লক্ষ্মী পূজার দ্বিতীয় দিন || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

নমস্কার বন্ধুরা আশা করি সকলে ভালো আছেন ।কালকে যেমন কথা দিয়েছিলাম ,ঠিক সেই মত আজকে আমি আমার লক্ষী পূজোর দ্বিতীয় দিন আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি।

শেলী দিদির ঘরে, আমার ফটোগ্রাফি

20211020_213517.jpg

২০শে অক্টোবর, সকালবেলা নটার সময় ব্রাহ্মণ আসার কথা, আমার বাড়ির কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো সাধারণত প্রতিবারে সন্ধ্যাবেলায় হয়ে থাকে, এবারে কিছু পরিস্থিতির কারণে পুজোটা সকাল-সকাল সেরে ফেলার প্ল্যানিং হয়েছিল ।সেই মতই আমার মা সেই ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে পূজার জোগাড় করা শুরু করে দিয়েছিল। আমি সকাল বেলায় ঘুম থেকে বেশি তাড়াতাড়ি উঠতে পারিনা ।সকাল সাতটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি স্নান করে মায়ের হাতে হাতে কিছু কাজ করে দিলাম।

আমার বাড়ির লক্ষ্মী পূজা

20211020_095748.jpg

আমাদের ব্রাহ্মণ ভীষণই সময় অনুযায়ী চলে ।পাঁচ মিনিট তার এদিক-ওদিক হয়না। এজন্য মাঝেমধ্যে মাথাটা গরম হয়ে যায়। আমি দেখেছি প্রত্যেক বাড়িতে ব্রাহ্মণ একটা টাইম বলে, তার থেকে ত্রিশ মিনিট পর ঢোকে ।কিন্তু আমাদের ব্রাহ্মণ ঠাকুর নটা তো নটাতেই ঢুকবে। তো যাই হোক নটা বেজে গেছে তখনও আমাদের পূজার জোগার শেষ হয়নি। ব্রাহ্মণ চলে এসেছে ।তখন ও ঠাকুরের ভোগ রান্না করা বাকি।

পদ্ম

20211020_083500.jpg

তবে একদিক দিয়ে বলতে গেলে আমাদের ব্রাহ্মণ খুবই ভালো, সে এসেই নিজে হাতে হাতে বেশ অনেক কিছু করে নিল। পুজো চলতে চলতেই আমাদের ভোগ রাঁধা হলো। এবার পুজো নিয়ে কয়েকটা কথা বলি ,আমাদের লক্ষ্মী পুজো হয় আরিতে অর্থাৎ আর এর মধ্যে ১কেজি ধান ঢেলে, সেটাকে আমরা পুজো করি ।আর আমার মা লক্ষ্মী পুজোর দিন নারায়ন পুজোও করেন। তো দুটো পূজার জোগাড় করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাওয়ার মতন ই- ব্যাপার হওয়াটাই স্বাভাবিক।

আমার ফটোগ্রাফি,শেলী দিদির বাড়ি

20211020_213632.jpg

সব থেকে বড় কথা এই পুজোটা বেশ ভালোভাবেই আমাদের বাড়িতে হয় ।হোম হয় বেশ বড় করে। পূজা শেষ হতে হতে সাড়ে বারোটা বেজে গেল। তারপর প্রসাদ দেবার পালা শুরু হয়ে গেল ।এই প্রসাদ দেওয়ার পালা শেষ হয়েছে প্রায় সন্ধ্যেবেলায়। তাই সেভাবে কেউ ঘুমোতে পারিনি ।খাওয়া-দাওয়া তো দূরের কথা ।কিন্তু যে সুযোগের টানে থাকে সে তো সুযোগেই তাল মারবে ,আমি কিন্তু দুপুরবেলা একটু ঘুমিয়ে নিয়েছিলাম 😅।

আমার বাড়ীতে সকাল বেলা পুজোর সময়

20211020_095731.jpg

যাই হোক সন্ধ্যাবেলায় আমার এক অত্যন্ত কাছের দিদির বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। আমার বাবার বন্ধুর মেয়ে । সন্ধ্যাবেলায় অনেক দোটানা থাকলেও দিদির অনুরোধে এবং ভালোবাসাতে আমি যেতে বাধ্য হয়েছি ।শেলী দিদি ভীষণই ভালো একটি মেয়ে। দিদির বাড়িতে গিয়ে খুবই আনন্দ হল ।কারণ ওখানেও আমার সমবয়সী এবং আমার থেকে বড় ছোট কিছু দাদা-দিদির বোন ভাই উপস্থিত ছিল। তাদের সাথে বেশ অনেকক্ষণ মজা হলো ।

ফটোশুট চলছে, আমার ঢং 😁

20211021_124816.jpg

সবথেকে বড় কথা শেলী দি নিজেই নিজের ঘর নিয়ে ভীষণ পরিপাটি। আমি দেখে অবাক ।ঘরে ঢুকতেই দেখলাম সারা ঘর সুন্দর আলো দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছে। প্লাস নতুন নতুন কয়েকটা গাছ ঘরের মধ্যে রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছিল ফটোসুট করার কোন একটা জায়গা। প্রসাদ খেলাম ।কাকিমা দারুন আলুর দম আর খিচুড়ি বানিয়েছিলেন ,সাথে ফল প্রসাদ, নাড়ু এটা সেটা ছিল। হ্যাঁ তবে ক্ষীরের নাড়ুটা আমার দুর্দান্ত লেগেছে ।নাড়ুর রেসিপি টা আমি কাকিমার কাছ থেকে শুনে নিলাম ।

