ট্রেন ভ্রমণ।১০% লাজুক শেয়ালের জন্য।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন।

আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ট্রেন ভ্রমণের কিছু গল্প। আমার ছেলে অনেকদিন যাবত বলতেছে ওর বাবাকে এবং আমাকে চলো আমরা ট্রেনে ঘুরতে যাই। কিন্তু যাওয়ার সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না। প্রচন্ড গরম তাই আমার ছেলেকে নিয়ে দূরে কোথাও নিয়ে ঘুরতে যাওয়া হয় না। কিছুদিন যাবত অনেক বেশি কান্নাকাটি শুরু করেছে যে সে ট্রেনে যাবেই। কি আর করার অবশেষে আমি এবং আমার হাজবেন্ড ছেলেকে নিয়ে গতকাল বের হয়েছিলাম ট্রেন ভ্রমণে। যেহেতু অনেক গরম পড়েছে তাই বেশি দূর যাওয়ার পরিকল্পনা করিনি। ফরিদপুর থেকে ভাঙা যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম। সকালে উঠে আমার ছেলেকে বললাম চলো বাবা আজ আমরা ট্রেনে ঘুরতে যাব। আমার ছেলে শুনে তো ভীষণ খুশি। খুশিতে লাফালাফি শুরু করে দিল। ছেলে হলে আমাকে তাড়াতাড়ি রেডি করে দাও আমি এখনই ট্রেনে ঘুরতে যাব। ফরিদপুর থেকে ভাঙা ট্রেন ছাড়বে দুপুর ১টা। আমরা বাসা থেকে বের হলাম সাড়ে বারোটায়। ট্রেন স্টেশন আমাদের বাসা থেকে খুব একটা দূরে নয়। যেতে ৫-১০মিনিট সময় লাগে।


20220725_125106.jpg

20220725_125130.jpg

20220725_123011.jpg

১২-৩০ টায় বাসা থেকে বের হলাম ফরিদপুর রেল স্টেশনের দিকে। বাসার সামনে থেকে রিকশায় উঠলাম। ১টা বাজার আগেই আমরা রেল স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। যেয়ে দেখলাম টিকিট কাউন্টারে একদমই ভিড় নেই। সেখান থেকে আমার হাজব্যান্ড দুটি টিকেট কাটলো। এক একটি টিকিটের দাম ৪৫ টাকা করে। এরপর ছেলের জন্য দোকান থেকে চিপস, পানি, কেক, বিস্কুট এসব কিনে নিলাম। ট্রেন আসতে দেরি হল তাই আমরা স্টেশনে বসে বসে আইসক্রিম খেলাম। ট্রেন ১-১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা সেখানে ট্রেন আসলো ১-৩০ মিনিট। গরমের মধ্যে বসে থাকতে বেশ বিরক্ত লাগছিল। আর আমার ছেলেও এত ছোটাছুটি করছিল গরমের মধ্যে। যাইহোক এরপর ট্রেন আসলো। ভেবেছিলাম ট্রেনে একদম ভিড় হবে না, পরে দেখলাম অনেক ভিড় ট্রেনের মধ্যে। এরপর সিট খুঁজে বসে পড়লাম ট্রেনের সিটে।

20220725_141915.jpg

20220725_141923.jpg

ট্রেনের জানালার পাশে বসতে বেশ ভালই লাগে। জানালার পাশে বসে পরলাম। ট্রেন ছাড়লো এরপর বেশ ভালোই লাগলো। কি যে বাতাস আর বাইরের দৃশ্য গুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিলো। তখন মনে হয়েছিল যে অনেক দূর চলে যায় ট্রেনে করে। ফরিদপুর থেকে ভাঙা যেতে ট্রেনে ৪৫ মিনিট লাগলো। এরপর ভাঙ্গা রেলস্টেশনে নেমে পড়লাম। তখন রেল স্টেশনে বাজে ২-২০মিনিট। আমার হাজব্যান্ড বললো চলো কিছু খেয়ে নেই। পরে অটোতে যেতে হলো ভাঙ্গা মার্কেটে। সেখানে একটি হোটেলে আমরা বিরিয়ানি খেলাম। যেহেতু প্রচন্ড গরম এবং রোদ তাই বেশিক্ষণ ঘুরতে একদম ভালো লাগছিল না। ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর ট্রেন ছাড়বে সেই রাত ৮টা। ছেলে নিয়ে এতক্ষন দেরি করা একদমই সম্ভব নয়। তাই আমরা আসার সময় বাসে করে চলে আসলাম। সব মিলে মোটামুটি ভালোই লেগেছিলো। কিন্তু আসার সময় ট্রেন আসতে পারলে সব থেকে বেশি ভালো লাগতো।

আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।

Photographer@iraniahmed
DeviceSamsung m01s
LocationVhanga,Faridpur
Sort:  
 2 years ago 

ট্রেনে জার্নি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। দেখে মনে হচ্ছে খুবই ভালো মুহূর্ত কেটেছে আপনাদের। আপনার আজকের এই পোস্ট পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

ট্রেন ভবন করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার ট্রেন ভবনের অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো খুবই সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ট্রেন ভ্রমণ করতে আমারও খুবই ভালো লাগে। তবে খুব বেশি ট্রেন ভ্রমন করা হয় না।ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ট্রেন জার্নি আমার অনেক পছন্দ। যদিও আমি খুব বেশি ভাগ সময় বাসেই জার্নি করে থাকি। তবে ট্রেন ভ্রমণ এর মজাই আলাদা। আপনার ট্রেন ভ্রমণের কথা শুনে বোঝা যাচ্ছে অনেক আনন্দের সাথে ভ্রমণ করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর এই পোস্টটি এবং আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 58639.60
ETH 3167.30
USDT 1.00
SBD 2.43