আবরণ - স্বরচিত কবিতা

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। তবে আমার শরীরের হাল ভীষণ খারাপ ।সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে নাক বন্ধ। জ্বর জ্বর মত অবস্থা ।মাথা যন্ত্রণা করছে ।গলা ব্যথা, টনসিল ফুলে গেছে।
যেহেতু দিনরাত্রি গান গাইতেই থাকি।এরকম হলে আমার অনেক সমস্যা হয়। খুব খারাপ লাগে। গলা দিয়ে আওয়াজ বার করতে না পারলে যেভাবে কষ্ট হয় আমি বলে বোঝাতে পারবো না ।গলার থেকে হয়তো মনের যন্ত্রণা প্রবল ।

ওই নিয়েই ইউনিভার্সিটি গিয়েছিলাম ,আসলে আজকে আমার ইউনিভার্সিটিতে একটা পেপারের ইন্টারনাল পরীক্ষা ছিল। তাই আজকে যেতেই হতো। পরীক্ষা দেওয়ার পর ক্লাস করতে চলে গেলাম। একটা ক্লাস তো দিব্যি ভালোভাবে হলো ।তারপরের থেকে শরীরটা বিদ্রোহ শুরু করল।
ক্লাসের মাঝে কতবার যে ঘুমে টুপ ছিলাম। রবীন্দ্রভারতীর একজন বিখ্যাত প্রফেসর বিদ্যাসাগর উপাধিপ্রাপ্ত হিমবন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি রবীন্দ্র সাহিত্যের ক্লাস নিচ্ছেন। আর আমি তার সামনে ঘুমে ঢুলছি ,কি লজ্জা জনক ব্যাপার।

কিন্তু আমার না চাই তেও এরকম হয়ে যাচ্ছিল। শরীরের হাল ভীষণ খারাপ ছিল ।স্যার বুঝতে পেরে আমার সাথে কথা বললেন ।আমি ভীষণ লজ্জা বোধ করছিলাম ।কারণ এত একটা ইম্পরট্যান্ট টপিক নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ।তার মধ্যে আমার এই হাল। স্বাভাবিকভাবে খারাপ লাগছিল। কিন্তু স্যার একেবারেই অন্যরকম ।বুঝতে পারলেন আমার শরীরের অবস্থাটা এবং আমাকে সাজেস্ট করলেন আমি যাতে পরে আর ক্লাস না করি, বাড়ি চলে যাই ।সাথে কিছু ওষুধের কথাও সাজেস্ট করলেন।

এরকম আসলে কোনদিনও হয়নি ।ভীষণ খারাপ লাগছিল।বাড়ি এসে গরম জল করে ভেপার নিয়েছি। যেটা সকালবেলাতেও নিয়েছি ।ভেপার নিলে আমার বেশ তাড়াতাড়ি ঠান্ডা লাগা সেরে যায় ।তারপর প্রায় দু ঘণ্টা মতো ঘুমিয়েও নিয়েছি। তারপরে সুন্দর করে ঝাঁঝালো চা করলাম ।চা খেয়ে পড়তে বসলাম।
পড়তে পড়তেই হঠাৎ করে কবিতা র উদয় হল ।আমি নিজেও বুঝতে পারি না ,আমি কখন কিভাবে টপিকের উপর কবিতা লিখে ফেলি।কিছুক্ষণ আগেই এই কবিতাটা লিখে ফেললাম। পড়ছিলাম, কবিতা লিখতে শুরু করে দিলাম। আর নিজের অজান্তেই একটা লেখা দাঁড় করিয়ে ফেললাম। এভাবে কিছু কথা কবিতাতে ব্যক্ত করতে দিব্যি লাগে।

water-444222_1280.jpg

সোর্স

আবরণ

আবরণ খসে গেলে নাকি
সমাজে ইজ্জত থাকে না।
কিন্তু আবরণ যা সবার আছে ,
তার অস্তিত্ব কী সবখানেই প্রযোজ্য?
উত্তরটা সবার জানা।
কিছু জায়গায় আমাদের আবরণ থাকেনা।
থাকেনা ভয় ,
সেটা চক্ষুলজ্জারও নয়।

কিন্তু এমনই খোলা মাঠে,
যে মাঠে পয়লা বৈশাখের
নতুন জামাটা পড়ে দৌড়তে হয়নি।
পড়তে হয়নি রকমারি অলঙ্কার।
সেখানেই যদি চুল বেঁধে ,
কানের দুল পড়ে,
কথায় শহরের সরপুরিয়া এনে ,
পরিপাটি হয়ে ছুটতে হয় ।
তবে কেমন লাগে?

পড়তে পড়তে
হঠাৎ জল পড়ার শব্দে
কলঘরের দিকে ছুটে গিয়ে দেখি ,
লাল রঙের বালতিটা ভরে গেছে,
জল উপচে পড়ছে।
কখন যে টাইমের জল এসেছে,
টের পাইনি।

কল বন্ধ করে দিতে হয় তখন।
উপচে পড়া যে সমুদ্র
তার দিকে তাকিয়ে ভাবি,
আজ আবরণ কী এই কারণেই?

আশা করছি আমার পোস্ট আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। সকলে নিজের খেয়াল রাখুন ।আসলে এই সময়টা সকলেরই জ্বর সর্দি হচ্ছে ।তাই একটু সাবধানে চলাফেরা করুন। আজকের মত এখানেই শেষ করলাম।

@isha.ish

Sort:  
 2 years ago 

কবিতাটা সুন্দর কিন্তু এর মানে আমি কিছুই বুঝিনি 🥴 ,, খুব খারাপ লাগলো আপনি অসুস্থ আমিও কিছুদিন আগে জ্বর থেকে উঠলাম এখনও গলা ব্যথাটা রয়ে গেছে আপনার টনসিল কথা বলতে পারছেন না দোয়া করি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান।

 2 years ago 

আপনার অবস্থা টা বুঝতে পারছি দিদি। আমার যখন জ্বর ঠান্ডা গলাব‍্যাথা হয় তখন একেবারে অসহ‍্য লাগে। খুবই বাজে একটা অবস্থা হয়। আবরণ মানুষের সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ। এটা দিয়েই মানুষ তার আসল রুপকে সংবরণ করে। কবিতা টা ভালো লিখেছেন দিদি।।

 2 years ago 

আমারও একই অবস্থা দিদি।দিন দুই ধরে গলার ব্যাথায় অবস্থা খারাপ।

আবরণ খসে গেলে নাকি
সমাজে ইজ্জত থাকে না।
কিন্তু আবরণ যা সবার আছে ,
তার অস্তিত্ব কী সবখানেই প্রযোজ্য?

খুব সুন্দর লিখেছেন।তবে এই লাইনগুলো সত্যিই দারুন ছিল।🙏

 2 years ago 

প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করি। আমারও কিছুদিন আগে এরকম গলা ব্যথা জ্বর ছিল।

আবরণ খসে গেলে নাকি
সমাজে ইজ্জত থাকে না।
কিন্তু আবরণ যা সবার আছে ,
তার অস্তিত্ব কী সবখানেই প্রযোজ্য?

আপনার কবিতাটি আমার খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে এই লাইনগুলো খুব অসাধারণ লাগলো আমার কাছে। আপনার কবিতাতে অনেক বাস্তবতা মিল দেখা যায়। খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.27
JST 0.041
BTC 104664.06
ETH 3858.84
SBD 3.32