পর্দার পেছনের গল্প - পার্ট -২ || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা ।আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। কিছুদিন আগেই ফটোগ্রাফী কনটেস্ট এর জন্য যেসব জায়গায় আমি গিয়েছিলাম এবং যা যা করেছিলাম এই নিয়ে আমি কালকে গল্প শুরু করেছিলাম ।যেটুকুনি কালকে বলেছি, তারপর থেকেই আজকে বলা শুরু করছি।
শেষ পর্যায়ে এসে বলেছিলাম আমাদের দুধওয়ালা একটা শিউলি কাকু কে নিয়ে এসেছিলেন। ওনাকে আগে থেকেই সমস্ত কিছু বলা ছিল ।তারপর ওনার সাথে আমরা যে খেজুর বাগান এ ঢুকেছিলাম , সাথে সেই বাগানের মালিক ছিলেন ।খেজুর বাগান টা একদম মেইন রোডের ডানদিকে পরে। একটা পুকুরের পেছনদিকে ।রাস্তা থেকে যাওয়ার সময় খেজুর বাগান টা দেখতে পাওয়া যায় ।
হালকা হালকা অন্ধকারের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করলাম ওই বাগানের ভেতরে ।বাগানের মালিক আর ওই লোকটা মিলে শুকনো খেজুরের পাতা দিয়ে আগুন জ্বালালো। হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যে আগুন পোহানোর মজাই আলাদা ।সবাই মিলে বসে বসে তাই করছিলাম।
আর এখান থেকেই আমার শীতের দৃশ্যের একটি জাঁকজমক ছবি উঠে আসলো। তারপর দেখলাম হাত সেঁখা হয়ে যাওয়ার পরে ওনারা মাটির কলসি গুলোকে আগুনের সেঁখছেন। আগুনের ধোঁয়া দিয়ে নিচ্ছেন। আমি বুঝলাম না এটা কেন করে, হয়তো ভালো গন্ধ হওয়ার জন্য। এই হাঁড়িগুলো ওনারা আবার গাছে বাঁধবেন।
তারপরে দেখলাম ওই কাকুটি একটা মই নিয়ে উঠে খেজুর গাছ থেকে হাঁড়ি আস্তে আস্তে নামালেন ।বাগানের মালিকের আরো অনেক বাগান ছিল ।কলা গাছের বাগান ছিল। তার মাঝখান দিয়ে এগিয়ে গিয়ে আমরা একটি খেজুর গাছের সামনে গিয়ে পৌঁছলাম ।
আমি ভেবেছিলাম যেভাবে দড়ি ধরে ওঠে ,সেই ভাবেই উনি এখন খেজুর গাছে উঠবেন ।কিন্তু তখন সবার কাছ থেকে জানতে পারলাম সেটা দুপুরবেলায় করে,ওরা যখন হাড়ি বাঁধতে ওঠে ,গাছ কাটতে ওঠে, তখন ওই কাজটি করে। এখন শুধুমাত্র গাছ থেকে হাঁড়ি নামানো আর রস সংগ্রহ করা।
টাটকা টাটকা খেজুরের রস টপটপ করে পড়তে দেখলাম হাঁড়িতে। এত ভোরে আলো-আঁধারি আবহাওয়ায় মন জুড়িয়ে যাচ্ছিল এক কথায় ।আমরা খেজুরের রস ৫ বোতল নিয়ে নিলাম । ওনাদের কাছে টাকা দিতে গেলে ,ওনারা নিচ্ছিলেন না, কারণ ওরা নাকি এই রস ব্যবসা করেন না ,বাড়ির জন্য নিয়ে যান।
কিন্তু আমরা তবুও পাঁচ বোতলে ১০০ টাকা দিয়ে এসেছি ।ওই বাগানে শুকনো খেজুর গাছের পাতা দিয়ে জ্বালানো আগুন যখন নিভে গেল ,তখন একটা দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি করে ফেললাম। চারিদিকের খেজুর গাছের মাঝে হাঁড়িগুলো পড়েছিল আর ধোঁয়ায় চারিদিকটা অসাধারণ লাগছিল। কিছু কিছু গাছের মধ্যে বাধা হাঁড়িগুলো থেকে টপটপ করে তখনও রস পড়ছিল। আর এ গুলোই আমার ফটোগ্রাফির মধ্যে হয়তো আপনারা দেখেছেন।
ওই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা সবাই অনেক অনেক ছবি তুললাম ।আমি গাছে উঠতে পারব না তাই ছোট একটা খেজুর গাছের পাশে হাঁড়ি ঝুল ছিলো। সেখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছি কয়েকটা। সবমিলিয়ে বেশ মজা করেছি ওই জায়গাটুকুনিতে ।তারপরে আমি আরো অনেক ছবি তোলার জন্য অন্য জায়গায় রওনা দিলাম।
সেই সব জায়গার কথা না হয় আবার পরের পোস্টে বলব। কিন্তু সবথেকে হাসির কথা গাছে যে শিউলি কাকুটি উঠছিলেন,আমাকে ছবি তুলতে দেখে বার বার ক্যামেরার দিকে তাকাচ্ছিলেন, পোজ দিচ্ছিলেন। আর আমিও বার বার
বলছিলাম যে এদিকে তাকান না কাকু। খুব মজার ছিল ব্যাপারটা।
আশা করছি আমার আজকের পোষ্ট আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সকলের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম ।সকলে সুস্থ থাকুন ।ভালো থাকুন। নমস্কার।
দিদি পর্দার পিছনের গল্প আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ১ পর্ব টাও অসাধারণ ছিলো দিদি।আজকের ২য় পর্বেও সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির তুলার পিছের গল্প জানতে পেরে ভালো লেগেছে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে সবাই মিলে আগুন দিয়ে হাত সেঁখার বিষয় টা আরও ভালো লেগেছে দিদি আপনি ছোট একটি খেজুর গাছে খেজুর রসের হাঁড়ি টা ধরে রেখেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো দিদি❤️
প্রতি টা পর্ব যে মন দিয়ে পড়েছেন এটা আমার অনেক বড় পাওয়া দিদি। অনেক ভালো থাকবেন।
❤️
দিদি শীতের দিনে সবচেয়ে ভালো লাগে খেজুরের রস এবার আমি এই শীতে শুধু একবার খেয়েছি ৷ আপনি রসের হাড়ি ধরে ছবি তুলেছেন অনেক সুন্দর হয়েছে৷
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
প্রিয় মানুষগুলোর ব্লগ সবসময়ে প্রিয় হয়ে থাকে। আজও তার ব্যতিক্রম নয় দিদি। আগুনের তাপ পোহানো এর যে ছবিগুলো ছিল আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে, এবং আপনার ঘটনাটিও ছিল বেশ চমৎকার।
ছবিতে দেখলাম গাছ থেকে একটি হাড়ি নামাচ্ছেন, সেটি আমার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন, তার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ এখনই দিয়ে দিলাম। 😇😇
এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন।
সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন শীতের মৌসুমে খেজুর গাছের। খেজুর গাছের বাগানে খুবই সুন্দর ফটো করেছেন ।খেজুর রস আমার খুব ভালো লাগে । আপনি খুব ভোরে এই ফটোগ্রাফি করেছেন আনন্দ হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য , আনন্দের মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
ভোরে না বেরোলে প্রকৃতির আসল রূপ টাই মিস করে যেতাম দাদা। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।