কাশ্মীরের পথে || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

২৪ শে অক্টোবর আমার বাবা কাজের সূত্রে কাশ্মীর এর পেহেলগাম নামক জায়গায় যেতে বাধ্য হন ।আসলে বাবা ওখানকার একটি গভর্মেন্ট মিউজিয়ামের স্কাল্পচার এর কাজ করেছেন। স্কাল্পচার গুলো তৈরি হয়েছে আমাদের কারখানাতেই অর্থাৎ কৃষ্ণনগরে। তারপর ট্রান্সপোর্ট এর মাধ্যমে এখানে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে । স্কাল্পচার গুলো ঠিকঠাক জায়গায় বসাতে বাবার ইনস্ট্রাকশন জরুরী ।সেই সূত্রেই সরকার থেকে সমস্ত ব্যবস্থা করে দেয় বাবার জন্য।

বাবা যেদিন রওনা দিলেন ,তার আগের দিন থেকে আমি বাবার সাথে জেদ শুরু করেছিলাম যে ,আমাদেরও নিয়ে চলো ।কারণ আমি জানতাম এখন ওয়েদার টা কেমন ।বরফ পড়ছে এবং আমার পাহাড় খুবই পছন্দের জায়গা। কিন্তু বাবার কাজের সূত্রে এখানে আসা ,তাই বাবা নিজের কাজের যাতে সমস্যা না হয় ,সেজন্য আমাদের আনতে চাইলেন না ।

যেদিন বাবা এখানে এসেছেন ,পৌঁছতে পৌঁছতে বাবার বিকেল হয়ে গেছিল। তার আগের দিন থেকেই এখানে অর্থাৎ পেহেলগাম এ বরফ পড়ছে। এখানে আসার পরে ,সব কিছু দেখার পরে বাবার নিজের মন খুব খারাপ লাগছিল যে ,কেন আমাদের আনলেন না ।তাই তার পরের দিনই সবকিছু প্লানিং করে আমার ,মায়ের এবং ভাইয়ের ফ্লাইট এর টিকিট বুক করা হলো ।

শ্রীনগর এর ফ্লাইটে,জানলা দিয়ে বরফ ঢাকা পাহাড়ের মেলা

20211028_110938.jpg

প্রথম কথা হল এটা আমার ফাস্ট ফ্লাইট এর এক্সপেরিয়েন্স ।কারণ আমি এর আগে বেশি দূরে যায় নি। তাই আমাকে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়নি। বাবা কাজের সূত্রে বাইরে যেতে বাধ্য হন ।কিন্তু তার সাথে আমরা যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করি না।

কিন্তু যেখানে কথা কাশ্মীরের ।সে জায়গা কি করে ছাড়ি!!? তাই প্রথম থেকেই একটা মনে জেদ ছিল যে ,বাবা যদি কাশ্মীর যায়, যে করেই হোক আমাদের কেও যেতে হবে ।
এবার শুরু করি আমার অনুভূতি, আমার এক্সপিরিএন্স এবং আমার যাত্রা কথা।

ফ্লাইটের ভেতরের কিছু মুহূর্ত

20211030_085642.jpg

২৭তারিখ রাত এগারোটা নাগাদ, খাওয়া-দাওয়া করে সমস্ত কিছু গুছিয়ে নিয়ে ঠাকুরের নাম নিতে নিতে রওনা হলাম কলকাতার পথে। আমার আশেপাশে যত আত্মীয়-স্বজন ছিল সকলেরই একটা ভয় ছিল যে ,এরা তিনজন এত দূরে যাচ্ছে ।তাও আবার একা একা ।কোনো পুরুষ মানুষ নেই সাথে। কিন্তু আমার প্রথম থেকেই কাশ্মীরের ওপর এমন একটা জেদ তৈরি হয়েছিল, সেই ভয়টা আমার মনে কাজ করেনি।