আমি আর শেলী দিদি

20211020_210628.jpg

খাওয়া-দাওয়ার পরে বেশ অনেকক্ষণ ধরে ফটোসেশন হলো। আর সব কটা ফটোই আমার ফোন থেকে তোলা হয়েছে। আমি আমার ফোনের বাহবা দিতে লজ্জাবোধ করব না। সত্যি আমার ফোনের ছবি গুলো দারুন ওঠে।অনেক ধন্যবাদ @roy.sajib কে, এই এত ভালো ফোন আমাকে উপহার দেওয়ার জন্য।🥰

যাই হোক আমি আমার বাবার সাথে ওদের বাড়ি গিয়েছিলাম। আমি যতক্ষণ এদিকে মজা করছিলাম ,বাবাও বাবার বন্ধুদের সাথে গল্প আড্ডা দিচ্ছিল। রাত সাড়ে নটা দশটা নাগাদ আমি বাড়ি ফিরলাম। বেশ সুন্দর দিনটা কাটলো ।

আমরা সবাই আর কিছু পাগলামি

20211021_124514.jpg

পুজোর সময় যখনই আসে তখনই মনটা বেশ ভালো লাগে। কারণ পরপর কয়েকটা পুজো হতেই থাকে ।আর আগের বছর করোনা র আবহে অনেক কিছুই বেশ চুপচাপ ছিল, এবারে সকলের মুখেই একটা মিষ্টি হাসি দেখে বেশ ভালো লাগছে। সকলে সুস্থ থাকুক ।ভালো থাকুক । সকলকে অনেক ভালোবাসা। আজকের মত এখানেই আমার পোস্ট শেষ করছি। নমস্কার।
@isha.ish

প্রতিটি ছবি আমার অ্যান্ড্রয়েড স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ফিফটি টু দিয়ে ক্যাপচার করা

Sort:  
 3 years ago 

image.jpeg

ছবিটা মনে হচ্ছে আপু কথা বলতেছে সত্যি অসাধারণ একটা ছবি হয়েছে ।আর লাইটিং গুলো অসাধারণ ছিল।

পোস্ট দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুব আনন্দের সাথে পুজো কেটেছে।

 3 years ago 

হাহাহাহা, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক ভালো লাগলো।

 3 years ago 

ছবিগুলো অসম্ভব সুন্দর ছিল আপনার। দোয়া করি নজর না লেগে যায় আপু। লাইটিং এর সাথে আপনার ছবি অনেক সুন্দর ছিল।

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovVtPUDszRuKgU1wkS76kVDQuarJEPhrQCCBeYw4P5zL3mkreTn3DpPZQSrt4JZ17yWdsNVrz8Xxd3kJjqbkNBp3Q.jpeg

শুভ কামনা অবিরাম 🥀

 3 years ago 

হাহাহা, নানা দাদা, আপনাদের আশির্বাদ যতক্ষন আছে ,কারো নজর লাগবে না, ভালো থাকুন।

আপনার দিদির ঘর সাজানো টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এই লাইটগুলো আমার বাসায় ও আছে তবে অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে। কখনোই জ্বালানো হয় না। তবে আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে আমার রুমে ও এভাবে সুন্দরভাবে সাজানো যায়। অলস মানুষ তো সেজন্য কোনো ভাবনাচিন্তা কেই বাস্তবে রূপ দিতে পারি না। তবে এইবার দেখি দেওয়া যায় কিনা। আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 

আমিও একটা এরকম লাইট অর্ডার করেছি অনলাইন এ ।দেখি, আমি কেমন সাজাই,
খুব ভালো লাগলো আপনার কমেন্ট পড়ে, ভালো থাকুন।

 3 years ago 

প্রতিটা ছবি অসাধারন আর ডেকোরেটিং খুব সুন্দর দক্ষ ভাবে করে তোলা হয়েছে আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আপু আপনার লক্ষী পুজোর দ্বিতীয় দিন। শুভ কামনা রইলো।

 3 years ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 3 years ago 

একটাই কথা বলার। তা হচ্ছে,

পরেনা চোখের পলক
কি তোমার রুপের ঝলক।

আপু আপনি দেখতে খুব খুব খুব বেশি মিষ্টি। আর আপনার ছবিগুলো ও হয় অনেক দারুণ।

 3 years ago 

অনেক ভালবাসা আর আদর দিদি, ভালো থাকুন। অনেক অনেক ভালো লাগলো কমেন্ট পড়ে।

 3 years ago 

আমার তো অনেক ভালো লাগে আপনাকে দেখতে। 😜😜
তবে আমার চেয়ে আপনার ভগবানের ই বেশি ভালো লাগে অবশ্য জানি। 😉
আপনিও ভালো থাকুন।

 3 years ago 

উফফ! কি দিলে দিদি!
আপনি তো দেখছি আমার মুখ দিয়ে বেরনো শব্দ গুলোও খেয়াল করেছেন😜
আমার ভগবান🤣 @roy.sajib

অনেক আদর দিদি💓💓

 3 years ago (edited)

বোন সবগুলো ছবি এবং লেখা খুবি সুন্দর হয়েছে। কিন্তু আমি একটা বিষয় মিস করলাম সেটা লক্ষীপূজোর আলপনা। জানিনা আপনাদের ওখানে এটার প্রচলন আছে কিনা। একটি আলপনার ছবি থাকলে ভাল হতো। ভাল থাকবেন।

 3 years ago 

আলপনা ছাড়া তো পুজো হবেই না। ভালো একটা কথা আমাকে ধরিয়ে দিয়েছেন। আমি একদম ভুলে গেছিলাম দাদা। ছবি তোলার কথা মনেই ছিল না।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 68523.63
ETH 3260.51
USDT 1.00
SBD 2.66