একটা হারিয়ে যাওয়ার দিন চাই, একটা সবুজ সুনিবিড় দিন।।
এই কোলাহলপূর্ণ ব্যস্ত শহরে প্রতিদিন জীবনযাপনের জন্য যুদ্ধ করে যেতে হয়। জী, এটা একটা যুদ্ধই। প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা শুধু যানবাহনেই কেটে যায়, অফিস যেতে বা আসতে। যুদ্ধের চেয়ে এটাই বা কম কিসে!
আর আসা যাওয়ার পথের যে ধকল, যে ক্লান্তি সেটা না হয় আর নাই বললাম।
এই দুচোখ কতদিন প্রাণভরে সবুজ দেখেনা বুক ভরে দম নেয় না। ঢাকা - একটা ক্লান্তির শহর...
আমি মনেও করতে পারিনা শেষ কবে ছায়াঘেরা সুনিবিড় কোন স্থানে কিছুক্ষণ নিরিবিলি বসে থেকেছি। যারা আমার মত মেগাসিটিতে থাকেন তারাই বুঝতে পারবে না মেগাসিটির কোলাহল পলিউশন সবকিছু মস্তিষ্ককে কিরকম এলোমেলো করে রাখে।
মাঝে মাঝে মনে হয় এই সবকিছু ছেড়ে পালাই, পালিয়ে যাই দূরে কোথাও যেখানে গেলে একটু বুক ভরে শ্বাস নেয়া যাবে। কিন্তু পালাবো কোথায় এই শহর যে আমাদেরকে জীবনযাপনের লোভ দেখে আটকে ফেলেছে।
যে জায়গাটার ছবি দিয়েছি এটা ঢাকা শহরের খুব কাছাকাছি একটা জায়গা। নাম ' ভাটারা '। এখনো এখানে শহরের ছোঁয়া খুব বেশি পৌঁছায়নি। তবে আশেপাশে তাকালেই দেখি অনেক সুউচ্চ বিল্ডিং তৈরির পাঁয়তারা চলছে। মনটা খারাপ হয়ে যায়। তারপরও এই বিশাল আকাশ, খোলা হওয়া, এই নদী আর ওই সবুজ প্রান্তর; সবকিছু মিলিয়ে জায়গাটা এখনো সুন্দর।
বছর খানেক এর বেশি বেড়েছে সময় করতে পেরেছিলাম ওখানে যেতে, দুদণ্ড বসতে। তারপর এই তো জীবন যাপনের ঘোরপ্যাঁচে সবকিছু আবার ব্যস্ততায় পরিপূর্ণ।
আমি এমন আরেকটা দিন চাই। একটা হারিয়ে যাওয়ার দিন, এই শহর থেকে একটা পালিয়ে বাঁচার দিন। যেদিনে আমি নদীর পাড়ে বসে গাইতে পারব গান, নিতে পারব সোঁদা মাটির ঘ্রাণ। কবে আসবে সেই দিন?
জীবন যাপনের ক্লান্তি আমায় পিছু ছাড়ে না। দশ থেকে বারো ঘণ্টা, কখনো বা তারও বেশি শুধু উপার্জনের পিছনে ছুটে চলা। কোথায় জীবন!
সেই দিনের অপেক্ষায়।।।
স্থান: ভাটারা, ঢাকা - বাংলাদেশ
স্থান লিংক: লিংক
ডিভাইস: শাওমি নোট 7 প্রো।
ঢাকা শহর সম্পর্কে আমার ভাল ধারনা আছে ।কারণ জীবনের অনেকটা সময় আমি সেখানে পার করে দিয়েছি। যাইহোক আমি ভুলেও আর সেই স্মৃতিগুলো মনে করতে চাই না। আমি যেখানে আছি এখন বর্তমানে ভালো আছি ।আমি ঢাকাকে কোনোভাবেই বসবাসযোগ্য শহর বলবো না । কারণ ওখানে সবাই যান্ত্রিক ও রোবট। ভালো লিখেছেন ।
দেড় যুগ কাটিয়ে দিলাম এই শহরে। আমাদের মত কর্পোরেট এ যারা আছেন, তাদের ঢাকা ছাড়ার উপায় নেই। থাকলে, ঢাকায় অর্ধেক মানুষ ও থাকত না।
ধন্যবাদ।