বাবা যেদিন কলকাতা গিয়েছিল আড়াই ঘন্টার মধ্যে বাবা পৌঁছে যায়। কিন্তু সেদিন রাত এগারোটায় বেরোনোর সত্ত্বেও আমাদের পৌঁছতে পৌঁছতে লেগে গেছিল 4 ঘন্টা । ভোর পৌনে চারটার সময় আমি এয়ারপোর্টে প্রবেশ করলাম। আমাদের গাড়ির ড্রাইভার কাকু সাথে সাথে কৃষ্ণনগরের পথে বেরিয়ে গেল। তখন আমার মনে প্রবল তেজ। বরফ দেখার উত্তেজনা। এয়ারপোর্টে কোথায় কি করতে হবে না করতে হবে কিছুটা হলেও জানতাম। ফটাফট সেরে ফেললাম ।

প্রথমেই গেট এ ঢোকার আগে আধার কার্ড ও ফ্লাইটের টিকিট দিয়ে চেক ইন হলো ।তারপরে আমাদের বড় লাগেজের ব্যাগ বোর্ডিং পাস এর সময় নিয়ে নিল আর হ্যান্ড ব্যাগ গুলো আমরা কাছে নিয়ে নিলাম। তারপরে চেকিং হল আমাদের মোবাইল ফোন এবং বাকি গেজেট গুলি । তারপর গেট নম্বার খুঁজতে খুঁজতে পৌঁছে গেলাম ১০৩ এ।

Screenshot_20211030-172653_Drive.jpg

পৌঁছতে দেখি ডানদিকের কাচের জানালা দিয়ে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে সারি সারি কয়েকটা প্লেন ।শরীরটা খারাপ লাগছিল ।সারা রাত জাগা সকলেই ।একটু ক্লান্ত ছিলাম ।কিন্তু আমার ক্লান্তি চোখে-মুখে ফুটে উঠলেও,মন থেকে কিন্তু আমি ভীষণ সতেজ ছিলাম। আমার উত্তেজনা ক্রমশ বেড়ে চলছিল ,যত আমি আমার গন্তব্য স্থল এর কাছাকাছি চলে যাচ্ছিলাম ।

আমাদের ফ্লাইট ছিল সকাল 6:05 এ ।তো সেই মত সমস্ত কিছু পার করে প্লেনে উঠে পড়লাম ।

20211030_085218.jpg

অনুভূতি তখনো প্লেনের প্রতি কমই ছিল ।কিন্তু যখন সূর্যের আলো পড়তে শুরু করল ।মেঘে জানলা দিয়ে অপূর্ব মেঘগুলোকে দেখে মনে হচ্ছিল যে, এই দৃশ্য সত্যিই আজ ফ্লাইটে উঠেছি বলেই ,দেখা সম্ভব হয়েছে।

মেঘেদের বাড়ি

20211028_061059.jpg

টাইম অনুযায়ী আমরা নেমে পড়লাম দিল্লিতে সকাল ৮.২৫ এ।তারপর সেখানেও ঠিক একইভাবে প্রথম থেকে বোর্ডিং পাস এবং আমাদের বাকি গেজেট চেকিং হল। দিল্লি এয়ারপোর্ট অনেক বড়। আমি এতই হুটোপাটার মধ্যে ছিলাম এবং যেহেতু সাথে মা এবং ঈশান ছিল ,এয়ারপোর্টের ছবি আমি সেরকম ভাবে তুলতে পারিনি ।এটাকে আমি ব্যাডলাক বলবো না ।আসলে ওদের কে নিয়েই আমার প্রথম থেকেই চিন্তা। ওরা যেন শরীরের দিকে অন্তত সুস্থ থাকে ।

