আমার মামারবাড়ির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য || ১০% বেনিফিশিয়ারি রিওয়ার্ড 'লাজুক খ্যাঁক' এর জন্য।🥰
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন।বন্ধুরা, আমি আজকে আমার মামার বাড়ির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাদের সকলের সাথে ভাগ করে নেব।
কমলাই
কিছু কিছু জায়গা আছে ,যেখানে গেলে মন এমনিতেই শান্তি পায়। তাইনা? আর সেটা এক একজনের ক্ষেত্রে এক একরকম। সেটা কোনো ভগবানের স্থান অথবা কোনো জায়গা অথবা কোনো আত্মীয়র বাড়ি হতে পারে।
' শান্তি ' আজ এই কর্ম ব্যস্ত ও স্বার্থপর জীবনে হারিয়ে যাওয়া কোনো এক বড় চাহিদা। ঠিক তো?
তবুও কাজের ফাঁকে ইচ্ছা করে বড়ই শান্তি খুঁজতে । কোথায় গেলে অথবা কার কাছে গেলে এই শান্তি পাওয়া যাবে । তা নিয়ে আমরা সকলেই মাঝে মধ্যে ছট ফট করি।আশা করছি আমার আজকের পোস্টের এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের ছোঁয়ায় আপনারা একটু শান্তি পাবেন।
আমি আগের পোস্টে বলেছিলাম। আমার মামারবাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত "কমলাই" গ্রামে। গ্রামটি এতই সহজ ,সরল, সাদা মাটা এবং এতই অপূর্ব দেখতে ,যে কেউ এই গ্রামের প্রেমে পড়ে যেতে বাধ্য।
সকাল,বিকেল
সকলের শান্ত স্নিগ্ধ সূর্যের আলোর উষ্ণ ছোঁয়া, শীতল গাছগুলোর পাতার ভেতর দিয়ে উঁকি দেয়। ঠাণ্ডা হাওয়া গায়ে স্পর্শ করতেই কি যেনো এক অদ্ভুত শান্তি পাই। গ্রামে খুব অল্প কয়েকটা বাড়ি। এক একটা বাড়ির মাঝে বেশ অনেক দূরত্ব আর জমি । আম,কাঁঠাল, ইউকালেপটর, কদম আরও নানান ধরনের গাছ চারিদিকে।
আমার মামার বাড়ি যে পাড়ায়,নাম নার্সারী পাড়া। সকলেই প্রায় গাছ বিক্রির পেশার সঙ্গে যুক্ত। আমার মামার বাড়ির সামনের এই সরু রাস্তা টা , আর দুপাশের গাছগুলো আমাকে যেন বড়ই ভালোবাসে।
প্রকৃতি কি এবং কি অপরূপ এর সৌন্দর্য তা প্রথম আমি আমার মামারবাড়ি দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম।এই জায়গা আমার জন্মস্থান। এখানেই আমি হয়েছি। এই হালকা ঠাণ্ডা আবহাওয়া আমার রক্তের সাথে সংযুক্ত। তাই হয়তো আমি শীত ভালোবাসি।
এত পরিষ্কার রাস্তা দিয়ে হাঁটতে কার নাহ ভালো লাগে? যদিও এখানে সাপ,আর জোঁকের ভয় খুব। সাথে বিভিন্ন বিসাক্ত পোকামাকড়। কিন্তু আজ অব্দি আমরা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
বিকেল বেলা বেরিয়ে বেশ অনেকগুলো ছবি তুলেছিলাম সেদিন। চারিদিকের সবুজ দেখে মন এমনি আনন্দে মেতে ওঠে আমার।
বাড়ির সামনের বৃষ্টি ভেজা রাস্তা
এত গুলো ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম ।এবার আপনারা নিজেরাই বলুন। এই জায়গা টি কেমন?
মামাবাড়ির ভারী মজা ,কিল চর নাই - এর সাথে যদি এত সুন্দর জায়গা ঘোরার অপশন থাকে । তাহলে কি হাত ছাড়া করা যায়!?
