কিছু গল্প|| ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন।চলুন আজ একটু গল্প করি । বেশ কিছুদিন আগে পয়লা বৈশাখের আগে বাড়ি গিয়েছিলাম ,কলকাতায় কেন জানিনা বিকেলের পর থেকে গরম কম লাগে। আবার অনেকে বলে লু বয় ।আসলে হতেই পারে ।আমি যেখানে থাকি সেখানে যেহেতু ঝিল রয়েছে, তার দিকে খোলামেলা জায়গা হাওয়া বাতাস ।তাই জন্যই হয়তো আমার গরমটা কম লাগে।
আর কলকাতার বেশির ভাগ জায়গা এত গিঞ্জি ।সেখানে গরম লাগাটা এবং লু বইছে, এটা স্বাভাবিক। তবে সত্যি করে বলতে গেলে আমি যেখানে থাকি সেখানকার থেকে কৃষ্ণনগরের গরম বরং বেশি। কৃষ্ণনগরে আমি যখন যাই ,যদি সেটা ছুটির দিন থাকে ,তাহলে ওই নটা বাহান্ন ট্রেনটা ধরার চেষ্টা করি ।
সেদিন তো সেইভাবে গিয়েছিলাম ।ট্রেন আস্তে আস্তে ঢুকে পরল কৃষ্ণনগর । এগারোটার সময় ট্রেন থেকে নেমে বেরিয়ে এসে টোটোওয়ালাদের ডাকাডাকি শুরু হয়ে গেল ।বহু বহু লোক টোটোর জন্য বসে রয়েছে বাড়ি ফিরবে বলে। আমি ও বাড়ি যাব বলে আমার এলাকার টোটো খুজলাম। টোটো করে স্টেশন থেকে আমার বাড়িতে মাত্র কুড়ি টাকা দিয়ে পৌঁছে দেয় ।এখানে কলকাতায় সামান্য গলির ভেতর ভেতর দিয়ে একটুখানি রাস্তাতেই ৩০ টাকা ৪০ টাকা চাহিদা করে ।আমার ব্যবহারগুলো একেবারেই অবান্তর লাগে।
যাই হোক বাড়িতে গিয়েই আমি ফ্রেশ হলাম ।কতদিন পরে মায়ের হাতে রান্না জুটলো ।তারপরে আইস ক্রিম এর ডিব্বা নিয়ে বোসলাম ।আমি আসবো বলে বাড়িতে আইসক্রিম কিনে রেখে দিয়েছিল আমার জন্য। আমি আমুল বাটার স্কচ আইসক্রিম খেতে ভালোবাসি ।কিন্তু দেখলাম সেইটা বেশ গলে রয়েছে কারণ ফ্রিজের টেম্পারেচার টা কমিয়ে দেওয়া হয়নি ।
পয়লা বৈশাখের দিন আমি অনেক অনেক জায়গায় যাই ।কিন্তু ছোটবেলা থেকেই বাবার সাথে হালখাতা বেরোনোর সব রয়ে গেছে ।বাবার এক বন্ধুর কারখানায় নিমন্ত্রণ ছিল। পুজো হয়েছে লোকজন খাওয়াচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে নেমন্তন্ন করেছে । আমি,বাবা ঈশান গেলাম। মা দুপুরবেলায় গেল না গরমে।মার শরীরটা ভাল লাগছিল না বলে ।ওখানে যাওয়ার পর আমি খাওয়া দাওয়া করলাম।
মেনু ছিল আলুর দম , ছোলার ডাল ,মিক্স ভেজ পনির ,চাটনি,মিষ্টি ।যাই হোক ভালো মন্দ খাওয়া-দাওয়া হল । এবার বাড়ি এসে হঠাৎ করে মুখ ধুতে গিয়ে গাছের দিকে চোখ পরল। আমার বাচ্চা গুলোকে এখন মা খুব আদর যত্ন করে। তাই নানান রঙের ফুল ফুটেছে জানলার পাশে ।
আমার গাছ বাচ্চা গুলো বেশ ভালো আছে দেখলাম ।নতুন নতুন পাতা গজাচ্ছে ।এগুলো দেখে বুঝতে পারলাম গাছগুলো অনেক যত্ন পাচ্ছে ।এমনকি বিশেষ করে ভালো লাগলো অর্কিড গাছের গোড়া থেকে নতুন গাছ গজাতে দেখে।
যাইহোক এবারের পয়লা বৈশাখ ভিন্ন ছিল।প্রত্যেকবারের এভাবে হালখাতা করতে বেরোয়। সেভাবে হয়নি বাড়িতে কাটিয়েছি মা-বাবার সাথে।
সকলে ভালো থাকুন। নমস্কার।
@isha.ish
দিদি এই লু বয় এবং গিঞ্জি শব্দ গুলোর সাথে আসলে ওই ভাবে পরিচিত নই তাই এগুলোর অর্থ টা যদি একটু বলতেন। দিদি আপনার পুরো গল্পটি পড়লাম গল্পের মধ্যে নটা বাহান্ন ট্রেন ধরা, টোটো নিয়ে বাড়ি ফেরা, বাড়ি গিয়ে আইসক্রিম খাওয়া এবং আপনার ছোট বাচ্চা গাছগুলো নতুন বাচ্চা জন্মানোর সেইসাথে নেমন্তন্ন খাওয়ার বেশ কিছু মজার আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দিদি বেশ ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ দাদা গুছিয়ে মন্তব্য করেছেন। ভালো থাকুন।
আসলে আপু আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই অসাধারণ ছিল। এত চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকুন।
আপনার মত আমিও আইসক্রিম খুবই পছন্দ করি। এরকম আজকের ডিব্বা আমারতো আর কিছুই লাগবেনা। সত্যি আপনার মা অনেক যত্নশীল। আপনি আসবেন বলে আইসক্রিম নিয়ে হাজির হলো। গাছগুলোকে কি সুন্দর যত্ন করেছে। আমার কাছে প্রত্যেকটা বিষয় খুবই ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করলেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দিদি। আমার মনে হয়, সব মা ই এরকম।
ইশা আপু আইসক্রিম দেখি আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছিল। আইসক্রিম আমার খুবই পছন্দ। আপনার গাছ বাচ্চা গুলো দেখে বেশ ভালো লাগছে😁। আপনার গাছ বাচ্চাতে একটি ফুল ধরেছে । আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ফুলটি প্লাস্টিকের পরে দেখি না আপনার গাছের। যাহোক আপু আপনি আপনার পহেলা বৈশাখ বাবা-মার সাথে খুব সুন্দর করে কাটিয়ে যাচ্ছেন। নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য শুভ নববর্ষ আপু।
হাহাহা, প্লাস্টিকের মতই তো দেখতে। অনেক ধন্যবাদ।
ছোট বেলায় হালখাতায় নিমন্ত্রন করতো , বাবা আমাকে নিয়ে যেতো। দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেলে আজকের লেখা গুলো পড়ে। তবে এখন আর কোথাও যাওয়া হয় না। সত্যি বলতে যায় দিন ভাল, আসে দিন খারাপ। ভাল থাকবেন বোন। শুভেচ্ছা।
একদম ঠিক বলেছেন, এই কথা টা আমার মা ও বলে যে ,আসে দিন ভালো, যায় দিন খারাপ।