যাইহোক তারপর দশটা দশ নাগাদ দিল্লি থেকে আমরা রওনা দিলাম শ্রীনগরের ফ্লাইটে। যখন এরো প্লেনের জানালা দিয়ে পাহাড় গুলো হঠাৎ করেই উঁকি দেওয়া শুরু হলো ।আমার মতন আর বাকি প্যাসেঞ্জার ঝুঁকে জানলার দিকে হেলে হেলে সেই পাহাড়ের মজা নিচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর আমি লক্ষ্য করলাম প্লেন্ ল্যান্ড করাতে সমস্যা করছে। নিচে ক্রমশ ল্যান্ড হতে হতে আবার উপরে উঠে পরছে। এরকম ভাবে প্রায় তিন চারবার প্লেনটা একই জায়গায় ঘুরছিল। আমার মা হিন্দি বোঝেন না ।আবার হিন্দি কথা বলতে পারেন না ।আমি একটু ভয় পেয়ে গেছিলাম। কারণ আমি জানলা দিয়ে দেখেছি নিচে কুয়াশা ছিল ।শুধু পাহাড়ের চূড়া গুলো সূর্যের আলোতে দেখা যাচ্ছিল।

মুক্তি

20211030_091356.jpg

প্লেনের ক্যাপ্টেন অ্যানাউন্স করলেন যে ,তার সময় লাগবে প্লেন্ ল্যান্ড করাতে অন্তত দশমিনিট এবং বললেন সকলকে ধৈর্য ধরে বসতে ।সাথে এও জানালেন ,যাতে আমরা নিজেদের সাথে যদি ছোট বাচ্চা থেকে থাকে ,তাদের যেন কোলে নিয়ে বসি ।ঠিক এই কথাগুলোই হিন্দিতে এবং ইংলিশে তিনি রিপিট করলেন ।এই কথা শুনে আমার ভেতরে ধুকপুকানি আরো বেড়ে গিয়েছিল। সত্যি বলতে ভয় নিজেকে নিয়ে নয় ।গোটা পরিবারকে নিয়ে থাকে।

আর এটা আমার একটা অদ্ভুত অনুভূতি এবং অদ্ভূত এক্সপিরিয়েন্স বলতে পারেন ।এর আগে এমন অনুভূতি আমি কখনো পায়নি ।কত ঘটনা ঘটে আজেবাজে ।সেই থেকে একটা মনে ভয় থেকেই যায়। আর যেহেতু এটা আমার ফাস্ট ফ্লাইট এর এক্সপেরিয়েন্স ।

শ্রীনগর আসার আগে আমার ফোনের সিম অর্থাৎ নেটওয়াক কাজ করা কিন্তু বন্ধ করে দিয়েছিল ।কারণ টোটাল কাশ্মীরে বাইরের কোনো সিম কোনো কাজ করে না। তাই সব মিলিয়ে একটা আবোল তাবোল ব্যাপার কাজ করছিল। যাইহোক ঠাকুরের নাম করতে করতে খানিক পরে আস্তে আস্তে ল্যান্ড করল ।তারপরে আমরা বেরিয়ে আসলাম ।

20211030_085726.jpg

কলকাতায় যে বড় লাগেজগুলো বোর্ডিং পাস এর সময় এনাদের দিয়ে দিয়েছিলাম। সেগুলো একটা বেল্ট এর সাহায্যে ঘুরতে ঘুরতে আমার কাছে এসে পৌঁছলো ।সেগুলো নিয়ে কোভিড ভ্যাক্সিনেশন এর সার্টিফিকেট এয়ারপোর্টে একজন স্টাফকে দেখিয়ে দিলাম। তারপর উনি হাতে স্টাম্প মেরে দিলেন ।ঈশানের টেস্ট করানো হলো ।তারপরে আমরা এয়ারপোর্টের বাইরে বেরিয়ে এলাম ।

বাবা দিল্লিতে থাকার সময় ফোন করে বলে দিয়েছিলেন যে, শ্রীনগরের এয়ারপোর্টে দরজা দিয়ে বের হতেই তিনি থাকবেন ।তো সেই কথামতো বাবা আগে থেকেই একটি ড্রাইভার কাকুর সাথে ওখানে উপস্থিত ছিলেন। ড্রাইভার কাকু টি ওই মিউজিয়ামের। এসেই আমি বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম ,বাবা বরফ কতক্ষণ পরে দেখতে পাবো ।

