আবৃতি // পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের কবিতা প্রতিদান// ১০% প্রিয় লাজুক শেয়ালের জন্য।
আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ কৃপায় ভালো আছি।
আজকে আমি পল্লীকবি জসীমউদ্দীন এর একটি কবিতা প্রতিদান আবৃত্তি করব। আসলে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের প্রত্যেকটা কবিতাই আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
পল্লী কবি জসিম উদ্দিন এর প্রতিটি কবিতার ছন্দ, কাব্যগঠন খুব সাবলীল তাই এগুলোর আত্মকথন গুলো আমার কাছে খুবই সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে আর তিনি গ্রামকেন্দ্রিক বলেই তাঁর কবিতা গুলো আরো বেশি ভালো লাগে।
প্রতিদান
জসীম উদ্দীন---বালু চর
আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।
যে মোরে করিল পথের বিবাগী, -
পথে পথে আমি ফিরি তার লাগি।
দীঘল রজনী তার তরে জাগি ঘুম যে হরেছে মোর ;
আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর।
আমার এ কুল ভাঙিয়াছে যেবা আমি তার কুল বাঁধি,
যে গেছে বুকেতে আঘাত হানিয়া তার লাগি আমি কাঁদি;
সে মোরে দিয়েছে বিষে ভরা বাণ,
আমি দেই তারে বুকভরা গান;
কাঁটা পেয়ে তারে ফুল করি দান সারাটি জনম ভর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।
মোর বুকে যেবা কবর বেঁধেছে আমি তার বুক ভরি,
রঙিন ফুলের সোহাগ-জড়ান ফুল-মালঞ্চ ধরি ।
যে মুখে সে কহে নিঠুরিয়া বার্ণী,
আমি লয়ে সখি, তারি মুখখানি,
কত ঠাঁই হতে কত কি যে আনি, সাজাই নিরন্তর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।
তাহলে আজকের মত এখানেই শেষ করলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এতক্ষণ কষ্ট করে আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার এই রেসিপিটি দেখার জন্য। আপনাদের মূল্যবান দিক-নির্দেশনা দিয়ে আমাকে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবেন। আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে পরবর্তীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব ইনশাআল্লাহ।
🌹🌹🌹
আমি @hseema" আমার বাংলা ব্লগের এর একজন সদস্য। আমি একজন বাংলাদেশী ও ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান হিসেবে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আমি লিখতে, পড়তে, ছবি আঁকতে, নতুন নতুন রান্না করতে ও শিখতে ভালোবাসি। সর্বোপরি নিজেকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বদা সচেষ্ট থাকার চেষ্টা করি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।🌹🌹 |
---|
জসীমউদ্দীনের কবিতা গুলো বরাবর গ্রামকেন্দ্রিক পল্লীসমাজ নিয়ে। তার কবিতায় গ্রামের মানুষের জীবন ব্যবস্থা ফুটে উঠেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের কবিতা পাঠ করেছেন। আপনার কন্ঠে কবিতা অনেক সুন্দর লাগছে। এত সুন্দর ভাবে কবিতাটি আবৃত্তি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পল্লী কবির কবিতা গুলো পড়লে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই।কি সুন্দর ওনার শব্দ চয়ন জাস্ট অসাধারণ।আর এই কবিতাটি ও অনেক চমতকার ছিল।আর আপনার সুন্দর আবৃত্তি এটাকে আরো সুন্দর করে তুলেছে।এগিয়ে যান আপু ভালো ছিল আবৃত্তি।
পল্লীকবি জসীমউদ্দীন এর প্রতিদান কবিতাটি চমৎকার আবৃত্তি করেছেন এবং অনেক চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার কবিতা আবৃতি আমার অনেক ভালো লেগেছে। পরবর্তী কবিতা আবৃত্তি শেয়ারের অপেক্ষায় রইলাম।
জসীমউদ্দীনের লেখা খুবই সুন্দর একটি কবিতা আজকে আপনি আবৃত্তি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।আপনার কন্ঠে বালু চর কবিতাটির আবৃত্তি শুনে খুবই ভালো লাগছে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি কবিতা আবৃতি করে শেয়ার করার জন্য।
পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের প্রতিদান কবিতাটি আজকে আপনি আমাদের মাঝে আবৃত্তি করে শেয়ার করলেন আপু। সত্য কথা বলতে কি জানেন আপু আপনার কন্ঠে এই কবিতাটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি যদি কবিতা আবৃত্তি প্রতিনিয়ত করতে থাকেন তাহলে আমি অনেক খুশি হব।
পল্লীকবি জসীমউদ্দীন আমার প্রিয় কবি। তাই আমি তার অনেক কবিতা পড়েছি। আমার খুব ভালো লাগলো এই জন্য যে আপনি পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের কবিতা টি সুন্দর কন্ঠের মাধ্যমে পাঠ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে কবিতা পাঠের মধ্যে রয়েছে অনেক আনন্দ। কবিতা পাঠের মাধ্যমে মানুষকে শিক্ষার অনুপ্রেরণা জাগে। যে জন কবিতা পাঠ করতে জানেনা তার মধ্যে শিক্ষা জ্ঞান খুবই কম। যাইহোক খুব ভালো লাগলো আপু।