লেভেল ২ হতে আমার অর্জন by @hseema "১০ শতাংশ লাজুক শেয়ালের জন্য"।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

IMG_20220115_195146.jpg

আসসালামু আলাইকুম,

সবাই কেমন আছেন ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অসীম কৃপায় সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

আমি @hseema আমার প্রিয় ও প্রথম ব্লগ আমার বাংলা ব্লগের একজন নিয়মিত লেভেল ওয়ান এর সদস্য। ইতিপূর্বে আমি লেভেল টু এর মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। সম্মানিত বিচারকমণ্ডলীগনের মতামত ও নির্দেশনা অনুযায়ী আজ আমি লেভেল টু এর লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের চেষ্টা করব।

প্রথমেই আমি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই জন্য যে, আমাদেরকে একজন দক্ষ ব্লগার হিসেবে তৈরি করার নিমিত্তে এবিবি- স্কুল এর মাধ্যমে দক্ষ প্রশিক্ষকদের সাহায্যে যেভাবে তিলে তিলে পাঠদানের ও পাঠ গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি মনে করি ব্লগিং জগতে এটি একটি দৃষ্টান্ত স্বরূপ। কেননা এত সুন্দরভাবে পরিকল্পনামাফিক হাতে খড়ি থেকে শুরু করে যেভাবে আমাদেরকে সঠিক নিয়ম কানুন গুলো শেখানো হচ্ছে তা অন্য কোন প্লাটফর্মে এমনভাবে শেখানো হয় কিনা আমার জানা নেই। এজন্য যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এত সুন্দর একটি প্রশংসনীয় প্লাটফ্রম তৈরি হয়েছে আমি একজন নতুন সদস্য হিসেবে সবার পক্ষ থেকে আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

আমি আমার ব্লগিং ক্যারিয়ারের শুরুতে সৌভাগ্যবশত এমন একটি প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি বলে নিজেকে একজন সৌভাগ্যবতী মনে করছি।
যাইহোক আজ আর কথা না বাড়িয়ে আমি আমার লেভেল টু এর পরীক্ষার নির্দিষ্ট প্রশ্নগুলোর আলোকে যতটুকু আয়ত্ত করতে পেরেছি তা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি।

১ নং প্রশ্ন: পোস্টিং কী এর কাজ কি?

👉 উত্তর : পোস্টিং কী সম্পর্কে আলোচনার পূর্বে প্রথমে কী সম্পর্কে সামান্য ধারণা প্রয়োজন। কী সাধারণত দুই প্রকার। যথা : পাবলিক ও প্রাইভেট কী। সাধারণত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে পাবলিক কী কিন্তু প্রাইভেট কী এর সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম অর্থাৎ এটি সম্পূর্ণ গোপনীয় ও একান্তই ব্যক্তিগত।

প্রাইভেট কী চার প্রকারের।

যথা : পোস্টিং কী, একটিভ কী, ওনার কী এবং মেমো কী।

সুতরাং স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে পোস্টিং কী একটি প্রাইভেট কী। প্রতিটি কী যার যার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যদিও সবগুলোর গুরুত্ব সমান নয়।

সাধারণত আমরা সোশ্যাল একটিভিটি যেমন : পোস্ট করা, কমেন্ট করা, ভোট দেওয়া, আপ ভোট-ডাউনভোট দেওয়া, গুরুত্বপূর্ণ ও পছন্দনীয় পোস্ট রিস্টিম করা, ফলো-আনফলো, মিউটের মত অর্থাৎ ব্লগিং জাতীয় যাবতীয় কাজগুলো পোস্টিং কি এর মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারি। যেহেতু এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন গুলো সম্পন্ন হচ্ছে না তাই এটিকে আমরা অন্যান্য কি এর মত অতিসংবেদনশীল মনে করছি না। যদিও প্রতিটি কি এর গোপনীয়তা রক্ষা করা ও বিশেষভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।

২ নং প্রশ্ন : একটিভ কী এর কাজ কি?

