হঠাৎ সেলিব্রেশন || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
গতকাল দুপুরবেলায় যখন ঘুমিয়েছিলাম। হটাৎ আমার ঘুমের ব্যাঘাত । দেখি আমার পাশের রুমের সঞ্চিতা আমার মাথার সামনে দাঁড়িয়ে ,হাতে একটা বাটি। বাটিতে চাল ভর্তি। আমাকে এসে জিজ্ঞেস করল - পায়েস বানাবো ,দেখ তো কত খানি চাল লাগবে একটু বল তো ।আমি ঘুমের ঘোরে কাটিয়ে একটু চোখ খুলে বলেও দিলাম , যেহেতু ও এক কেজি দুধ নিয়েছিল, বললাম ১০০/২০০ নে । হয়ে যাবে। তারপর ঘুমের ঘোরে বাকি আর কোন কথা জিজ্ঞেস করিনি ।তারপর ও বেরিয়ে গেল।
একটু পরে ঘুম ভাঙ্গার পরে আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম পায়েস কিসের জন্য বানাচ্ছিস। বলল ওর এক বন্ধুর জন্মদিন ।তাই জন্য পায়েস বানিয়ে খাওয়াবে ।আমার শুনে তো বেশ মজাই লাগলো। চারিদিকে তখন পায়েস পায়েস গন্ধ করতে লাগল ।তাই মন বলতে লাগল পায়েস হয়ে গেলে ,আমার মুখের ভেতরে কিছুটা হয়তো ঢুকবে । তো হয়ে যাওয়ার পর সঞ্চিতা একবাটি পায়েস আমাকে দিয়ে গেল। খেয়ে বেশ তৃপ্তি পেলাম ।মেয়েটা ভালই বানিয়েছে ।মাঝেমধ্যে এসে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করে যাচ্ছিল এটা সেটা। একটা কমতি যে কাজু কিসমিস কম।
তারপর সন্ধ্যাবেলায় কেকের ব্যবস্থা করা হলো ।ওর বন্ধুকে আমরাও চিনি। যদিও অন্য ডিপার্টমেন্টের। তবুও যেহেতু আমরা একসাথেই থাকি। সবাই সবার সাথে বেশ পরিচিত ।আমি সঞ্চিতা আর আমার মেসের পাশের রুমের একটা মেয়ে আনাহারা আর ওদিকে আর একটা বন্ধু সুপ্রিয় সবাই মিলে জন্মেঞ্জয় এর জন্মদিন সেলিব্রেট করা হলো।
নামটা কী কঠিন!! জন্মেঞ্জয়।
ঝিলের পাশে সিমেন্টের বাঁধানো যে বসার জায়গা, তারওপরে কেক রেখে কেক কেটে , তুবড়ি ফাটিয়ে😅😅 সেই ছেলে ২২ বছর পুরোন করে তেইশে পা দিল। কেক কাটার পরে কেক খাওয়া হলো ।তারপরে ওদের আবদারের আমাকে গান গাইতে হল ।ওদের আবদারে আমার দুটো চারটে কবিতাও আবৃত্তি করতে হল ।কিছুক্ষণ গল্প আড্ডা দিলাম।
এই সপ্তাহে কলকাতায় আসার পর থেকে ঘর থেকে বের হয়ে পারছি না ।সকালবেলায় ঝমঝম করে এত বৃষ্টি হচ্ছে যে ইউনিভার্সিটির ক্লাস গুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে কোথাও বেরোনো হচ্ছে না ।আমার বন্ধুবান্ধবরাও এখনও পর্যন্ত বাড়ি থেকে ফেরেনি। তাই জন্য মুডটা কেমন চুপ চুপ থাকছে। কালকে সন্ধ্যের পর বেশ কিছুটা সময় ওদের সকলের সাথে কাটাতে পেরে বেশ মজা হয়েছে।
ঘরের মধ্যে জমে থাকা ক্লান্তি নিয়ে কালকে বাইরে বেরিয়ে ছিলাম । ঝিলের সামনে বসে থাকতে কেন জানিনা কাল বেশি ভালো লাগছিলো না ।ঝমঝম বৃষ্টি আর বৃষ্টির আবহাওয়ায় মন ঠান্ডা হওয়ার থেকে কেন জানিনা গুমোট লাগছিল। বেশিক্ষণ ঝিল পাড়ে বসে থাকিনি। ওদের সাথে কোনরকমে আড্ডা মেরে ঘরে ঢুকে পড়েছি।
তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরব এবার , হয়তো কালকেই।কিছু কিছু সময় চারিদিকে আনন্দ থাকলেও মনের ভেতরে ফুর্তি আসেনা। সবকিছু সামনে যেন ফেক মনে হয় ।আর মানুষ যখন নিজে ভালো থাকেনা ।তখন অন্য কাউকে ভালো লাগবে কি করে ।যাগ্গে ছবিগুলো খুব সুন্দর সুন্দর উঠেছিল। তাই আপনাদের সকলের সাথে মুহূর্তটাকে ভাগ করে নিয়ে নিলাম।
আশা করছি আমার আজকের পোষ্ট আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। নমস্কার।
আপু আমার এক ফ্রেন্ড এর নাম ও সঞ্চিতা ছিলো।যাই হোক ভালোই হলো সঞ্চিতা বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ভালোই মজা করেছেন।আপু আপনার হাসিটা বেশ সুন্দর।ধন্যবাদ
হিহি। সেটাই হয়তো ইন্ডিয়া এসে আমার বন্ধু হয়ে গেছে।
জন্মেঞ্জয় নামটা সত্যিই অনেক কঠিন। আর এই কঠিন নামের মানুষটির জন্মদিনে আপনারা খুবই আনন্দময় সময় কাটিয়েছেন তা বেশ বুঝতে পারছি। খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সেইসাথে তুবরি ফাটিয়ে কেক কেটেছেন, সব মিলিয়ে আপনাদের দিনটা বেশ ভালোই কেটেছে। এত আনন্দময় ও ভালো লাগা দিনটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
নামটা কিন্তু আসলেই মারাত্মক কঠিন জন্মেঞ্জয়। তবে নামটা কঠিন হলেও ছেলেটা দেখতে বেশ সহজ সরল। মন খারাপের ভেতরেও খানিকটা ভালো সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি। ছবিগুলো সে কথাই বলছে। এত চমৎকার একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ দাদা। প্রথমবার ওর নাম শুনে আমি কানকে বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না।
সত্যিই আপু নামটা অনেক কঠিন। তবে যাই হোক নাম যেটাই হোক না কেন মানুষটি অনেক সরল সহজ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনারা সবাই মিলে অনেক সুন্দর ভাবে তার জন্মদিন উদযাপন করেছেন এবং অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনাদের কাটানোর সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ দাদা।
দারুন একটা সময় কাটিয়েছেন 😍
এরকম হুটহাট জন্মদিনের অনুষ্ঠান সত্যিই বেশ দারুন লাগে। জন্মেঞ্জয় নামটা বেশ কঠিন ✨
তবে সত্যিই তাকে বেশ সহজ সরল মনে হলো আমার কাছে। আর সবথেকে বেশি আলো ছড়িয়েছে আপনার মিষ্টি হাসি।
হুটহাট মজা টা আসলেই মজা দেয়। হ্যাঁ নাম কঠিন হলেও ছেলেটি সাদামাটা।
ঘুমের ঘোরে পায়েস রান্নার উপকরন তাও ঠিকঠাক বলেছিলেন ভাগ্যিস। ☺ আপনার বান্ধবীর বন্ধুর জন্মদিনে গিয়েছিলেন কিন্তু মন মেজাজ বেশি ভাল ছিল না আপনার পোস্ট পড়ে এটাই বুঝলাম। মাঝে মধ্যে আসলেই এমন লাগে। কোন কিছুতেই ভাল লাগে না। যাইহোক আপনার মন মেজাজ যাতে শীঘ্রই ভাল হয়ে যায় এ কামনাই করি। ধন্যবাদ
হ্যাঁ, হয়তো পায়েসের লোভেই সব ঠিকঠাক বলেছিলাম।