বিদায় বেলায় ... || ছবি, জীবন ও কিছু কবিতা।
আজকের বিকেলটা খুব মনমরা ছিল। সারাদিন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টি যদিও ভালোই লাগে তারপরও আজকের বৃষ্টিটা অনুরাগের মত ছিল। যেন আকাশের মন খারাপ।
আজ অনেকদিন পর বিকেলে ছাদে গিয়েছিলাম। এই শহরের ছাদে গিয়ে আর কি দেখবো, শুধু কিছু দানবাকৃতির দালান। তারপর এল গোধূলি; আর বিকেলে সোনালী আলোয় চারপাশ কেমন আর মন মরা হয়ে গেল।
"এ হয়তো প্রকৃতি নয়,
আমার মনেরই আর্তনাদ।
হয়তো জীবনে কিছু সংকট
মস্তিষ্কের দেয়ালে ঘুরে ঘুরে
তাদের আর্তনাদ প্রকাশ করেছিল।।
অথবা হঠাৎ কোনো অনুরাগ,
কিংবা চেপে রাখা কোন কষ্ট।"
কি জানি কেন, আজকের বিকেল টাকে মনে হচ্ছিল - ঘরে ফেরার সময় হয়ে গেছে...
সামনে একটা উৎসব আসছে। আমরা যেটাকে বলি ঈদ। ব্যালকনিতে বসে দিনরাত দেখছি মানুষের ঘরে ফেরার আয়োজন। করোনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সবাই ছুটছে বাড়ির পানে। আর যাবেই না বা কেন? আর কত?
এই আমার কথাই বলি, দুই বছর থেকে এই শহরে থাকছি বাবা - মা, আত্মীয় - বন্ধু ছাড়া। একবার বাবা মা এসে বেরিয়ে গেছেন। কিন্তু ওই টুকুই। কোনো উৎসবে আর বাড়ি যাওয়া হচ্ছে না। উৎসবের আগে কত লকডাউন, কত যোগাযোগ বন্ধ। যাওয়া আর হয় না।
মন টানে, মন আর মনে না। আর একদিন পরেই ঈদ, এখনও পরে আছি এই মন খারাপের শহরে...
"তারপর সন্ধে নামে
মনের ভেতরে বৃষ্টি পরে,
সূর্যের বিদায় বেলায়
জীবনের সবটুকু দিয়ে হলেও
ক্ষ্মণটাকে বেঁধে রাখতে ইচ্ছে হয়।
কিন্তু তাই কি হয়?
বিদায় বেলা তো অনিবার্য..."
হয়ত আজ নয়, তবে শীগ্রই আমিও ছুটব বাড়ির পানে।
হয়ত এই শহরকে বিদায় দিয়ে মায়ের কাছে যাওয়া হবে।
আজ নয়, তবে একদিন নিশ্চই।।
স্থান: বনশ্রী, ঢাকা, বাংলাদেশ। আমার অ্যাপার্টমেন্ট এর ছাদ থেকে।
লোকেশন: লিঙ্ক
ডিভাইস: শাওমি নোট ৭ প্রো
এডিট: মোবাইল ফটো এডিটর।
কবিতার ছন্দগুলো বেশ ভালো লেগেছে ভাই,
সত্যি অসহায়ের মতো, দম বন্ধ হয়ে আসার মতো অবস্থা, কিন্তু তবুও নিরুপায় হয়ে শহরের চারদেয়ালের মাঝে এবারের ঈদ উদযাপন করতে হবে।
আমিতো পাঁচ ঈদ ঢাকায়। আর ভালো লাগে না। বাড়িতে বাবা মা অসুস্থ, এই ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া ও যায় না। মন টানে শুধু।
ধন্যবাদ ভাই লেখাটা পড়ার জন্য।
সুন্দর লেখনী।ধন্যবাদ আপনাকে ।
ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটা পড়ার জন্য।
একদিন পৃথিবীটা শান্ত হবে ।সবাই শান্তিতে আপন নীড়ে ফিরবে ।ভালো লিখেছেন ভাইয়া। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
ইনশাআল্লাহ্। সেই দিনের আশায়।