সাধু ভাষায় গরম অনুভূতি || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
হে বন্ধুরা!! এই গরমে আমার যা হইতাছে, আমি বাকরুদ্ধ হইয়া গিয়াছি। যার ফলস্বরূপ আমি পাগলামি করিয়া আপনাদের সহিত সাধু ভাষায় বাক্যালাপ করার প্রচেষ্টা করিতেছি।জানিনা এই বাক্যালাপ সাধু ভাষায় কতক্ষন জারি রাখিতে পারিবো।
আমার মেস বাড়ির তিন তলায় আমরা পাঁচ কন্যা থাকি। যে যাহার মতো সংসার বিস্তার করিয়া পড়াশোনা করিয়া স্নাতকোত্তর প্রাপ্তির জন্য প্রবল প্রচেষ্টায় লিপ্ত।মেস বাড়ির চারিধারে গাছ গাছালি এবং জলাশয় থাকায় প্রতিনিয়ত হাওয়া বাতাস আমাদিগকে লেপন করিয়া রাখে।
ভোরের সময় থেকে শুরু করে সকাল নয়টা অবধি মনোরম আবহাওয়ার বাতাবরণ থাকিলেও, তারপর হইতে শুরু হয় আসল মজা।
সূর্য মামা নিজ ক্রুদ্ধতা প্রকাশ করিবার জায়গা খুঁজিতে খুঁজিতে আমার ঘরের বারান্দার সম্মুখপানে প্রবলভাবে নিজ দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন। যাহার কারণে আমার ঘরের দুই খান দরজার এক খান অপরাহ্ন কাল পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়।আমি আমার শত ইচ্ছার সত্ত্বেও সূর্য্য মামার এই নির্দয় শক্তির সহিত যুদ্ধ করিয়া ওই দরজা খুলে রাখিতে পারিনা।
দুপুর ঘনিয়ে এলে , কুম্ভকর্ণের ন্যয় কোনো উত্তপ্ত ভয়ংকর রাক্ষস যেন আমার ঘরটিকে আস্বাদ করে নেয় । যাহা হইতে এই কৃষ্ণনগরের রাজকন্যা রক্ষা পায় না। পৃথিবীর শত শত রাজপুত্রের নাম লইয়া ডাকিতে থাকে। কিন্তু আপসোস ! কুম্ভকর্ণের ভয়ে আমার প্রাণ রক্ষার্থে কেহ আসে নাই আজ অবধি।
পিতার সহিত পরামর্শ করিয়া ইংরেজি যুগের ঠান্ডা হাওয়া মেশিন কিনিবার কথা ভাবিয়াছিলাম। কিন্তু লোকমুখে তারই সম্পর্কে দুর্নাম শুনিয়া আমার আর ঠান্ডা মেশিন কেনা হইলো না।প্রতি দুপুর আমার কুম্ভকর্ণের রাজত্বে অতিবাহিত করিতে হয়।
জানিনা, এরপর আমার ভবিষ্যতের রাজপুত্র রামচন্দ্র হইয়া আমাকে অগ্নিপরীক্ষা লওয়াবেন কিনা! যদিও সীতার কালে রাবণ ছিল সে কারণ। আমার বেলায় আমি এই অসম্ভব গরমকে কুম্ভকর্ণের সহিত তুলনা না করিয়া পারিলাম না।
রাজপুত্রের আশায় বসিয়া থাকিতে থাকিতে অবশেষে আবিষ্কার করি এমন একটি ঠান্ডা মিষ্টান্ন। যাহা খাইলে কুম্ভকর্ণের সহিত লড়াই করিবার শক্তি বাড়িয়া উঠিবে। তাহা হইলো দই।
যে মুহুর্ত হইতে এই অনুভূতি রপ্ত করিয়াছি, আমি আর দই এর পিছন ছাড়ি নাই।
দই দই দই
টক দই মিষ্টি দই।
এই গরমে আমার সই।
আমি ঝাল ভক্ত নই।
দই দিয়ে খাই খই।
দই এর বিকল্প আর কই!??
দই পাগল হইয়া ছড়া পাতিতেও কমতি রাখি নাই।
ধন্যবাদ সকলকে, আমার এই পাগলামি প্রবন্ধ পড়িবার জন্য। সকলে সুকুশল থাকুন।
সাধু ভাষায় খুব সুন্দর বর্ণনা করেছিস রে!
