নমস্কার বন্ধুরা।কেমন আছেন সকলে? আরো একবার নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছি। সকলকে অনুরোধ রইলো পোস্টটি ভালো ভাবে দেখার জন্য।

গণেশ ঠাকুর কে আমার খুব মিষ্টি আর কিউট লাগে। আর ছোটো জিনিস আমার খুব পছন্দ। সেদিন রাতে এমনি প্লে ডো দিয়ে খেলতে খেলতে হটাৎ বানিয়ে ফেললাম গণেশ ঠাকুর। যখন আকৃতিটা আস্তে আস্তে আসছিল। আমি ভীষন উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম।

কিভাবে তৈরি করবে প্লে ডো দিয়ে গণেশ ঠাকুর

১.

প্রথমে তোমার পছন্দ মত রঙের প্লে ডো তুলে নাও। চেষ্টা করো শরীর এর রঙ বোঝায় এমন কোনো রং বাছতে। যেমন দেখো আমি এখানে হালকা গোলাপি আর একটু কমলা রং এর ডো নিয়েছি, যাতে একটা স্কিন এর রং তৈরি হয়।
যাইহোক তারপর মিশিয়ে গোল করো । হাতের তালুর সাহায্যে।

২.

তারপর আবার কমলা রঙ টা একটু বেশি আর গোলাপী টা কম নিয়ে আবার মিশিয়ে একটু হালকা কমলা কমলা ভাবের একটা গোল তৈরি করলাম।

৩.

আগের গোল আর পরের গোল টা কে এক করে দিলাম। ঠিক এই ভাবে।

৪.

এবার নিয়ে নিয়েছি সবুজ রঙের প্লে ডো। এই রং দিয়ে আমরা গণেশ ঠাকুরের পা তৈরি করব। দুটো অল্প গোল্লা নিয়ে, সেটাকে লম্বা করে লঙ্কার মত বানিয়ে দেব।

তারপর যে শরীরের আকৃতি তৈরি করেছিলাম ।তার নিচের দুপাশে ডানদিক থেকে ও বাম দিক থেকে ঠিক এইভাবে লাগিয়ে দেব।

৫.

এবার হালকা গোলাপি লেটো থেকে দুটো ছোট ছোট গোল করে নিয়েছি পায়ের পাতা বানানোর জন্য। ঠিক এইভাবে বানাবো।

৬.

আবারো গোলাপি থেকে দুটো গোল্লা বানিয়ে নিয়েছি তারপর এটাকে গণেশের কানের মত আকৃতি দিয়ে মুখের দুই পাশে লাগিয়ে দেবো।

৭.

আবারো দুটো গোল্লা নিয়ে সেটাকে লম্বা করে গণেশের হাত বানিয়েছি। হাতের আকৃতি দেওয়ার পর একটা চেয়ারির সাহায্যে আশীর্বাদ করছে এরকম হাতটাকে বানিয়েছি।

৮.

এবার গণেশের মুকুট তৈরি করতে আমি নিয়ে নিয়েছি হলুদ রঙের ছোট ছোট তিনটে গোল্লা ।তিনটে ধাপে মুকুটটা তৈরি হবে। একটা লম্বা করে নিচের দিক দিয়ে যাবে ।তার ওপরে আবার একটা লম্বা করে যাবে ।

তার ওপরের মুকুটের মাথাটা ছুঁচলো ত্রিভুজের মতো করে বানাবো। আশা করছি ছবি দেখে আপনারা বুঝতে পারছেন আমি কি বলতে চাইছি।

৯.

এবার শুঁড় বানাতে আমি আবার একটু গোলাপি রঙ আর একদমই অল্প কমলা রং মিশিয়ে নিয়ে সুরের আকৃতি দিয়েছি তারপর শুঁড় উপর দাগ কেটেছি।

১০.

এবার গণেশ এর চোখ বানাতে একদমই ছোট ছোট কালো দুটো গোল নিয়েছি।

আর সাথেই কমলা রঙের তিনটে গোল নিয়েছি ছোট্ট লাড্ডু বানানোর জন্য।

১১.

এবার গণেশের দাঁত বানাতে একদমই অল্প সাদা রঙের দুটো ছোট গোল্লা নিয়ে, দাঁতের আকৃতি দিয়ে ,গণেশের শুঁড় এর দুপাশে লাগিয়ে দিয়েছি।

আর এই ভাবেই কিন্তু তৈরি হয়ে গেছে আমাদের ছোট্ট গণেশ ঠাকুর। আমি ভাবতেই পারিনি এত সহজে এবং অল্প সময়ে আমার হাতে গণেশ ঠাকুর তৈরি হবে ।কারণ আমি এরকমভাবে কখনো ঠাকুরের মূর্তি তৈরি করার চেষ্টা করিনি ।তাই জন্য আমি খুব খুশি।

অনেক ধন্যবাদ আপনাদের সকলকে আমার পোষ্টটটি ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। আপনাদের মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।

নমস্কার।
@isha.ish