👉 উত্তর : কী কে বাংলায় আমরা চাবি বলি।যদিও সব কী বা চাবির গুরুত্ব সমান নয়।কিন্তু অ্যাকটিভ কি এর গুরুত্ব অন্যান্য কি এর তুলনায় অনেক বেশি। কেননা এ
কী এর মাধ্যমে আর্থিক জাতীয় যাবতীয় লেনদেনগুলো সম্পন্ন করা হয়। যেমন স্টিম বা এস বিডি টান্সফার করা, রূপান্তর করা, পাওয়ার আপ ও পাওয়ার ডাউন করা, উইটনেস ভোট দেওয়া, কোন এক্সচেঞ্জে আর্থিক লেনদেন করা বা অর্ডার দেওয়া, প্রোফাইলের কিছু তথ্য পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা, নতুন ইউজার তৈরি করাসহ যাবতীয় আর্থিক লেনদেন গুলো এর মাধ্যমে সংঘটিত হয়।

সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এই কী এর গুরুত্ব কতটুকু। কাজেই এই কীকে বিশেষভাবে সংরক্ষণ করা অতীব জরুরী। এই কীটি কোনভাবে যেন অন্যের হাতে না পড়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেননা অ্যাক্টিভ কি অন্যের হাতে পড়ে গেলে আপনার ওয়ালেট এর এস বি ডি ও এসপি
চুরি হওয়া বা গায়েব হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হলো ওয়ালেটে এসবিডি ও স্টিম জমা না রেখে পাওয়ার অফ করে রাখা। যেহেতু পাওয়ার ডাউন দিলে তা জমা হতে প্রায় চার সপ্তাহ সময় লাগে সেহেতু আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাকারের হাতে পড়ে গেলেও উক্ত সময়ের মধ্যে একাউন্ট রিকভারি করে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার সুযোগ পাবেন এবং আর্থিক ক্ষতি রোধ করতে পারবেন। সুতরাং উপরোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি আমাদের বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।

৩ নং প্রশ্ন : উনার কী এর কাজ কি ?

👉 উত্তর : অউন মানে নিজ এবং ওনার মানে হল নিজের বা মালিক। অর্থাৎ কোন কিছুর মালিক বা মালিকানা।অতএব উনার কী হচ্ছে এই কী এর মালিকানা। ব্লক চেইনে আমি যে আমার আইডি বা ইউজারের মালিক তা প্রমান করবে এই ওনার কী। এই কী যার হাতে থাকবে সেই তার মালিকানা দাবি করতে পারবে বা করবে।

ধরুন, একটি জমি ক্রয় করা হয়েছে। এখানে যার নামে দলিল থাকবে সে কিন্তু এই জমির মালিকানা দাবি করতে পারবে বা করবে।সুতরাং একজন ইউজারের এই কী টি হারিয়ে গেলে বা হ‍্যাক হয়ে গেলে উনার কি এর মাধ্যমে একাউন্টটি পুনরুদ্ধার করা যাবে।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে উনার কি এর গুরুত্ব ও বিশেষ ভাবে সংরক্ষন একজন ইউজারের জন্য কতটা জরুরি।এছাড়াও ওনার কী এর মাধ্যমে একজন ইউজার তার ওনার কী, একটিভ কী ও পোস্টিং কী রি-সেট করা সহ তার ভোটিং অধিকার প্রত্যাখ্যান করতে পারবে।

৪ নং প্রশ্ন : Memo key মেমো কী এর কাজ কি?

👉 উত্তর : অন্যান্য কী এর মতো আর্থিক লেনদেন বা সোশ্যাল একটিভিটি জন্য মেমো কী এর সচরাচর ব্যবহার না হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
যেমন :এনক্রিপ্ট করা মেসেজ পাঠাতে ও দেখতে মেমো কী এর বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। অর্থাৎ আমরা যদি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে মেসেজ পাঠাতে বা পেতে অথবা কোন সংকেত পরিবর্তন করে বার্তা পাঠাতে চাই যা পরবর্তীতে দেখার জন্য, এমন কিছু বিশেষ কাজ মেমো কী এর মাধ্যমে করা যায়। তবে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য মেমো কি এর বিশেষ প্রয়োজন পড়ে না।

৫ নং প্রশ্ন : Master Pasword মাস্টার পাসওয়ার্ড এর কাজ কি ?

