রেসিপি "মজাদার জাম্বুরার ভর্তা" 10 শতাংশ লাজুক শেয়ালের জন্য।
আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি আপনাদের দোয়ায় ।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার নতুন একটি রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হয়েছি, আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের সকলের অনেক ভালো লাগবে।
ভিটামিন সি ও পুষ্টি গুণাগুণ সমৃদ্ধ এই রেসিপিটি জ্বরের জন্য খুবই উপকারি। এছাড়াও এই রেসিপিটি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই উপকারী। এ ফলটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহযোগিতা করে এছাড়াও এর অনেক গুণাগুণ রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবেনা।
চলুন কথা না বাড়িয়ে আমি আমার এই পুষ্টি গুণাগুণ সমৃদ্ধ জাম্বুরার ভর্তা রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি আপনাদের সাথে তা ধাপে ধাপে তুলে ধরছি।
উপকরণ |
---|
একটি জাম্বুরা |
তিন / চারটি শুকনো মরিচ |
পরিমাণ মত লবণ |
প্রথম ধাপ |
---|
জাম্বুরার ভর্তা রেসিপি তৈরি করার জন্য প্রথমে আমি একটি জাম্বুরার খোসা ছাড়িয়ে এর মধ্য থেকে জামবুরা কোয়া গুলোকে আলাদা করে নিয়ে নেব একটি প্লেটে ।
দ্বিতীয় ধাপ |
---|
এ পর্যায়ে আমি তিনটি শুকনা মরিচ একটি কড়াইয়ে নিয়ে চুলার উপরে রেখে ভাল করে ভাজতে থাকবো। এখানে আমি একটি জাম্বুরা ভর্তা তৈরি করার জন্য তিনটি শুকনো মরিচ নিয়েছি, ঝাল অনুসারে আপনারা চাইলে কম-বেশির নিতে পারেন। আসলে জ্বরের মুখে একটু ঝাল হলে ভালো লাগে ।
তৃতীয় ধাপ |
---|
এ পর্যায়ে আমার শুকনো মরিচ গুলো একদম মুচমুচে ভাজা হয়ে গিয়েছে ভর্তা তৈরি করার জন্য। যেহেতু এই ভর্তার রেসিপিটি হাতের সাহায্যে মেখে তৈরি করতে হবে তাই শুকনো মরিচ ভাজা যদি মুচমুচে হয় তাহলে দেখা যাবে মরিচে হাত দিতেই এগুলো ভেঙে একদম টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে। এতে করে এই জাম্বুরার ভর্তার স্বাদটাও অনেকগুণ বেড়ে যাবে।
চতুর্থ ধাপ |
---|
এ পর্যায়ে একটি প্লেটে ভেজে নেওয়া শুকনো মরিচ,জাম্বুরা ও পরিমাণমতো লবণ নিয়েছি জাম্বুরা ভর্তা রেসিপিটি তৈরি করার জন্য।
পঞ্চম ধাপ |
---|
এ পর্যায়ে আমি একটি শুকনো মরিচ ভেঙ্গে নিয়েছি জাম্বুরা ভর্তা তৈরি করার জন্য।
ষষ্ঠ ধাপ |
---|
এখন আমি সবগুলো মরিচ ও পরিমান মত লবন জাম্বুরার সাথে মোটামুটি মেখে মিশিয়ে নেব।
সপ্তম ধাপ |
---|
এখন আমার জাম্বুরার রেসিপিটি পরিবেশনের জন্য একেবারেই প্রস্তুত।
শেষ ধাপ |
---|
এভাবে জাম্বুরার ভর্তা রেসিপি তৈরি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসাথে খেলে সকলেরই পুষ্টিগুণা গুণের চাহিদার কিছুটা হলেও উপকারে আসে।আর তাছাড়া যারা জ্বরে আক্রান্ত বা জ্বর থেকে উঠেছেন সবেমাত্র তাদের রুচি ফেরানোর জন্য এইভাবে জাম্বুরা ভর্তা তৈরি করে খেলে মুখের রুচি ও ফিরে আসে এবং ভিটামিন সি এর ঘাটতিও পূরণ করা যায়।
তাহলে আজকের মত এখানেই শেষ করলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এতক্ষণ কষ্ট করে আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে লেখাটি পড়ার জন্য। আপনাদের মূল্যবান দিক-নির্দেশনা দিয়ে আমাকে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবেন। আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে পরবর্তীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব ইনশাআল্লাহ।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।🌹🌹🌹
আমি @hseema" আমার বাংলা ব্লগের এর একজন সদস্য। আমি একজন বাংলাদেশী ও ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান হিসেবে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আমি লিখতে, পড়তে, ছবি আঁকতে, নতুন নতুন রান্না করতে ও শিখতে ভালোবাসি। সর্বোপরি নিজেকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বদা সচেষ্ট থাকার চেষ্টা করি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।🌹🌹
জিভে জল চলে এলো আপু আপনার রেসিপিটি দেখে। এভাবে জাম্বুরা ভর্তা আমার খুবই পছন্দ। আপনার রেসিপিটি দেখে এখনই খেতে ইচ্ছে করছে। আপনাকে ধন্যবাদ সুস্বাদু জাম্বুরা ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সকাল সকাল জাম্বরা দেখে জিভে জল এসে গেলো আমাদের এদিকে এখনো এটা হয়নি মাত্র ফুল ফুটেছে।আপনার খাবার এর রেসিপিটা ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আমরা ছোটবেলা জাম্বুরা ভর্তা সবাই খেয়েছি বা এখনও আমরা এটি খেয়ে থাকি, এটি মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। জ্বর হলে কিংবা মুখের রুচি না থাকলে আমরা এই ভর্তা খেতে পারি। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে পোস্টটি একটু সাধারন হয়ে গেছে। তবে ইউনিক ছিল আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
https://twitter.com/hseema1993/status/1501590846449524736?t=yF73oBxVzNA3iX0T4_dk7A&s=19
জাম্বুরার ভর্তা রেসিপি আমি আজও কখনো খাইনি তবে রেসিপিটি মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হবে খেতে এ। মনিতে আমি বিভিন্ন ধরনের ডাল ভর্তা পেঁপে ভর্তা এগুলো অনেক ভালোবাসি তবে এই ভর্তা টিও মনে হয় খেতে বেশ সুস্বাদু হবে । ধন্যবাদ আপনাকে এমন চমৎকার একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শুকনা মরিচ দিয়ে জাম্বুরা ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। শুকনা মরিচ দিয়ে জাম্বুরা ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে। জাম্বুরা ভর্তা তৈরীর পদ্ধতি অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। মজাদার একটি রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ভাবে মজার রেসিপি তৈরি করে সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।