রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন পার্ট -৩ || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। রবীন্দ্রজয়ন্তীর পার্ট তিন নিয়ে হাজির হলাম । যেখানে থেমেছিলাম। শুরু সেখান থেকেই করছি। আমরা মাঝেমধ্যেই বাইরে যাচ্ছিলাম আর কিছুক্ষণ থেকে আবার ভেতরে এসে বসছিলাম, আসলে ভেতরেই এসির হাওয়ার মধ্যে বসে যেখানে গান শুনতে পারছি অর্থাৎ পাশে যে রিহার্সেল হচ্ছিল আগেই বলেছি ,বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন টা কি তাহলে!!
ও নারা এত সুন্দর ভাবে রবীন্দ্র সংগীত বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে পরিবেশন করছিলেন যে বুকের ভেতরটা যেন কেঁপে উঠছিল। এর ওপর বন্ধুবান্ধব সবাই বেশ অনেকদিন পরে এক জায়গায় হয়েছি ,যেহেতু সবাই বাড়ি চলে গিয়েছিলাম ।প্রায় কুড়ি দিন পর একসাথে হয়ে গল্পগুজবের শেষ ছিল না। সাথে ছবি তোলাও হচ্ছিল প্রচুর ।সেই রকমবাহারি ছবি এবং নানান রকম অঙ্গী ভঙ্গি সেগুলো তো সমস্ত আমি এখানে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলাম না ।তবে ভীষণ মজা হয়েছে।
একজন শীতের চোটে চাদর মুড়ি দিয়ে দিয়েছে।
আমি বুঝলাম না হঠাৎ করে আমাদের ইউনিয়নের একজন দাদা খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে গল্প শুরু করলো। দুপুরবেলায় নাকি এখানে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা রয়েছে ।আমাদের সবাইকে সেখানে যেতে হবে ।এই ব্যাপারটা একেবারেই এক্সপেক্ট করেছিলাম না ।পল্লব আর আমি তো লাফিয়ে উঠলাম ।খাওয়া-দাওয়া নিয়ে আমার আর পল্লবের অনেক অনেক গল্প রয়েছে।
আমরা যে কোথায় কোথায় খেতে বসে যাই আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না। মেট্রো স্টেশন থেকে শুরু করে রাস্তার যেকোনো হোটেলে। ডাল ভাত খাওয়া শুরু করে দিই।শুধু একবার খিদে পেলেই হল তারপর আমাদের দুজনকে আর কে ঠেকায় ! আমরা লোকজন কিছু মানি না ।ভাত ডাল খেতে খুবই পছন্দ করি।
কিরকম আয়োজন করা হয়েছে এবং কোথায় খাওয়া হবে এটা সেটা কিছুই আমার জানা ছিল না ।যেহেতু ইউনিভার্সিটি থেকে এই প্রথমবার আমি জোড়াসাঁকোতে এসেছি। খুব ইচ্ছা ছিল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির ভেতরে মিউজিয়াম গুলো অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহার করে রাখা যেগুলো সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে ,সেগুলো দেখার। কিন্তু সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আর এই অনুষ্ঠানের মধ্যে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। খুব ইচ্ছা আছে একদিন ফাঁকা সময় নিয়ে দেখতে যাব।
আমরা সবাই বন্ধু-বান্ধব মিলে যে কজন ছাত্র-ছাত্রী ছিলাম দাদাদের পেছনে পেছন হেঁটে চললাম ।জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির আশেপাশের বিল্ডিং গুলো খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে । রাবীন্দ্রিক ছবিতে চারিদিকটা ভর্তি, ঠাকুরবাড়ির মহল দিয়েই যেন চারিদিকটা সেজে উঠেছে । রবি ঠাকুরের নানান রকম ছবি দেওয়ালে দেওয়ালে। শুধু রবি রবি রবি ।
তারপর যেতে যেতে একটা হল রুমের মধ্যে আমরা প্রবেশ করলাম। দেখছি সেখানে অলরেডি খাওয়া-দাওয়া চলছে। বিয়ে বাড়ির মত বসিয়ে খাওয়া দাওয়া করানো হচ্ছে। আর সবাই মিলে ফুল টিম আমরা বসে পড়লাম। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জায়গা ।চিনেমাটির প্লেট। সব যেন চকচক করছে।
এতসব আয়োজন করা থাকবে ভাবতে পারিনি। আসলে সকালবেলায় ঠিকমতো খেয়ে বেরোয়নি ।তারপরে খাবার নিয়ে যা শুরু হচ্ছে আমাদের সাথে। সেগুলো স্বপ্নের বাইরে ছিল। তাই খুবই ভালো লাগছিল। এই পোস্টটা পড়ে যে কেউ আমাকে হ্যাংলা বলতে পারেন। কিন্তু খাওয়ার ব্যাপারে এই নামকরণ নিয়ে নিতেও আমি রাজি ।
এবার আমরা খেতে বসলাম ।সামনে আহেল ,শ্রেয়া, জয়িতা আর এদিকে আমি, পল্লব আর অয়ন। খাবার দাবার আস্তে থাকলো ।ভাত, ডাল ,লেবু ,আলুর চিপস ,পনিরের তরকারি মাছের তরকারি ,চাটনি ,মিষ্টি ,পাপড় ।হালকা পাতলার মধ্যে দিয়ে বেশ জমজমাট খাবারদাবারের আয়োজন ছিল।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা আবার দুষ্টুমি শুরু করলাম কিছুক্ষণ সেটা চললো।সেই গল্প আমি পরের পোস্টে লিখব। আজকের মত এখানে শেষ করছি। আশা করি পরের পার্টটায় শেষ পার্ট হবে। সকলে ভালো থাকুন। নিজের খেয়াল রাখুন।
অনেক আনন্দের সাথেই আপনি রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন করেছেন। তবে খাওয়া দাওয়ার পরে আপনাদের দুষ্টুমির কথাগুলো জানতে খুব ইচ্ছে করছে আমার। আশা করি পরবর্তী পোস্টে জানতে পারবো, অপেক্ষায় রইলাম।
একদম অনেক মজা হয়েছিল।