এরকম কিছু প্রবন্ধ লিখিবার কিঞ্চিৎ ইচ্ছা আমারও রহিয়াছে । অবসর পাইলে অবশ্যই একখানি প্রবন্ধ রচনা করিব।
দেখবো দেখবো 😏😏😏
সাধু ভাষায় আপনার কথাগুলো বেশ ভাল লেগেছে আমার কাছে। যদিও বেশির ভাগ কথা আমি বুঝতে পারি নাই। সাধু ভাষার প্রতি এত জ্ঞান আমার নাই। তুমি আপনার প্রতিবাদে কি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আপনি। তবে এই ধারা প্রচলিত রাখেন। সামনে ভালো কিছু হবে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।
আপু আপনি খুব সুন্দর করে সাধু ভাষায় গরমের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। পড়তে যদিও একটু কষ্ট হয়েছে কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে। টক-মিষ্টি দই নিয়ে খুব সুন্দর ছন্দ বানিয়েছেন আছেন আপু। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
হাহাহা, একটু চেষ্টা করেছি দিদি ।
আপু আপনার সাধু ভাষার পোস্ট পড়িয়া আমি মুগ্ধ হইয়া গিয়াছি ।আপনি অনেক চমৎকার ভাবে আপনার মনের অনুভূতি আমাদের সাথে তুলিয়া ধরিয়াছেন।
আপু সুয্যি মামা আমাদের কাহাকেও ভালো থাকতে দিচ্ছে না ।অনেক ভালো লাগিল আপনার লেখা খানি ।
সূর্য্য মামা বড্ড পঁচা হয়ে গেছে। 😣
আপনার মুখনিঃসৃত বাক্যগুলো আমার নিকট অসাধারন লাগিয়াছে।
আমি যদিও সাধুভাষা রপ্ত করিনি। তবও আপনার পোস্ট পড়িয়া দু একটি শব্দ বের করিয়া আনার বৃথা চেস্টা করিয়া চলিতেছি। অসহ্য গরম থেকে বাহির করিয়া নিবার জন্য খুব শীঘ্রই আপনার রাজকুমার আসিবে। আপাতত দই খাইয়া ধৈর্য ধারন করেন।
ওরে বাবা দাদা! সুন্দর প্রচেষ্টা করিয়াছেন।
আপু আপনি খুবই সুন্দর করে সাধু ভাষায় গরমের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। সাধু ভাষার শব্দ গুলো বেশ কঠিন পড়তে একটু অসুবিধায় হয়েছে তবে পড়ে খুব ভালো লাগলো। এছাড়া আপনি দই নিয়ে খুব সুন্দর ছন্দ মিলিয়ে কবিতা লিখেছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ হয়েছে লেখাটা আপু। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
খুব ভালো লাগলো দাদা কমেন্ট পড়ে। ভালো থাকুন।
পাগলামির সাথে আরো কিছু
আমি তা বলতে না চাই
সাধু ভাষায় অনেক কিছু
বুঝিয়ে নিলাম তাই।
কুম্ভকর্ণের আসল রূপটা
এখন যদিও হয় বিরূপ,
শীত আসলেই তাহা আবার
হয়ে যায় বন্ধুর স্বরূপ।
প্রেম বিরহে কুম্ভকর্ণ
থাকে সবার সাথে,
সীতার নামে হইলেন যুক্ত
একটু আরাম পেতে।
দই'য়ের সাথে সই পাতিলেন
ঝালের সাথে আড়ি,
ঠান্ডা হাওয়া মেশিন বলে
করছেন বাড়াবাড়ি।
আসলেই আপু প্রচন্ড গরম পড়তেছে। আসলে এই গরম সহ্য করা খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আপনি এই গরমের অনুভূতি সাধু ভাষায় প্রকাশ করেছেন আপনার লেখাগুলো পড়ে খুবই হাসি পাইতেছিল আর ভালো লাগছিল।
ঠান্ডা মেশিনের কথা শুনিয়া আমিও ভাবিয়া নিয়াছি উহা কিনিয়া বোন যেন ঠকিয়া না যায়। উহা শুধুই আমাদের ঠান্ডা করিবে বলিয়া বিক্রয় হইতেছে। কিন্তু কোন রুপ ফলের আসা না করিয়া কিছু লোক ঠান্ডা অনুভব করিবার আশায় উহা কিনিয়া পস্তাইতেছে। দৈ কিংবা লেবুর শরবত হইতে পারে এই গরম রাক্ষস থেকে মুক্তি পাইবার উপায়। আমিও পাগলামি করিয়া একটু চেষ্টা করিলাম বোন হা হা। শুভেচ্ছা রইল।