ।মাঝখান দিয়ে খালি কসমেটিক দোকান। কসমেটিকের দোকান গুলোতে জিনিসপত্র আছে। কিন্তু সবই কমন ।একটা নিতে ইচ্ছা করবে না। মেলার কোয়ালিটি খুব একটা ভালো না আর একটা জিনিসের দাম জিজ্ঞেস করাতে আমি হতবাক হয়ে গেলাম।
শুনেছিলাম এখানে নাকি খুব অল্প দামের জিনিসপত্র পাওয়া যাবে। তার থেকে তো মনে হচ্ছে বেশি দাম দিয়ে এরা বিক্রি করছে। যে কটা জিনিসের দাম জিজ্ঞেস করেছি সব জিনিসের দাম বেশি হয় ।একটা কুলফি কিনে যে খাব , এখানে 50 টাকা বলে। তার থেকে বাইরে গিয়ে কর্নেটো খাওয়াই ভালো।এত দাম।
যাই হোক, তবু কেনো যে ভিড় ছিল এত জানিনা। আমি জাস্ট অবাক হলাম। মানুষের সত্যিই অনেক সখ।আমার কলকাতায় এসে এই প্রথম মেলা। দারুন অভিজ্ঞতা। হিহি।
আজকের মত এখানেই শেষ করলাম। আশা করছি আমার পোস্ট আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সকলে সুস্থ থাকুন ।ভালো থাকুন। নমস্কার।
পাগলের মেলা টাইটেল দেখে পাগল খুঁজতে গিয়েছিলুম কিন্তু কোনো পাগল পেলুমনা। মেলায় জিনিসের দাম সবসময় একটু বেশিই থাকে। অনেক সুন্দর এবং বিরক্তিকর সময় কেটেছে সেটা আপনার পোস্ট দেখে বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ
আপু সব কথা যেমন তেমন তবে এটা শুনে ভয় পেলাম যে আমি দাঁড়িয়ে থাকবো আর মানুষ আমাকে ঠেলে নিয়ে যাবে। ব্যাপারে বাপ্ কতো মানুষ ওখানে সেটা এটা শুনেই বুঝা যাই। তবে মেলায় যদি নতুন কোনো জিনিস না থাকে তাহলে ঘুরেও মজা পাওয়া যায়না। তবে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
আপু আমি তো প্রথমে আপনার টাইটেল দেখে কিছুক্ষণ চুপসে ভাবছিলাম আসলে কি!!
পরে আপনার পোস্ট দেখে বুঝতে পারলাম কাহিনীটা কি। এত ভিড়ের ভিতর আপনি কিভাবে গিয়েছেন মেলায় আপু!!! আমি হলে জীবনেও পারতাম না। মানুষ আমাকে পাড়িয়ে পাড়িয়ে চলে যেত।😄😄
আপু টাইটেল দেখে না পড়ে পারলাম না।পাগলের মেলা।আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম পাগলের মেলা😉😉।মানুষ ভাবে কম দাম হলেই ভালো।কিন্তুু মানে ভালো কিনা সবাই যাচাই করে না।আপু আপনি কেমনে এত ঠেলাঠেলি করে মেলায় ঢুকলেন।😉😉।একটা কুলফির দাম ৫০ টাকা!.যাই হোক ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে
ঠিকই বলেছো পাগলের মেলাই বটে।আমি তো কালকে গিয়েছিলাম কি যে ভিড় হয়েছিল 😭😭গরমের মধ্যে বেশিক্ষণ থাকতে পারিনি পনেরো-কুড়ি মিনিট ঘুরে বেরিয়ে চলে এসেছি। যাই হোক দেখা হলে ভালো হতো।
এক ভদ্র লোক কে দেখলাম দারুন এক মাক্স পড়েছে । একেবারে মাথার উপর দিয়ে পেচিয়ে । মেলা মানেই তো ঠ্যালা খাওয়ার উত্তম জায়গা। পাগলের মেলা বলেই এখানে সব কিছু উল্টোপাল্টা মনে হয়। হা হা হা। বহু দিন তো মানুষ বের হয়নি তাই এত ভিড় কিছু থাকুক আর না থাকুক। দাম বেশী বা কম। ভাল ছিল মূহুর্তগুলো। উপভোগ করলাম বাংলাদেশে থেকে আপনার ছবির মাধ্যমে। ধন্যবাদ বোন। ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা।