জনস্বাস্থ্য একটা খেলার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে! - যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতা।
করোনা টিকা নিয়ে পুরো বিশ্বে কি রাজনীতি চলছে তা আমরা সবাই দেখছি। হ্যাঁ এটা ঠিক যে সব দেশেই তাদের রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় রাজনীতির গেরাকলে করে জনস্বাস্থ্য কেমন যেন আলোর মুখ দেখছে না।
আমি কোন একক দেশের কথা বলবো না। বরং আপনি দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো দেশে একই চিত্র দেখতে পারবেন। তবে এটা ঠিক যে কিছু দেশ এই প্যানডেমিক এর ভিতরে অনেক কিছুই বুঝে উঠতে পেরেছে, বিশেষ করে তাদের জনস্বাস্থ্য খাত।
না, আমি কোন রাজনৈতিক আলোচনা করতে বসিনি বরং বলতে এসেছি যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতার কথা।
ভারত এবং তার আশেপাশের দেশগুলোতে করোনা পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। সরকারকে লকডাউন, কারফিউ বিভিন্ন কিছুই ঘোষণা করতে হচ্ছে জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকিমুক্ত রাখার জন্য। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় তখনই যখন এই পাবলিক নোটিশ গুলো ঠিকঠাক মত সার্কুলেট হয় না। অথবা আমি বলব, "যারা পলিসি মেকার তারা ঠিকমতো ডিসিশন নিতে পারেন না। আসলে কোনটা সঠিক, কতটুকু পর্যন্ত জনগণ মানতে পারবেন, অথবা কিভাবে জনগণকে বানানো যেতে পারে।"
বাংলাদেশের এই সবকিছু মিলিয়ে বেশ একটা ভজঘট অবস্থা চলছে।
আমার পরিচিত কয়েকজন এই হঠাৎ লকডাউন এর নোটিশ এর কারণে ঢাকা শহরে আটকা পড়েছেন। তার মধ্যে আমার ছোট বোন আছে। আমার বোন ঢাকায় এসেছিল একটা পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে। এখন লকডাউন এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ থাকার কারণে সে আর ফিরে যেতে পারছে না।
এরকম আরো হাজার হাজার মানুষেরই হয়তো অন্য জেলায় অনেক কাজ আছে। কিন্তু হঠাৎ লকডাউন এর কারণে তারা আটকা পড়ে যাচ্ছে অথবা অন্য কোন পদ্ধতিতে ফিরে যেতে হচ্ছে।
আমি বলছি না যে লকডাউন এর দরকার নেই অথবা জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকিপূর্ণ করে হলেও পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চালু রাখা দরকার। তবে হ্যাঁ এই ঘটনাগুলো আরেকটু প্লানড ওয়ে তে হলে জনগণের জন্য সুবিধা হত।
আর এক অদ্ভুত ব্যাপার বাংলাদেশের টিকা নিয়ে ঘটছে। অনেকে প্রথম দোষ টিকা নিয়ে বসে আছে কিন্তু দ্বিতীয় দোষ টিকা দেয়ার মত যথেষ্ট সাপ্লাই সরকারের নেই। আমার দুজন আত্মীয়ই আছেন এমন একজনের দ্বিতীয় দোষ টিকা দেয়ার সময়সীমা পার হয়ে গেছে আর একজন দিন গুনছেন দ্বিতীয় টেস্ট টিকা পাওয়া যাবে কিনা সেটার। একটা টিকার পিছনে সরকারের যে ভর্তুকি, দ্বিতীয় দোষ টিকা দেয়া না হলে পুরো টাকাটাই জলে চলে যায়।
এই সব কিছু নিয়েই আমাদের আসলে উচিত ছিল আরেকটু গঠনমূলকভাবে আগানো।
আমার পোস্টটি হয়তো অনেকেরই ভালো লাগবে না। রাজনৈতিক সমালোচনামূলক মনে হবে। কিন্তু আমি আসলে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করছি না অথবা সরকারের সমালোচনাও করছিনা। বাংলাদেশের সরকারের অনেক অ্যাচিভমেন্ট আছে এই করোনাকালীন সময়ে আমাদের মৃত্যুহার এখন পর্যন্ত অনেক কম অন্যান্য দেশের তুলনায়। কিন্তু জনসাস্থ নিয়ে এই খেলাটা কারোরই পছন্দ হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না।
আমরা বেশ অনেকটা সময় পার করে ফেলেছি। করোনা নিয়ে আমাদের বেশ ভালো অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। এখন উচিত ছিল আরেকটু চিন্তাভাবনা করে গঠনমূলক কাজ করা এবং জনগণের যাতে স্বস্থি হয় সেইরকম কিছু পলিসি তৈরি করা।
করোনা নিয়ে খুব ভালো একটি কন্টেন্ট।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখাটি পড়ার জন্য।
রূপকথার দেশে আছি ভাই ।এসব নিয়ে খুব একটা বলতে চাই না ।তবে কষ্ট লাগে মাঝে মাঝে ।ভাল লিখেছেন।
আজকে যে কি কষ্ট করে অফিসে গেলাম আসলাম বলার বাইরে।
সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।