জগদ্ধাত্রী পুজো ঘোরাঘুরি ||পার্ট - ৩|| ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা ।আশা করি সকলে সুস্থ আছেন ।সকলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা নিয়ে আমি আমার পোস্ট লিখতে বসলাম ।কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর ধুমধাম মাতামাতি নিয়ে আপনাদের অনেক কথাই বলেছি ।আর কত যে পুজো হয় এখানে, তার গণনা আমার কাছে নেই ।
তো ঠাকুর দেখা একদিনে আর দু দিনের মধ্যে শেষ করা খুব সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ।তবুও কিভাবে জানিনা আমরা কৃষ্ণনগর শহরবাসী ঠাকুর দেখতে যাই নাচতে নাচতে।বৃষ্টি হোক।আর ঝড় হোক।🤪
আমার মিষ্টি মা
ঠিক এই ভাবেই পুজোর দিন আমি বলেছি আগের পোস্টে বৃষ্টি হচ্ছিল ,পুজোর দিন সকাল বেলায় আমাদের বারোয়ারি তে মায়ের ভোগে এবং অষ্টমীর অঞ্জলি এবং অন্যান্য পূজোর কাজে কেটে গেছে সময়টা। তারপরে সাড়ে চারটে নাগাদ আমি দাদা ,বোন আর মা ,ভাইকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ছিলাম।
তখনও ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়ছে ।আমি ভাবতে পারিনি যে যেতে পারবো ।যেহেতু সকাল থেকে একদম উপস রয়েছি ।শরীরটা ঠিক ঠাক লাগছিল না ।তবুও মায়ের কৃপায় বের হতে পেরেছি। আসলে আমি বেশি ঠাকুর দেখি না। যেহেতু এবারে আমার বোন এসেছে ।ওকে সাথে করে ঠাকুর না দেখালে ,ব্যাপারটা খারাপ দেখায় ।তাই ওর সাথে এদিক ওদিক যাওয়া।
ওপরে যে ছবিগুলি দেখছেন, এই প্যান্ডেল টি তে চিড়িয়াখানা থিম করেছিল। প্যান্ডেল টির ভেতরে ঢুকব কি !কাদায় ভর্তি। তবু যেটুকু এন্টার করেছি, একটু ছবি তুলেছি ,আবার বেরিয়ে আসতে হয়েছে ।সবথেকে হাসির কথা প্যান্ডেল এর ভিতর ঢোকা হয়নি সেই ভাবে , এই প্যান্ডেলের প্রতিমা দর্শন করতে পারিনি।
আদুরে লোকজন
টাইটানিক সিনেমার ওপর ভিত্তি করে প্যান্ডেল তৈরি হয়েছিল। এখানেও রাস্তায় খুব কাদা থাকায়, ঢোকা পসিবল হয়নি।😔 আগের দিন আমাদের আশেপাশের যেগুলো মেনমেন ঠাকুর সেগুলো দেখে এসেছি হেঁটে হেঁটে রাতের বেলায় ।সেই নিয়ে তো আপনাদের আমি শেয়ার করেছি।
তাই পুজোর দিন এই বিকেল বেলায় বেরিয়েছিলাম ।আমাদের ঘূর্ণী এলাকার ঠাকুর গুলো দেখতে অর্থাৎ আমাদের এলাকার। আমাদের এলাকার পেছনদিকে যতগুলো ঠাকুর করে খুব ভালো থিম করে পুজো করে। কিন্তু বেশিরভাগ টাতেই ভেতরে ঢোকা হয়ে ওঠেনি। তাও যে কটা পেরেছি দেখেছি এবং ছবি তুলেছি ।আমাদের ঘূর্ণী এলাকাটা বেশ বড়সড় । এরই অনেক ভাগ রয়েছে।
কী অপূর্ব প্রতিমা
কেদারনাথ মন্দিরের ওপর বেস করে এই প্যান্ডেল টি তৈরি হয়েছিল। দারুন করেছিল। ও আর একটা কথা বলা হয়নি ।আমরা যখন ঠাকুর দেখছিলাম, তখন বৃষ্টি থেমে গিয়েছিল। কিন্তু রাস্তায় কাদা আর জল ভর্তি ছিল। ভাগ্যিস টোটো নিয়ে থেমে থেমে ঠাকুর দেখেছি ,না হলে হাটু জল দিয়ে পারাপার করতে হতো।😜
এরপরের একটি ক্লাবে অমরনাথ থিম ছিল। এটাও খুব সুন্দর করেছিল। ইলেকট্রিক এর সাহায্য নিয়ে ঝরনা বেশ সুন্দর লাগছিল ।উচ্চ পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে যেতে ও বেশ ভালো লাগছিল ।
আমাকে আমার বোন মজা করে বলছিল , দেখ ফালতু ফালতু কাশ্মীর ঘুরতে গেছিলি। আর এখন কৃষ্ণনগরে বসেই অমরনাথ ,কেদারনাথ ,আবার চিড়িয়াখানা ,এমনকি টাইটানিক ঘুরে দেখছিস।🤣🤣
আমার মাতা শ্রী আর আমার গুণধর ভাই
কৃষ্ণনগরে অমরনাথ ( হর হর মহাদেব)
আশা করছি বন্ধুরা আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সকলের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম। কালকে আবার নতুন আরেকটা পোস্ট নিয়ে হাজির হব ।সকলের সুস্থ থাকুন। ভালো থাকুন ।নমস্কার।
@isha.ish
এই ব্যাপারটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। একদম ইউনিক লেগেছে আমার কাছে ব্যাপারটি।আর দেখতেও একদম হুবহু টাইটানিক এর ওই দৃশ্যের মতোই লাগছে।
সত্যিই তাই, দারুন করেছিল। কিন্তু এই যে এত কষ্ট করে করার পর বৃষ্টিতে 😩 কি কষ্ট বলো তো!