কবির জন্মদিনে কবির একটি কবিতা আবৃত্তি করছি
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আমি সুস্থ আছি। কিন্তু মনের অবস্থা বড়ই জটিল ।এইবার পরীক্ষার প্রিপারেশন খুব একটা ভালো নয় ।পরশুদিন আমার পরীক্ষা। টানা পরীক্ষা চলবে পাঁচ দিন ।আমি ভীষণ ঘাবড়ে আছি। অনেক চিন্তা হচ্ছে ।কি যে করবো জানিনা। যতটা পেরেছি চেষ্টা করেছি নিজেকে তৈরি করার। যেটুকু সময় পেরেছি পড়ায় মন দেওয়ার চেষ্টা করেছি ।
আসলে আশেপাশের ঝামেলাগুলো বেধে গেলে কিছুতেই পড়ায় মন বসতে চায় না। মনটা যে বড়ই নরম জায়গা ,একবার কোন কিছু নাড়িয়ে দিলে , আঘাত পেয়ে যায় । তবুও পরীক্ষার সামনে নিজেকে অনেক বুঝিয়ে বাজিয়ে চেষ্টা করেছি পড়ায় মনোযোগ করার ।এর পেছনে আমার অনেক বন্ধুরা ,দাদা দিদি বোন সকলে সাহায্য করেছে। সাথে সাহায্য করেছে ভগবান ।
আজ যেটুকু পড়তে পেরেছি তার পেছনে সকলের অবদান প্রচুর রয়েছে। আমি সকলের কাছে চির কৃতজ্ঞ। জানিনা পরীক্ষাগুলো কতটা ভালো দিতে পারব ।তবুও চেষ্টা করছি বুকে সাহস নিয়ে এবং মনের জোরে চেষ্টা করে চলেছি সবকিছু ঠিক ভাবে করার।
আজকে একজন অত্যন্ত গুণী কবির জন্মদিন। কবির নাম স্মরণজিৎ চক্রবর্তী।কবির অন্যান্য লেখা আমি কখনো পড়িনি। আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে আমি একটি কবিতা শুনেছিলাম ।ওনার লেখা কবিতাটা শুনে প্রথমেই কবিতাটার প্রেমে পড়ে যাই।এত অসাধারণ ভাবে কবিতাটা লিখেছেন যে বলার মত নয়। আজকে ওনার জন্মদিন উপলক্ষে আমি ওনার লেখা ওই কবিতাটি আবৃত্তি করে শোনাচ্ছি।
আমি জানি এই কবিতাটি আপনাদের সকলের পছন্দ হবে। কারণ এত সুন্দর লেখা এত বাস্তব একটা লেখা আসলে মন ছুয়ে যায়। নিজের মত করে যতটা পেরেছি চেষ্টা করেছি। কিছুক্ষণ আগেই রেকর্ড টা করলাম। আপনাদের সকলের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো ।চলুন কবিতাটা পড়া যাক আর আবৃত্তি শুনে নেওয়া যাক। কবির প্রতি আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানাই এই কবিতার মাধ্যমে ।
কবিতা - বাদাম শরবত
কবি - স্মরণজিৎ চক্রবর্তী
ভিডিও লিংক
কবিতার কথা
এক একদিন ছোটবেলার মতোন রোদ্দুর ওঠে
আর আমি জানলায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বুঝি
এই একলা বাড়ির খুব কাছ দিয়ে
তুমি মোটর গাড়িতে করে চলে যাচ্ছ বহু দূরে...
বহু দূর বললেই আমার মনে পড়ে পূর্ণিয়ার কথা
মনে পড়ে পিন্টু ঝা-র তৈরি করা আলু চোখার ঝাল
আর বাদামের ঠান্ডা সরবত
সেসব নিয়ে শেষ বিকেলের ছাদে বসে দেখতাম
লাল বাতাসার মতোন সূর্য টুপ করে খশে পড়ল
না জানি কার প্রকান্ড বাটিতে
তখন,
তখন যদি জানতাম তুমি কোনোদিন আমায়
দেখা না দিয়ে আমার বাড়ির পাশ দিয়ে চলে যাবে বারবার
তাহলে আমি ঠিক রাবার দিয়ে ঘষে ঘষে
মুছে দিতাম সব রোদ
পিন্টু ঝা-র সরবতে গুলে দিতাম সমস্ত সূর্যাস্ত
আর ওই মোটর গাড়ি থামিয়ে তার থেকে
জোর করে (রাগ কোরো না) বের করে আনতাম তোমাকে
মায়ের সামনে নিয়ে গিয়ে বলতাম,
'পছন্দ?'
