আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি।
আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার কিছু অনুভূতি সেই সাথে কিছু ফটোগ্রাফি। ঘুরতে যেতে সবারই অনেক ভালো লাগে। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। আমারও ঘুরতে খুবই ভালো লাগে। তবে খুব একটা বাইরে ঘুরতে যাওয়া হয় না। বেশ কিছুদিন পর ঘুরতে গিয়েছিলাম পদ্মা নদীর পাড়ে। বিকালে নদীর পাড়ে ঘুরতে যেতে সব সময় অনেক ভালো লাগে। সেদিন পদ্মার পাড়ে ঘুরতে যেয়ে দেখলাম বাচ্চাদের খেলার জন্য দুই তিন ধরনের রাইট রয়েছে। আগে যখন গিয়েছি তখন পদ্মার পাড়ে এ ধরনের কোন রাইটি দেখিনি। যতদিন যাচ্ছে তত নতুন হচ্ছে সবকিছু। রাইট গুলো দেখে বেশ ভালই লাগলো। রাইট গুলো দেখে আমার ছেলে মোটরসাইকেল থেকে নেমেই দৌড় দিয়ে চলে গেল সেই রাইট এর কাছে। ৩টা রাইট এর মধ্যে শুধু একটি রাইটই ভালো ছিল আর দুইটি রাইট ছিল নষ্ট। যে রাইটি ভালো ছিল সেই রাইটে আমার ছেলে বসে পড়লো। রাইডে টিকিটের দাম ছিল ৪০ টাকা। এই রাইটের ও একটি সমস্যা ছিল এর সাথে কোন মেশিন ছিল না, হাত দিয়ে এ গুলো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বাচ্চাদের দোল খাওয়ায়। কি প্রবলেম এ পড়লাম বলুন তো? কি আর করার আমার ছেলেদের কিছুতেই রাইট এ না চলে আসবে না। তারপর কিছুক্ষণ খেলার পর সেখান থেকে নেমে আসলো।
তারপর আমরা নদীর পাড়ে বেশ কিছুক্ষণ হাটাহাটি করলাম। এরপর নদীর কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে। পদ্মা নদীর পাড়ে শুক্র শনিবার প্রচুর ভিড় থাকে। এছাড়াও বেশ ভালই মানুষ থাকে অন্যান্য দিনগুলোতে। তবে শুক্র শনিবারের মতো এতো ভিড় থাকে না। তাই আমরা যখনই যাই শুক্র শনিবার বাদে যাই। বাচ্চা নিয়ে এত ভিড়ের মধ্যে যাওয়া খুবই কঠিন। নদীর পাড়ে দেখতে পেলাম একটি লোক ভ্যানের মধ্যে পপকন ভাজছে। পপকন খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। সেখান থেকে আমরা তিন প্যাকেট পপকন কিনে নিলাম।
এরপর আমরা আরো কিছুক্ষণ হাঁটলাম। এরপর দেখতে পেলাম একটি লোক ভ্যানে আইসক্রিম বানাচ্ছে। এরকম আইসক্রিম বানানো আমি আগে কখনো দেখিনি। এখানে অনেক ধরনের ফ্লেবারের আইসক্রিম পাওয়া যায়। আর আইসক্রিমগুলো সাথে সাথেই বানিয়ে দেয়। যা দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ আইসক্রিম বানানো দেখলাম। আর দেখলাম কি কি ফ্লেভার আইসক্রিম বানিয়ে দেয়। আম এবং ড্রাগন ফল এ দুটি আইসক্রিম সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। সেখান থেকে আমরা আইসক্রিম অর্ডার করলাম। আইসক্রিম অর্ডার করার কয়েক মিনিটের মধ্যে বানানো হয়ে গেল। এরপর আইসক্রিম খাওয়া শেষ করে সেখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। এ ছিল আজকে নদীর পাড়ে ঘোরাফেরা এবং কিছু ফটোগ্রাফি।
আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
Photographer | @iraniahmed |
Device | Samsung m01s |
Location | Dholar mor,Faridpur |
নদীর পাড়ে ঘুরাতে মজাই আলাদা আপু। অল্প কয়েকদিন আগে আমিও নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। ভীষণ মজায় কাটিয়েছিলাম কিছুক্ষণ সময়।
আমারও নদীর পারে ঘুরতে খুবই ভালো লাগে। আমিও মাঝেমধ্যে যাই নদীর পাড়ে ঘুরতে। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এর পাশাপাশি অনেক গুলো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার পুরো পোস্ট দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। আপনার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভকামনা।
নদীর পাড়ে ঘুরতে যেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।