রেসিপি "ডিমের শাহি ভুনা "১০ শতাংশ লাজুক শেয়ালের জন্য।
আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন, আমিও ভাল আছি আপনাদের দোয়ায়।
আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হয়েছি, আমার এই রেসিপিটি হচ্ছে "ডিমের শাহি ভুনা"।
ডিম খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার,আর ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে তো আমরা সবাই কম বেশি জানি, তাই সেই পুষ্টি গুনাগুন কে প্রাধান্য দিয়েই আমি আমার এই" শাহী ডিম ভুনা "রেসিপি তৈরি করেছি।
চলুন কথা না বাড়িয়ে আমি কিভাবে আমার এই রেসিপিটি তৈরি করেছি আপনাদের সাথে তা ধাপে ধাপে শেয়ার করছি।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডিম | ৬/৭ টি |
পেঁয়াজকুচি | চার-পাঁচটি |
পাকা টমেটো | দুটি |
কাঁচা মরিচ | ৬/৭ টি |
মরিচ গুঁড়া | ১ চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ১ চামচ |
ধনে গুঁড়া | ১ চামচ |
রসুনবাটা | আধা চামচ |
আদা বাটা | আধা চামচ |
কেওড়া জল | আধা চামচ |
দারচিনি | ২ টুকরো |
গরুর তরল দুধ | ১ কাপ |
এলাচ বাটা | এক চামচ |
লবণ | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
পানি | পরিমাণমতো |
প্রথম ধাপ |
---|
ডিমের শাহি রেসিপি তৈরি করার জন্য প্রথমে আমি ডিম গুলোকে সিদ্ধ করে নেব।
দ্বিতীয় ধাপ |
---|
এ পর্যায়ে আমি সেদ্ধ করা ডিমগুলোকে খোসা ছাড়িয়ে নেব। পেঁয়াজ ও টমেটো গুলোকে চিকন করে কুচি করে নেব।
তৃতীয় ধাপ |
---|
এ পর্যায়ে আমি খোসা ছাড়ানো ডিমগুলোকে একটি কড়াইয়ে নিয়ে তার মধ্যে হলুদ, লবণ ও তেল দিয়ে চুলায় বসিয়ে দেবো ভাজার জন্য।
চতুর্থ ধাপ |
---|
এই পর্যায়ে আমার ডিমগুলো ভাজা শেষ হয়েছে।
পঞ্চম ধাপ |
---|
এ পর্যায়ে আমি কড়াইয়ে পেঁয়াজকুচি গুলো ও তেল দিয়ে ভালো করে ভাজতে থাকবো।
ষষ্ঠ ধাপ |
---|
পেঁয়াজ গুলো হাল্কা ভাজা হয়ে গেলে, এখন আমি এর মধ্যে কুচি করে রাখা টমেটোগুলো দিয়ে পেঁয়াজ এর সাথেই ভালো করে ভাজতে থাকবো।
সপ্তম ধাপ |
---|
পেঁয়াজ এবং টমেটো কিছুটা ভাজা হয়ে গেলে, এখন আমি এর মধ্যে আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে তারমধ্যে সবগুলো মসলা ও সামান্য পানি দিয়ে দেব।
অষ্টম ধাপ |
---|
এ পর্যায়ে আমি মসলাগুলো পানির সাথে ভাল করে মিশিয়ে নিয়েছি এবং ভালো করে কষানোর জন্য কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখবো।
নবম ধাপ |
---|
এ পর্যায়ে আমার কষানো শেষ হয়েছে
মানে, মসলার উপরে তেলটুকু উঠে এসেছে।
দশম ধাপ |
---|
মসলা ভালো করে কষানো হয়ে গেছে তাই, আমি এর মধ্যে আগে থেকে ভেজে রাখা ডিম গুলো দিয়ে ভালো করে নেড়ে চেড়ে মাখিয়ে নেব এবং মসলা যেন পুড়ে না যায় তার জন্য সামান্য পানি সংযোজন করব আর কিছুক্ষণ কষাবো।
একাদশ ধাপ |
---|
মসলাগুলো আবারো ভালো করে কষানোর পর, আমি এর মধ্যে এক কাপ তরল দুধ ও আধা চামচ কেওড়া জল দিয়ে ভালো করে নেড়ে চেড়ে কিছুক্ষণ রান্না করবো।
দ্বাদশ ধাপ |
---|
এখন আমার রান্না প্রায় শেষ।
শেষ ধাপ |
---|
রেসিপি " শাহি ডিম ভুনা" এবার গরম গরম পরিবেশনর পালা।
মুখরোচক আমার এই রেসিপিটি আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লাগবে।আপনারা একবার হলেও অবশ্যই বাসায় ট্রাই করে দেখবেন কেমন হয়েছে আমার এই রেসিপিটি।
তাহলে আজকের মত এখানেই শেষ করলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এতক্ষণ কষ্ট করে আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে লেখাটি পড়ার জন্য। আপনাদের মূল্যবান দিক-নির্দেশনা দিয়ে আমাকে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবেন। আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে পরবর্তীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব ইনশাআল্লাহ।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।🌹🌹🌹
আমি @hseema" আমার বাংলা ব্লগের --- level- ৩ এর একজন সদস্য। আমি একজন বাংলাদেশী ও ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান হিসেবে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আমি লিখতে, পড়তে, ছবি আঁকতে, নতুন নতুন রান্না করতে ও শিখতে ভালোবাসি। সর্বোপরি নিজেকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বদা সচেষ্ট থাকার চেষ্টা করি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।🌹🌹
ডিম ভুনা একটি মজাদার রেসিপি। ডিম খাদ্য তালিকার মধ্যে নিয়মিত থাকে। আপনার রেসিপি দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করতেছে,৭ টি ডিম রান্না করেছেন। শুভকামনা আপনার জন্য
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর একটি মতামতের জন্য।
ডিমের শাহী ভুনা রেসিপি অনেক লোভনীয় ভাবে রান্না করেছেন আপনি। আমার দেখে খুব খেতে ইচ্ছা করছে আপু। এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনি প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে বর্ণনা সহকারে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামতের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
আমার ডিমের শাহি ভুনা খেতে অনেক ভালো লাগে। আর তাই দেখে জিভে জল এসে গেল আমার। আর যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর তাই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি অনেক চমৎকার ভাবে ডিমের শাহি ভুনা পৃথিবী আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই ডিমের রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছিল। এত মজাদার এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর করে মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।