👉 উত্তর : প্রথমেই বলা প্রয়োজন যে এতক্ষণ আমি যেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি সেগুলো হচ্ছে কী অর্থাৎ পোস্টিং কী, একটিভ কী,উনার কী ও মেমো কী।
কিন্তু এখন আমি আলোচনা করব পাসওয়ার্ড নিয়ে। এটি কে আমরা কী বলে মনে করলেও মূলত এটি একটি পাসওয়ার্ড। আমরা যখন কোন একটি ব্লগিং প্লাটফর্ম এ একাউন্ট খুলি তখন মাস্টার পাসওয়ার্ড পেয়ে থাকি অথবা আমরা নিজেরাই এটি জেনারেট করে থাকি। এই মাস্টার পাসওয়ার্ড হল সবগুলো কী এর মাথা বা প্রধান কী। সুতরাং সবগুলো কী এই মাস্টার পাসওয়ার্ড এর ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। সহজভাবে বলতে পারি, উপরোক্ত চারটি কী এর কাজ আমরা ইচ্ছে করলে মাস্টার পাসওয়ার্ড এর মাধ্যমে করতে পারি।

তবে মনে রাখতে হবে যদিও এর দ্বারা সবগুলো কী এর কাজ করা যায় কিন্তু আমরা যার যার কাজ তার নিজস্ব কী দিয়েই করার চেষ্টা করব।
তবে লেকচার শিটে দাবা খেলার নিয়ম অনুযায়ী একটি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে সহজভাবে বুঝানোর জন্য। আমরা যারা দাবা খেলার নিয়ম সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত নই তাদের জন্য আমি আমার ধারণা অনুযায়ী একটি উদাহরণ দিচ্ছি যতটুকু আমি বুঝতে পেরেছি। জানিনা আমার উদাহরণ কতটুকু যুক্তিযুক্ত হবে।

উদাহরণ : ধরুন, আমি সময় দেখার জন্য একটি ঘড়ি ক্রয় করলাম।
এবং ছবি তোলার জন্য একটি ক্যামেরা ক্রয় করলাম।
আর হিসাব করার জন্য একটি ক্যালকুলেটর কিনলাম।
আবার গান শুনাও ভিডিও দেখার জন্য একটি অডিও বা ভিডিও প্লেয়ার কিনলাম ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখানে যদি আমার কাছে একটি স্মার্টফোন থাকে তাহলে উক্ত সবগুলো কাজ এই স্মার্ট ফোনের দ্বারা সম্পন্ন করতে পারি। অর্থাৎ একটি জিনিস দিয়ে আমি আমার সবগুলো প্রয়োজন মেটাতে পারছি। যেহেতু স্মার্টফোনে ঘড়ির সময় দেখা সহ এলাম দেওয়া যায়, ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা ইউজ করা যায়, এবং হিসাব করার জন্য ক্যালকুলেটর থাকে, এবং গান শোনার জন্য অডিও-ভিডিও সবটাই আমি পাচ্ছি। এক কথায় বলা যাচ্ছে যে আমি এই চারটি কাজ একসাথে একটি ফোনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারছি।

সুতরাং আমরা বলতে পারি যেহেতু মাস্টার পাসওয়ার্ড দিয়ে আমরা সবগুলো কি এর কার্যক্রম এক সাথে সম্পন্ন করতে পারি সেহেতু এটিকে আমরা সচরাচর ব্যবহার না করে নিরাপদে সংরক্ষন করে রাখব যেন বিশেষ প্রয়োজনে আমরা এটি ব্যবহার করতে পারি।

এর সাথে আমি ৬ নং প্রশ্নের উত্তরটা যোগ করে মাস্টার পাসওয়ার্ড নিরাপদ সংরক্ষণ এর ব্যাপারে বলতে চাই যে, এক্ষেত্রে আমরা মাস্টার পাসওয়ার্ড নিরাপদ সংরক্ষণের জন্য প্রিন্ট করে রাখতে পারি অথবা পিডিএফ আকারে, গুগোল ড্রাইভে, পেনড্রাইভে,ডায়েরিতে বা গোপনীয় কোন নিরাপদ জায়গায় লিখে রাখতে পারি। যেহেতু আমাদের একাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে বা অন্য কোনোভাবে একাউন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলে একাউন্ট পুনরুদ্ধারের জন্য মাস্টার কী বা পাসওয়ার্ড লাগবে তাই এটি সংরক্ষণের জন্য অধিক সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। নতুবা সামান্য বেখেয়াল বসত: বা সটিক নিয়ম কানুণ না জানার কারণে
একজন ইউজারের সারা জীবনের কষ্টের ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে এক নিমিষেই।

৭ নং প্রশ্ন: পাওয়ার আপ কেন জরুরি ?

👉 উত্তর: পাওয়ার মানে হলো শক্তি বা ক্ষমতা। বোঝা যাচ্ছে যে একজন ইউজারের পাওয়ার যত বেশি হবে তার দাম তত বেশি হবে।অর্থাৎ ব্লগিং জগতে যার পাওয়ার যত বেশি তার ভোটিং ক্ষমতা তত বেশি। এক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি যার এসপি যত বেশি তার ভোটের পাওয়ার তত বেশি।সুতরাং একজন ইউজারের শক্তি বা পাওয়ার বাড়াতে হলে তাকে পাওয়ার আপ করা অতি জরুরী।
এছাড়া আরো কিছু বিশেষ উপকারিতাও রয়েছে। যেমন একজন ইউজারের যদি তার ওয়ালেটে অধিক পরিমাণে এসবিডি বা এসপি জমা থাকে সেক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে মুহূর্তেই তার সব অর্থ উত্তোলন করে ফেলতে পারেব। এক্ষেত্রে আমরা যদি পাওয়ার আপ করে রাখি তাহলে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলেও যেহেতু পাওয়ার ডাউন দিলে সাথে সাথে ওয়ালেট ব্যালেন্সে জমা হয় না সেহেতু আমরা ওয়ালেট দেখে যদি এমন কিছু দেখতে পাই তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আর্থিক ক্ষতি রোধ করতে পারবো। এ ছাড়া পাওয়ার আপ করলে ভোটিং পাওয়ার বাড়ার পাশাপাশি আমরা পোস্ট কমেন্ট জাতীয় কাজগুলো অধিক হারে করতে পারব।
সবচেয়ে বড় কথা হল ব্লগিং ক্যারিয়ারের জন্য একজন ইউজারের পাওয়ার আপ করার গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা পাওয়ার আপ বেশি থাকলে বা করলে আমার সক্ষমতা বা শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি যেমন মূল্যবান ভোট দিতে পারব তেমনি অন্যদের মূল্যবান ভোটও আমি আশা করতে পারব।

৮ নং প্রশ্ন : পাওয়ার আপ প্রসেস সম্পর্কে আপনি কি জানেন ?

👉 উত্তর : গত সপ্তাহে আমি 100 স্টিম পাওয়ার অপ করেছি এবং এর প্রসেস সম্পর্কে আমি বিস্তারিত ভাবে উপস্থাপন করেছি। এখানে আমি আমার পাওয়ার এর সম্পর্কিত পোস্ট এর কিছু ছবি শেয়ার করলাম আপনাদের সদয় বিবেচনার জন্য।

প্রথম ধাপ

IMG_20220112_012829.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

IMG_20220112_014517.jpg

তৃতীয় ধাপ

IMG_20220112_002818.jpg

চতুর্থ ধাপ

IMG_20220112_002532.jpg

চূড়ান্ত ধাপ

IMG_20220112_002919.jpg

৯ নং প্রশ্ন: সেভিংসএ থাকা স্টিম অথবা এস বিডি উইথড্র দেওয়ার কতদিন পর ট্রান্সফারেবল ব্যালেন্সে যোগ হয় ?

