স্বরচিত কবিতা - আতস
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। কালী পূজার শেষ। গতকালকেই বিসর্জন হয়েছে ।এবার মনে হতেই পারে দীপাবলি র আলোর রাজ্য আবার পরের বছর দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু চোখ দিয়ে তাকিয়ে দেখলে ভালোভাবে দেখলে আমরা কিন্তু আলোর রাজ্যেই বসবাস করি। চারিদিকে অন্ধকার আলো সবকিছুই মিলিয়ে মিশিয়ে ছড়ানো ।আপনি কোনটা অনুভব করবেন কোনটা দেখবেন একান্তই আপনার ব্যাপার। অন্ধকারের মধ্যেও যদি এক চিমটি আলো আপনার চোখে না পড়ে এটা তো আপনার একান্তই ব্যক্তিগত সমস্যা।
অর্থাৎ যেটা বলতে চাইছি আলোর রাজ্য সর্বদা রয়েছে ।আমরা আলোর রাজ্যে বসবাস করি। এমন নয় যে শুধু দীপাবলীর সময় টুকু নিয়ে আলোয় আলো। যাইহোক সেসব কথা বাদ থাকুক।
কবিতাটা হঠাৎ আজ লিখলাম সন্ধ্যাবেলায় ।এখানে একটি হারিয়ে যাওয়া সন্ধ্যের কথা বলা হয়েছে ,যে সন্ধে পুনরায় আবার ফিরে এসেছে নতুন রূপ ধরে। তারই বর্ণনায় কিছু প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছি ।তুলে ধরতে চেয়েছি যেখানে শীত রয়েছে তার মাঝের এক মুঠো উষ্ণতা।
অর্থাৎ যেখানে আলো সেখানে অন্ধকার ।যেখানে অন্ধকার সেখানে আলো ।ভালো খারাপ ,আলো অন্ধকার, শীত গরম পরিপূরক এই বৈপরীত্যের সম্পর্ক জীবন ,প্রকৃতি,জগতকে সর্বদাই রঙিন করে রেখেছে।
আজও নাম নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়েছিলাম ।অবশেষে নিজের মন মত একটি নাম উদ্ধার করে নামকরণে বসিয়ে দিলাম।
শীত আগলানো ওই সন্ধ্যে
আবারও ফিরে আসবে ভাবিনি।
কিন্তু এবারে সে অন্যরূপে
মুখ তুলল।
কাশবনের ফুরফুরে হাওয়ায়
খানিকটা হেলেদুলে ,
সময়ের সাথে হাজারো বার
আড়ি ভাব করে ,
শিউলি গন্ধ মেখে
প্রকৃতিকে সং সাজিয়ে
তারপর সে দেখা দিল ।
দশভূজার রাজপ্রাসাদে
সেদিন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামল।
আচমকা!
ভাবিনি তার যাত্রা পথ এত দীর্ঘ হবে।
বেলাশেষে,
নবমের ছোবল হার মানবে ।
ছড়িয়ে দেবে আকাশের অভিমান
পুরোনো শহরে।
ভাবিনি,
সন্ধের কনকনে শীত
যে আতস হারিয়ে ফেলেছিল,
দুপুরের এই উন্মাদ বর্ষণ
তার থেকেই একমুঠো নরম রোদ
আমাকে আবার ফিরিয়ে এনে দেবে।
আশা করছি কবিতার রোমান্টিকতা আপনাদের ভালো লাগবে। সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।