আসসালামু-আলাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব আলু দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রান্নার রেসিপি। বাটা মাছ খেতে ভাল লাগলেও এর মধ্যে অনেক বেশি কাটা থাকে বলে খেতে বেশি ইচ্ছে করে না। তবে হঠাৎ হঠাৎ বাসায় বাটা মাছ রান্না করা হয়ে থাকে। তবে এগুলো ভেজেই বেশি রান্না করে থাকি। বাটা মাছগুলো এবার আমি ভেজে আলু দিয়ে ঝোল করে রান্না করেছি। যা খেতে খুবই ভাল লেগেছিল। তাহলে এবার শুরু করা যাক আমি কিভাবে এই রেসিপিটা রান্না করেছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
| উপকরণের নাম | পরিমাণ |
|---|
| বাটা মাছ | ৮টি |
| আলু | ২/৩ টি |
| পেয়াজ কুচি | ১ কাপ |
| কাঁচা মরিচ | ৫/৬ টি |
| আদা বাটা | ২ চা চামচ |
| রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
| হলুদের গুঁড়া | ১ চা চামচ |
| জিরার গুড়া | আধা চা চামচ |
| শুকনা মরিচের গুড়া | পরিমাণ মতো |
| লবণ | পরিমাণমতো |
| সয়াবিন তেল | আধা কাপ |
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ ১ঃ
প্রথমে বাটা মাছ গুলো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছে। এরপর এরমধ্যে গুড়া মরিচ, হলুদেরগুঁড়া এবং পরিমাণমতো লবণ দিয়ে মাখিয়ে নেই।এবার চুলায় একটি ফ্রাইপেন নেই। এর মধ্যে পরিমান মত তেল দিয়ে গরম করে নেই। এর মধ্যে ভাজার জন্য মাছ গুলো দিয়ে দেই।
ধাপ ২ঃ
একপাশ ভাজা হয়ে গেলে অন্যপাশ ভালোভাবে ভেজে নেই। এরপর একটি প্লেটে ভাজা মাছগুলো ওঠিয়ে নেই।
ধাপ ৩ঃ
এবার চুলায় একটি করাই নেই। করাই এর মধ্যে পরিমাণমতো সোয়াবিন তেল দেই।তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে চেড়ে নেই।
ধাপ ৪ঃ
এরপর কেটে রাখা আলুর টুকরো গুলো এর মধ্যে দিয়ে দেই। এবং সব মসলাগুলো এর মধ্যে দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নেই।
ধাপ ৫ঃ
এবার পরিমাণমতো পানি দিয়ে দেই।
ধাপ ৬ঃ
এবার আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে মাছগুলো এর মধ্যেই দিয়ে দেই। এবার কিছুক্ষণ রান্না করে নেই। পানি একটু শুখিয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলি।এবার একটি বাটিতে পরিবেশন করে নেই। এই বার হয়েগেল আজ আমার আলু দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রান্নার রেসিপি ।
আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
জি আপু বাটা মাছটা আমরাও পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ দিয়ে ভাল করে ভেজে খেয়ে থাকি। যেহেতু এতে প্রচুর পরিমাণে কাটা থাকে তাই রান্না করে খেতে গেলে তেমন একটা ভালো লাগে না কিছুটা কড়া কড়া ভাজি করে খেলে অনেক সাধের হয়ে থাকে। যদিও আপনি আজকে প্রথমে ভেজে তারপরে রান্না করেছেন তাই তেমন একটা সমস্যা হবে না। আমিও এভাবে খাই মাঝেমধ্যে খেতে ভালই লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এরকম একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার এই মাছ খেতে ভালো লাগে তবে কাঁটা বেশি তাই খেতে ইচ্ছা করে না। এ মাছ ভেজে রান্না করতে হয় না হলে তো একদমই খাওয়া যায়না।
আপনি সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। কিন্তু বাটা মাছ আমরা কড়াকরে ভেজে খায়। রান্না করে খাওয়া হয়নি কখনো। আমার মনে হয় রান্না করে খেলে কাটা বেশি লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুস্বাদু রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলেই তাই রান্না করে খেলে কাটা বেশি হয়। আমরাও বাটা মাছ ভেজে খাই। ভেজে খেতে বেশি ভালো লাগে।
এই রেসিপিটি আমার খুবই প্রিয় একটি রেসিপি। আলু দিয়ে বাটা মাছ রান্না করলে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপনা করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার কাছেও এই মাছটি ভালই লাগে তবে কাটার জন্য খেতে ইচ্ছা করে না। ধন্যবাদ আপনাকে।
আলু দিয়ে বাটা মাছের ঝোল নামটা শুনেই মনে হচ্ছে রেসিপি টা খুবই সুস্বাদু হবে। বাটা মাছ ছোট মাছ হলেও খেতে খুব সুস্বাদু। তবে প্রচুর পরিমাণে কাটা থাকায় এ মাছটা তেমন একটা বেশি খাওয়া হয়না। আপনার রেসিপি উপকরণ গুলো খুব সুন্দর করে দিয়েছেন এবং এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
মাথা কাটার জন্য আমারও খেতে তেমন ভালো লাগেনা। ধন্যবাদ আপনাদের সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রিয় আপু আপনাদের বাসায় তো হঠাৎ হঠাৎ বাটা মাছ রান্না করা হয়। কিন্তু আমাদের বাসায় জীবনে কখনো রান্না করেছে আমার মনে হয় না। কিন্তু আপনাকে ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে খুবই চমৎকার ভাবে করেছেন। অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
কি বলেন বাটা মাছ এখনো রান্না করা হয়নি। একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন
বাটা মাছের লোভনীয় একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন এভাবে রেসিপি প্রস্তুত করে খেতে আমার অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে ভাদামা গুলা দেখে লোভ সামলানো মুশকিল
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আমার কাছে এই মাছ খেতে ভালো লাগে তবে কাটা বেশি তাই খেতে ইচ্ছা করে না।
ঠিক বলেছেন আপু বাটা মাছে অনেক কাটা থাকে সে জন্য এইগুলো রান্না করে খেলে আমার কাছে তেমন মজা লাগেনা। ফ্রাই করে খেলে অনেক ভালো লাগে। আপনি আলু দিয়ে বাটা মাছ রান্না করেছেন । মাছটি ভেজে নিয়েছেন তার কারণে মাছের স্বাদ আরও দ্বিগুন হয়েছে তা আপনার রেসিপির কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলে কাঁটাযুক্ত মাছগুলো ভাজা করে খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনি এই বাটা মাছ টাকে ভাজি করে এরপর রান্না করেছেন দেখে আরো ভালো লাগলো। তাছাড়া আমাদেরও সাধারণত প্রত্যেকটা রান্নাতে আলু থাকে। আলু দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতেও বেশ ভালো লাগে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমাদেরও আলু খেতে খুবই ভালো লাগে। মাছ অথবা মাংস সাধারণত আলু দিয়ে থাকি।
আলু দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রেসিপি টা খুবই চমৎকার হয়েছে। বাটা মাছ আমার খুব প্রিয়। এ রকম তরকারি হলে গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার রেসিপি টি অনেক চমৎকার হয়েছে না জানি কত সুন্দর হয়েছে আহ।
আমারও গরম ভাতের সাথে এসব তরকারি খেতে খুবই ভালো লাগে আমার রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম।
বাটা খেতে খুব মজার হয়। আজকে আপনি আলু দিয়ে বাটা মাছ রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন রেসিপিটি খেতে খুব মজা হবে বোঝাই যাচ্ছে। এরকম রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলেই বাটা মাছের রান্নাটা খুব ভালো হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।