👉 উত্তর : তিন দিন অর্থাৎ 72 ঘন্টা পর।

১০ নং প্রশ্ন : মেমো ফিল্ড এর কাজ কি ?

👉 উত্তর : মেমো ফিল্ড এর মাধ্যমে আমরা ব্যক্তিগতভাবে গোপনীয়তা বজায় রেখে একজন আরেকজনকে মেসেজ করতে এবং এনক্রিপ্ট জাতীয় মেসেজগুলো আদান-প্রদান করতে পারি।একজন ইউজার তার গোপনীয়তা রক্ষার্থে বার্তার মত কোন সংকেত ব্যবহারের মাধ্যমে কিছু কিছু কর্মকাণ্ড মেমো ফিল্ড এর মাধ্যমে করতে পারে ব্যক্তিগতভাবে।এটা সবার জন্য প্রযোজ্য নয় বিশেষ করে নতুন ইউজারদের জন্য।

১১ নং প্রশ্ন : ডেলিগেশন ক্যানসেল করার কতদিন পর উক্ত এসপি ফেরত আসে।

উত্তর : ৫ দিন পর।

১২ নং প্রশ্ন: ধরুন আপনি প্রজেক্ট @heroism এ 200 এসপি ডেলিগেশন করেছেন কিছুদিন পর আরো একশত এসপি ডেলিগেশন করতে চান তখন ডেলিগেশনের পরিমাণ লেখার সময় কত এসপি লিখতে হবে ?

👉 উত্তর : আমরা যদি পূর্বে ২00 এসপি ডেলিগেট করে থাকি এবং কিছুদিন পর যদি আরও ১০০ এসপি ভেলিগেশন করতে চাই সে ক্ষেত্রে আমরা সর্বশেষ ডেলিগেশনের সময় পূর্বে মোট যত এসপি ভেলিগেশন ছিল তার সাথে বর্তমান এসপি যোগ করে যোগফলের সমষ্টি বসাবো।
যেমন পূর্বের ২০০এসপি + ১০০এসপি = ৩০০ এসপি পরিমাণে লিখতে হবে।

অতএব উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে, ব্লগিং জগতে আমরা যারা দীর্ঘদিন কাজ করতে চাই বা টিকে থাকতে চাই তাদের জন্য এই লেবেলটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।কেননা কী গুলোর ব্যবহার ও সংরক্ষণের গুরুত্ব জানা না থাকলে যেকোনো সময় আপনার কষ্টার্জিত রিওয়ার্ড বেহাত হয়ে যেতে পারে এবং আর্থিক ক্ষতির মাধ্যমে আপনার মনোবল ভেঙে যেতে পারে। তাই আমাদেরকে কীগুলোর গুরুত্ব বোঝার পাশাপাশি পাওয়ার আপ ডেলিগেশন সহ অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে সঠিক উপায় জেনে - বুঝে যদি আমাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারি তাহলে আশা করি আমরা ভবিষ্যতে নিজেকে একজন সফল ব্লগার হিসেবে উপস্থাপন বা দেখতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

আজ এ পর্যন্তই। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমার লেখাগুলো পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আমি @hseemaআমার বাংলা ব্লগ এর লেভেল ওয়ানের একজন নতুন সদস্য। এটি আমার প্রথম ব্লগ। দোয়া করবেন আমি যেন আমার ব্লগিং দ্বারা আমার নিজের ও প্ল্যাটফর্মের সুনাম অর্জন ও অক্ষুন্ন রাখতে পারি। এবং নিজেকে একজন দক্ষ ও শক্তিশালী ব্লগার হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারি।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 68168.17
ETH 3256.43
USDT 1.00
SBD 2.67