বাছুরের নাভী পাকা রোগ
গবাদি পশুর বাচ্চা জন্মের পর কয়েকদিনের মধ্যেই এ রোগ দেখা যায়। জন্মের পর বাছুরের নাড়ী যদি সঠিক ভাবে কাটা না হয়, অপরিষ্কার কোন কিছু দিয়ে যদি নাড়ী কাটা হয় অথবা যদি বাছুরকে নোংরা জায়গায় রাখা হয় তাহলে এ রোগ হতে পারে।
@লক্ষনঃ
= বাছুরের জন্মের কয়েকদিন পরেই জ্বর হয়, নাভী ফুলে যায়।
=নাভী সবসময় ভেজা থাকে এবং ব্যথা হয়।
=নাভীতে চাপ দিলে শক্ত লাগে এবং গরম অনুভূত হয়।
=নাভী থেকে লালচে বর্ণের তরল পদার্থ বের হয়।
=নাভী পেকে পুজ বের হয়।
= কোন কোন সময় মাছির ডিম থেকে নাভীতে পোকা হতে পারে, রক্ত পড়ে এবং বাছুর যন্তণায় ছটফট করে ও পা ছোড়াছুড়ি করে।
=বাছুরের খাওয়া কমে যায় এবং দিন দিন দূর্বল হয়ে পড়ে।
@ চিকিৎসাঃ
নাভী পেকে গেলে একটু কেটে সম্পুর্ন পূজ বের করে জীবাণুনাশক যুক্ত পানি দিয়ে পরিস্কার করে ফাকা জায়গার ভিতরে টিংচার আয়োডিন যুক্ত গজ ঢুকতে হবে এবং সেই সাথে যে কোন একটি এন্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। যদি নাভীতে পোকা হয় তাহলে তারপিন তৈল প্রয়োগ করে পোকা মেরে ফেলতে হবে এবং চিমটা দিয়ে পোকা পরিস্কার করতে হবে। জীবাণুমুক্ত পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান পরিস্ক করে নিম্নলিখিত ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে
= পেনিসিলিন 40 লাখ ইনজেকশন এর প্রতি ভায়ালে 10 মিলি ডিসটিল্ড ওয়াটার মিশিয়ে 20 কেজি দৈহিক ওজনের জন্য 1 মিলি হিসেবে পরপর 5-7 দিন মাংসে প্রোয়গ করতে হবে
এর পাশাপাশি এন্টিহিস্টামিন ইনজেকশন প্রয়োগ করতে হবে এছাড়াও বাছুর দূর্বল হয়ে পড়লে ভিটামিন বি কম্পেলেক্স ইনজেকশন দিতে হবে।
@প্রতিরোধ ঃ
বাছুর জন্মের পর জীবাণুমুক্ত ব্লেড দ্বারা নাড়ী কাটতে হবে। জীবাণুনাশক ঔষধ লাগাতে হবে এবং পরিস্কার পরিবেশে বাছুরকে রাখতে হবে। তাহলেই এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
Imrankhanrang
Thanks