এই বরফ দেখা নিয়ে আমি কতদিন ধরে অপেক্ষা করছি। বাবাকে দেখে সকলে একটু সন্তোষ বোধ করল বলে মনে হয় ।কিন্তু আমার তখন নেট কাজ করছেনা ।বাবার থেকে হটস্পট নিয়ে আমি আমার ফোন খুললাম এবং আশেপাশের সকলকে, আমার পরিচিত আত্মীয়-স্বজন যারা চিন্তা করছিলেন ।তাদের কেউ জানিয়ে দিলাম যে আমরা পৌঁছে গেছি ঠিকমত ।তারপরেই শুরু হলো শ্রীনগর থেকে পেহেলগাম এর পথে যাত্রা।

পোষ্ট না চাইতেও বেশ বড় হয়ে গেল ।আসলে এই সকল অনুভূতিগুলো আপনাদের সকলের সাথেই হয়তো হয়ে থাকতে পারে ।আর ভবিষ্যতেও হতে পারে ।আর সত্যি বলতে যখন লিখতে বসি এই সমস্ত কথাগুলো ভালোভাবে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে খুব মজা লাগে। কাশ্মীর থেকে পেহেলগাম এর পথের রাস্তা এবং আরো বাকি কিছু ,আমি আমার পরের পোস্টে শেয়ার করব । আমি এখনো কাশ্মীরে আছি ।তো, এভাবেই আমি পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করব। আপনারাও আশা করছি খুব এনজয় করবেন আমার পোস্টগুলি ।সকলে সুস্থ থাকুন। ভালো থাকুন ।আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
নমস্কার।

@isha.ish

Sort:  
 3 years ago 

অসাধারণ ছিল দিদি। কাশ্মীর কে বলা হয় ভূস্বর্গ। এর আগে কাশ্মীর শুধু সোস‍্যাল মিডিয়ায় দেখেছি আজ আপনার পোস্টে দেখলাম। কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছি না। ভালোভাবে ভ্রমণটা করে আসেন। আরও সুন্দর সুন্দর ব্লগ চাই কাশ্মীর নিয়ে।

 3 years ago 

সত্যি বলতে ছবি তে যা দেখি বাস্তবে তার চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর । নিজের চোখ কেও বিশ্বাস হবে না মাঝে মাঝে। আমি চেষ্টা করব প্রতিদিন কিছু কিছু ছবি দিয়ে সবার সাথে আমার আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে।

 3 years ago 

তাহলে এই ছিলো আপনার সারপ্রাইজ!
দারুণ লাগলো কিন্তু আপনার সারপ্রাইজ তবে একটু হিংসে হচ্ছে বটে। 😜
তাও ভালো, ভালোয় ভালোয় পৌঁছে গেলেন আপনারা।আপনার ভাই এর পিঠের ব্যাগটা দেখি মাক্স পরেছে। পান্ডাটাকে খুব কিউট লাগছে তার জন্য।
আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।

 3 years ago 

আসলে দিদি আপনাদেরকে আর কি সারপ্রাইজ দিব, কাশ্মীর পৌঁছার পর নিজের চোখে যা দেখছি, তাতে আমি নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে গেছি।

 3 years ago 

প্রথম দৃশ্যটা দেখেতো লা জবাব হয়ে গেলাম, ওয়াও কত সুন্দর লাগছে আর পরের দৃশ্যগুলোতো পুরো বাজিমাত করে দিয়েছেন। সত্যি উপর হতে বরফ ঢাকা পাহাড়ের দৃশ্যগুলো বেশ আকর্ষনীয় ছিলো। আমার ইচ্ছে আছে একবার ঐ দিকে ভ্রমণে যাবো। ফটোগ্রাফিগুলো সুন্দর ছিলো আপু।

 3 years ago 

দাদা, যতো তাড়াতাড়ি পারেন ঘুরে যাবেন এই কাশ্মীর থেকে। নিজের চোখ সার্থক হয়ে যাবে। আমি আজ থেকে আরো ফটো দিয়ে পোষ্ট করবো । যা যা দেখবো ঘুরবো সবই ভাগাভাগি করে নেবো আমার বাংলা ব্লগে।