মা নেই ষোলো বছর হল
আর তুমিও ছোটবেলার রোদ্দুর তুলে মোটর গাড়িতে করে কার সঙ্গে যেন কোথায়...
তাহলে এ জীবনে বলো আমি কী নিয়ে থাকব এখন?
এক গ্লাস বাদাম সরবতে কি সারাজীবন কাটে কারো?
আমারও তো মাঝে মাঝে
বাতাসার মতোন টুপ করে খশে পড়তে ইচ্ছে হয়, নাকি!
সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। নমস্কার।
@isha.ish
অসাধারণ হয়েছে দিদি। আপনার কন্ঠে কবিতাটা শুনতে অসম্ভব ভালো লেগেছে। আপনার কন্ঠটা এত সুন্দর প্রশংসা করে শেষ করা যাবেনা। প্রতিটি লাইন খুব সুন্দর ভাবে বলেছেন আপনি। আপনার কন্ঠের সুর টাও বেশ ভালো লেগেছিল।
চেষ্টা করেছি সুন্দর করে করার।
অসাধারন একটি কবিতা আবৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দিদি। আপনার গান শুনেছি অনেকে আমি। আজকের কবিতা আবৃতি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর করে ভিডিওর মাধ্যমে আমাদের সামনে শেয়ার করেছেন আপনি। যা শুনে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এই কবিতাটি আমি আগে কখনো শুনিন। তবে আপনার কন্ঠে শুনে কবিতাটি অসম্ভব ভালো লেগেছে। কবির জন্মদিনে আপনি এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের উপহার দিয়েছেন বলে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
কবিতা টা আসলেই অনেক সুন্দর।
প্রথমেই জানাই স্মরণজিৎ চক্রবর্তী কবির জন্ম দিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। কবির জন্মদিন উপলক্ষে আপনি খুব সুন্দর একটি কবিতা আবৃত্তি করেছেন আপু। আপনার গানের গলা যেমন সুন্দর আপনার কবিতা আবৃত্তি ও তেমন সুন্দর আপু। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে কবিতা আবৃত্তি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
বাদাম শরবত কবিতাটি আপনি অতি চমৎকার ভাবে আবৃত্তি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই কবিতা আবৃত্তি শুনে আমারও খুব এই কবিতাটি আবৃতি করতে ইচ্ছে করছে। তাই একটু চেষ্টা করছি কবিতাটি আপনার মত করে আবৃতি করতে। যদিও আমি কবিতা আবৃতি করতে তেমন পারি না।
অবশ্যই করুন।
পরীক্ষার বোঝা মাথায় নিয়ে এত টেনশন মাথায় নিয়ে এত মধুর সুরে কবিতা আবৃত্তি করিয়ে শুনিয়েছেন সত্যিই অবাক হওয়ার মতো। কবির জন্মদিনে কবিতাটি ছিল অসাধারণ। আমাদের সাথে এত সুন্দর কবিতাটি আবৃত্তি করে উপহার দেওয়ার জন্য, আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন দিদি।
ভালো লাগলো মন্তব্য পড়ে।
স্মরণজিৎ চক্রবর্তী মহাশয়ের খুব সুন্দর একটি কবিতা আবৃতি করে শুনালেন আমাদের। আপনার আবৃতি আগেও শুনেছি। অনেক ভাল আবৃতি করেন আপনি। ধন্যবাদ দিদি। ভাল থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হঠাত করেই আপনার কবিতা আবৃত্তি সামনে পড়ে গেলো। শুনে ফেললাম আপনার আবৃত্তি। অসাধারণ লাগলো আপনার আবৃত্তি শুনতে৷ আপনার কবিতা আবৃত্তি গান সব কিছুই পারফেক্ট লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
অসাধারণ দিদি আপনার কন্ঠে কবিতা আবৃত্তি শুনে খুব মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি খুব চমৎকারভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে মিষ্টি কন্ঠে আমাদের মাঝে কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন। এত চমৎকার কবিতা আমাদের মাঝে আবৃত্তি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।