তাইতো আমি আমার ছুটি ও সুযোগ বার করে এই জায়গায় ছুটে যাই বারবার।
এই জায়গাকে আমি খুব ভালোবাসি।
পাশের জেলায় মানুষ তো। আমার দক্ষিন দিনাজপুর বাড়ি। বর্ষার পরে আমাদের ওদিকটা পুরো সবুজ হয়ে যায়। বিশেষ করে শরৎতের আগে। ফ্যানও লাগে না 😁
এই জায়গা প্রতি ঋতুতেই সৌন্দর্যের নানা ধরনের রূপ আমাদের সামনে তুলে ধরে।
এই জন্যই তো এত পছন্দ করি আমি আমার মামার বাড়ি কে। মামার বাড়ির আদরের সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফ্রী😅
❤️। বর্ষার পরে উত্তরবঙ্গে গেলে ফ্যান লাগেনা 😌
আপনে আপনার মামা বাড়ীর পাশের প্রকৃতির অপরূপ রূপকে অনেক সুন্দর ভাবে আপনার পোষ্টে তুলে ধরেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ। শুভ কামনা রইল আপু।
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।
আপনাদের নার্সারি পাড়া দেখে অনেক ভাল লাগলো বিশেষ করে আপনি ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভাল করেছেন, আপনার উপস্থাপনা টি অনেক চমৎকার ছিলো।
অনেক ধন্যবাদ দাদা। আসলে জায়গাটায় এত সুন্দর যেকোনো ফটোগ্রাফি এমনই ভালো হবে।🌻🌻💝
দিদি মামার বাড়ি মানেই তো মধুর হাড়ি, আঙ্গুল ডুবিয়ে খাওয়া যায়। আমি তো মামা বাড়িতে যেয়ে প্রচুর পরিমানে খাই 😁😁
যাইহোক,দিদি আপনার মামার বাড়ির প্রাকৃতিক পরিবেশটা বেশ ভালো,নার্সারিতে ঘেরা পরিবেশটা আমার খুবই ভালো লেগেছে।
আর একটা কথা,প্রচুর খেতে হবে কিন্তু😀
বেশ মজার কথা বললেন । অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।
আপনিও ভালো থাকবেন
কতদিন মামা বাড়ি যাওয়া হয় না। ছোট বেলায় বারবার যেতাম এবং বছরে ২/৩ বার যেতাম। কিন্তু এখন অনেকদিন যাওয়া হয়না তাই আপনার এই ভ্রমণ দেখে মনে পড়ে গেল সেই ছোটবেলার দিনগুলোর কথা।
অনেক প্রাকৃতিক গ্রাম।
হ্যাঁ,এখন এই কর্ম ব্যাস্ততার চাপে চাইলেও অনেক কিছু সম্ভব হয়ে ওঠে না। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য। ভালো থাকুন।
এর আগে আপনি আপনার মামা বাড়ি যাওয়ার ঘটনাটা পোস্ট করেছিলেন। খুব ভালো লেগেছিল। আজ আবার আপনি আপনার মামা বাড়ির প্রকৃতি তুলে ধরেছেন। খুব সুন্দর।
হ্যাঁ,এবার ফেরার সময় নিয়েও একটা পোস্ট করবো ভেবেছি। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
🙂🙂
বাহ সৌন্দর্যের পরিবেশ সত্যিই অসাধারণ, প্রতি গাছের সবুজতা আশ্চর্যজনক ..
ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ
একদম ঠিক বলেছেন । আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
খুবই সুন্দর উপভোগ্য মুহূর্ত গুলি ক্যামেরা বন্দি হয়েছে। সাথে অনেক মনোরম শান্ত শান্তিময় পরিবেশে সময় কাটানো ।সুন্দর মুহূর্ত গুলো দুর্দান্ত ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর উপস্থাপনার সাথে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
অনেক ধন্যবাদ দাদা । আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমি জানি যে এত সুন্দর জায়গার মর্যাদা দিতে পারেনি আমার এত সহজ সরল কথাগুলো। প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য অনুভব না করলে বোঝা কঠিন।
কৃষ্ণনগর ছেড়ে সেদিন গেলেন আর আজ সৌন্দর্য নিয়ে আসলেন।আসলেই খুবই সুন্দর পরিবেশ,ছবিগুলোও সুন্দর হয়েছে সাথে উপস্থাপনও
ঠিক বলেছেন। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।ভালো থাকুন।
আপনার মামারবাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে। সুন্দর লিখেছেন আপনার মামার বাড়ি নিয়ে। ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।