 3 years ago 

এই পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য যেন কাশ্মীরে রয়েছে। এই জন্য কাশ্মীর কে বলা হয় ভূস্বর্গ। কাশ্মীর স্বর্গের মতই সুন্দর। আপনি এই কাশ্মীরে ভ্রমণ করেছেন আমার খুবই ভালো লাগছে। আমার অনেক ইচ্ছা আছে কাশ্মীর ভ্রমণ করতে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

এই সুন্দর্যের কথা মুখে বলে বোঝানো সম্ভব না। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

খুব ভালো লাগলো আপনার সারপ্রাইজ।কাশ্মীর যাওয়ার আমার খুব ইচ্ছা। এটা ভালো হলো আপনার মাধ্যমে আমরা কাশ্মীরের সুন্দর সুন্দর জায়গা দেখতে পারবো।আপনার ভাইয়ের পিঠে পান্ডা টা খুব সুন্দর ছিল।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

 3 years ago 

বৌদি আমি ভাবতেও পারিনি আমাদের যাওয়া হবে। একদম হঠাৎ করে সব কিছু আয়োজন। আর প্লেন থেকে নামার পর যা দেখছি, নিজের চোখ যেন সার্থক। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাদাকে রাজি করিয়ে একবার ঘুরে আসুন।

আপনার গত পোস্টের উপরের দিকে একটা সারপ্রাইজ এর কথা লেখা ছিলো।এটাই তাহলে সারপ্রাইজ ছিলো আমাদের জন্য। ধন্যবাদ আমাদের এতো সুন্দর প্রকৃতির রূপ উপভোগ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য শ্রীনগর এর ফ্লাইট থেকে আপনার জানলা দিয়ে বরফ ঢাকা পাহাড়ের মেলার যে ছবিটা ক্যাপচার করেছেন তা আমার খুবই ভালো লেগেছে।

 3 years ago 

সত্যিই কাশ্মীর দেখার মত একটি জায়গা। অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

ওয়াও দিদি। কাশ্মীর মানেই স্বপ্নের মতো কিছু দৃশ্য দেখার মতো থাকে। প্লেনে বসে যে আকাশের মেঘগুলো দেখেছেন এটা খুব ভালো লেগেছে। কখনো এভাবে খুব লাছ থেকে দেখতে পাবো কিনা জানিনা। তবে আপনার ভ্রমন অভিজ্ঞতা পড়ে ভালো লাগলো। পেহেলগামে যেন ভালো দিন কাটে সেই দোয়া রইল দিদি।

 3 years ago 

হতাশ হবেন না। আপনিও একদিন সুযোগ পাবেন। ধৈর্য ধরুন শুধু। অনেক ধন্যবাদ।

 3 years ago 

আপনার কাশ্মীর এর পথে প্রথম লেখাটি পড়লাম । আসলেই প্লেন ল্যান্ডিং এর সমস্যা টি কিন্তু বিরাট একটা সমস্যা ।যাই হোক ইশ্বরের কৃপায় আপনারা সুস্থ মত ল্যন্ডিং করতে পেরেছেন। পুরো ভ্রমন টা ভাল কাটুক এই কামনা করছি। ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা।

 3 years ago 

প্লেনের ল্যান্ডিং নিয়ে আমরা সবাই বেশ ভয়ে ছিলাম সত্যি। ঈশ্বর আমাদের ভালভাবে সব কাজ করতে সহায়তা করছেন । আশীর্বাদ করবেন দাদা সব কিছু যেন ভালো ভাবে হয়।

অসাধারণ ভ্রমণ হচ্ছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ইনশাল্লাহ জীবনে একবার হলেও কাশ্মীর যাবো।

২০২১ সালে ইন্ডিয়া টুর আছে, দেখি করোনা পরিস্থিতি সাভাবিক হলে যাবো।

 3 years ago 

অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো দাদা । 🙏😊

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64081.52
ETH 3398.85
USDT 1.00
SBD 2.62