একা নই আমি || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

নমস্কার বন্ধুরা ।আশা করি সকলে সুস্থ আছে ।বেশ অনেকদিন পর নতুন একটা গল্প নিয়ে হাজির হলাম। জমিয়ে রাখা কত কথা যে কাজে লেগে যায়, এইভাবেই পোস্ট এর মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়ে যায়। আমি কলকাতায় আসার পর থেকে, কিছু বন্ধুকে পাই, যাদের পেয়ে আমি রীতিমত ধন্য। হিহি। তাদের কথাই আজ বলবো।

প্রথম যখন কলকাতায় আসি। আমার কোনো বন্ধু ছিলনা। পুরো অচেনা একটা জায়গা , আর অচেনা সব কিছু। ইউনিভার্সিটির গুটি চারেক বন্ধুর সাথে ফোনে দরকারে কথা বলেছি আগে , কিন্তু তার বেশি নয়। আমার শহর থেকে আমার আরোও তিন জন ফ্রেন্ড একই সাথে ওই ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হয়।

আমি ভেবেছিলাম আমরা একই শহর থেকে যাচ্ছি, মোট কথা আমার পাড়াতেই ওদের বাড়ি। খুব ভালো হবে , আমার একা একা লাগবে না। আর যেহেতু প্রথম বার বাড়ি থেকে দূরে কোথাও থাকা , আমার কেমন যেন লাগছিল।

কিন্তু ঘটনা উল্টো ঘটলো। ওদের সাথে আমার মতে মিল্ লো না। একদিন তো আমাকে রেখেই আমার ওই ফ্রেন্ড চলে আসে কৃষ্ণনগর, তখন তো আমি একা একা যাওয়া আসা করতেও পারতাম না। পুরো ইউনিভার্সিটিতে নিজেকে একা লাগতো। আসলে ওদের আচরণে অন্তত আমি নিজে চলা ফেরা শিখে গেলাম।

যাইহোক, ক্লাসের মধ্যে কিছু মুখ আমার চেনা ছিল, তারমধ্যে মানস বলে একটা আমার অত্যন্ত কাছের বন্ধু, সে আমাকে পড়াশোনায় খুব হেল্প করেছে , ইভেন এখনও করে। এই তো ,তার মানে বোঝাই যাচ্ছে একেবারে খুব ক্লোজ কোনো বন্ধু একেবারেই ছিলনা। যাঁদের সঙ্গ চেয়েছিলাম। তারা থাকলোনা।

কিন্তু ভগবান মুখ তুলে চাইলেন। আমার আলাপ হলো তারিকের সাথে। প্রথম আলাপে আমি কল্পনা করিনি ,এই তারিক ছেলেটি আমার একদিন বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে যাবে।
তখনও আমি ডেলি যাতায়াত করছি কৃষ্ণনগর আর কলকাতা। দু তিন এর মধ্যে মেস বাড়িতে উঠলাম। পরিচয় হলো শরিফা দির সাথে। দিদির সাথে আলাপ হয়ে প্রথম বার বুঝতে পারলাম ,প্রথমবার অনুভূতি হলো যে কেউ আছে আমার সাথে এই অচেনা জায়গায়।

প্রথম দিনেই শরিফা দিআমার খুব কাছের বন্ধু হয়ে গেল, আমি কলকাতা যাওয়ার পর থেকে আমাকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছে , আমার মা এর মত একদম। । দিদির সাথে এদিক ওদিক যাওয়া আসা, ঘুরতে যাওয়া শুরু হলো। মেস বাড়িতে যে কদিন ও ছিল, আমাকে রান্না করতে দেয়নি। আমি খালি একটু হেল্প করতাম। দিদি সব রান্না করতো আর আমাকে খুব ভালোবাসত। ভাগ্য বশত দিদির মাইগ্রেনে র সমস্যার কারণে দিদি কে আমাদের মেস ছাড়তে হলো। আর দিদি পাশেই একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিল। তাতে যদিও আমাদের বন্ডিং নষ্ট হয়নি । এখনও একই রকম আছে ।

20220401_180010.jpg

Sort:  
 2 years ago (edited)

এভাবেই পরিচিতি বাড়ে পরিচিত হয় মানুষ। সম্পর্ক টিকে থাকে বিশ্বাসের উপর । বিশ্বাস হচ্ছে বিনে সুতোর মালার মতন। একবার ছিড়ে গেলে আর জুড়ে দেওয়া সম্ভব হয় না। জীবনে চলার পথে আরো অনেক নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হবে। তবে প্রয়োজন আর প্রিয়জন এর মধ্যে পার্থক্য থেকেই যাবে সারা জীবন। জীবনের শেষ প্রান্তে যখন বুঝতে শিখবে যখন এই ছাত্রজীবন শেষ হবে যখন কর্ম জীবন আসবে তখন আরো বুঝতে পারবে সত্যি মানুষ গুলো বড় অদ্ভুত ছিল। ভাল লেগেছে বোন লেখা গুলো। ভাল থাকবে। শুভেচ্ছা রইল।

 2 years ago 

সত্যিই তাই প্রয়োজন আর প্রিয়জন এর পার্থক্য সবার মধ্যেই আছে দাদা, ভালো থেকো দাদা। এভাবেই পাশে থেকো ।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.15
JST 0.031
BTC 60666.02
ETH 2636.73
USDT 1.00
SBD 2.60