বান্ধবীর জন্মদিনের মুহুর্তগুলো
বেশ অনেক গুলো দিন কেটে গেছে তাই অনেক অনেক গল্প বাকি থেকে গেছে ।যেগুলো শেয়ার করা হয়নি। যখনই এই প্লাটফর্মে লিখতে আসছি। মনে হচ্ছে কত কথা ,কত গল্প পড়ে রয়েছে। মনের কাছে কত কথা বলার রয়েছে। তাই ভাবলাম একটা সুন্দর মুহূর্তের সময়টুকু আপনাদের কাছে শেয়ার করে ফেলি ।
বেশ অনেকদিন আগের কথা। মার্চের ১২ তারিখে আমার ছোটবেলার বান্ধবী মধুমিতার জন্মদিন ছিল। যেহেতু আমাদের গ্রুপে সকলেই নানান কাজে ব্যস্ত থাকে। এখন সকলেই বড় হয়েছে ।কেউ চাকরি করে, কেউ পড়ছে। তাই গেট টুগেদারটা হয়ে ওঠেনা ।তবে কোন অনুষ্ঠান কিংবা কারো জন্মদিনে, পুজোতে তখনই আমরা এক জায়গায় হই। ছোটবেলাকার বন্ধুরা কখনোই হারিয়ে যায় না ।
হতে পারে আমাদের প্রত্যেক দিন কথা হয় না ।প্রত্যেক মাসেই কথা দেখা হয় না ।তবুও বন্ধুত্বগুলো টিকে রয়েছে ।এখনো কোনো প্ল্যান হলে এই গ্রুপটা একসাথে থাকে ।মধুমিতার জন্মদিন এমন একটা দিনে পড়েছিল তার আগের দিন আমরা সবাই বাড়ি ছিলাম এবং সেই মতন একটা প্ল্যান করা হয়েছিল।
আমার জন্মদিনে ডিসেম্বরে কেউ থাকতে পারেনি ,তাই তার আগে সবাই মিলে প্ল্যান করে আমাকে এসে সারপ্রাইজ দিয়েছিল ।আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল। এবারে মধুমিতার ভাগ্য ভালো ওর জন্মদিনের আগের দিন আমরা সকলে বাড়ি ছিলাম এবং ওই দিনকেও আমরা বাড়িতে থাকতে পেরেছি।
তাই সেভাবে প্ল্যান করে দিনটাকে সুন্দর বানাতে পেরেছি। রাত থেকে কেউ ওকে কোন মেসেজ করিনি ,উইশ করিনি। আমরা জানতাম ও ভীষণ রেগে যাবে ।প্ল্যান হয়েছিল -আমাদেরই মধ্যে একজন ওকে নিয়ে নার্সারি যাবে। মধুমিতা ভীষণ বাগান প্রেমি ,গাছ ভীষণ পছন্দ করে।
আর গাছ সম্পর্কে আমার আর ওর জ্ঞান সবথেকে বেশি আমাদের গ্রুপে। আমাদের মধ্যে একজন অনামিকা ওকে বলেছিল - যেহেতু ঈশা বাড়িতে থাকবে না। তুই আমার সাথে একটু চল নার্সারিতে। আমি কিছু গাছ কিনব। আর তোর থেকে ভালো গাছ সম্পর্কে তো কেউ জানে না। মধুমিতা রাজি হয়ে গিয়েছিল ।আর ও ভাবতেও পারিনি এর পেছনে আর কত কি প্ল্যান হতে পারে।
অনামিকার সাথে দেখা করার পর অনামিকাকে নাকি অনেক মেরেছে ও। কারণ জন্মদিনের উইশ তখনও করেনি বলে। এদিকে নার্সারির পাশেই একটা সুন্দর রেস্টুরেন্ট রয়েছে আর সেই রেস্টুরেন্টে আমরা কেক নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম ।স্বাভাবিকভাবে ওরা গাছ কিনে রেস্টুরেন্টে কফি খাবে বলে আসে। আর আমাদের দেখে মধুমিতা সারপ্রাইজ হয়ে যায়।
খুব সুন্দর ভাবে ওকে চমকাতে পেরে আমরা সকলেই ভীষণ মজা পেয়েছিলাম। ভিডিও থেকে স্ক্রিন শট তুলে দিলাম, এক্সপ্রেশন দেখে হয়তো বুঝতে পারছেন কত খুশি হয়েছিল ও। তারপর সকলে মিলে ওর জন্মদিন সেলিব্রেট করা হয় ।খুব মজা হয়েছিল। আমরা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে আবার সন্ধ্যের পর পর বাড়ি ফিরে এসেছি।ছবিগুলো আজকে দেখতে পেয়ে ভাবলাম শেয়ার করে ফেলি।
সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আজ এটুকুই।
অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম আপু। আসলে আপনার কন্ঠের গান গুলো এখনো খুব মিস করি। বান্ধবীর জন্মদিনে মুহূর্ত গুলো চমৎকার ভাবে উপভোগ করেছেন। সবাইকে নিয়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন । বান্ধবীর জন্মদিনে কাটানোর অনুভূতি গুলো সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
গান পোস্ট করতে হবে। আমিও বেশ মিস করেছি। সকলে ভালো থাকুন। এটাই চাই
আপু, অনেকদিন পরে আপনার পোস্ট দেখে আমি নিজেই চমকে গেছি। আপনার বান্ধবীর জন্মদিনের মুহূর্তটুকু আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অনেকদিন পরে আপনার লেখা পোস্ট পড়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আশা করি এখন থেকে নিয়মিত আপনার পোস্ট গুলো পড়তে পারব। অনেকদিন পর আমাদের মাঝে ফিরে আসার জন্য প্রিয় আপু আপনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
হাহাহা, চমক তো লাগবেই। একেবারে যে ভূতের মত আসি যাই। আসলে পড়াশোনার জন্য হয়ে ওঠে না। চারিদিকের এত প্রেসারের পর মনে হয় ঘুমাই। লিখতে মন চায় না। তাই এই দশা।