চিংড়ি মাছ দিয়ে চাল কুমড়ার রেসিপি || 10% to @shy-fox
হ্যালো বন্ধুরা,
আমি তানিয়া আক্তার, ঢাকা-বাংলাদেশ হতে।
আমি এর আগেও একটি রেসিপি শেয়ার করেছি, যেটায় চাল কুমড়া ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের বাড়ীর সবাই তাজা সবজি খাওয়ার চেষ্টা বেশী করে, যেমন ধরেন মিষ্টি কুমড়া, গাছের বেগুন, চাল কুমড়া, লাউ, শশা এগুলো। যারা সার ছাড়া বাড়ীতে চাষ করেন, তাদেরকে আগেই বলে রাখা হয়। তারা বাড়ীতে এনে দিয়ে যায়। গ্রামের পরিবেশে থাকার এটা একটা ভালো সুবিধা, আমার দৃষ্টিতে।
চাল কুমড়া আমরা আগে খুব একটা বেশী খেতাম না, কারন আমাদের কাছে ভালো লাগে না। আসলে আমাদের বাবা মা কম খেতেন তাই আমরাও খাওয়া শিখি নাই, এটা কিন্তু সত্য কথা। তবে মাঝে মধ্যে চাল কুমড়ার ভাজি খেতাম। আমি তখন ভাজি এড়িয়ে যেতাম। এখন অবশ্য কোন সুযোগ নেই, আমি না খেলেও তা রান্না করতে হচ্ছে। কারন আগের সময় আর বর্তমান সময় এক নেই, অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেক কাজই এখন করতে হয়/হবে।
আমি কিন্তু কোন সবজিগুলো খাই আর কোন সবজিগুলো খাই না, এই রকম কিছু আমি শ্বশুড় বাড়ীর কারো সাথে শেয়ার করি নাই । কারন আমি চাই না অনাকাংখিত কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক। আসলে আমাদের দেশে এই বিষয়গুলোর কোন মূল্য থাকে না। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে, শশুড় বাড়ীতে এটা একদমই প্রত্যাশা করা যায় না। তাই আমরা মেয়েরা নিজের পছন্দের বিষয়গুলোকে চুপে চুপে বলি দিয়ে দেই, তা কেউ বুঝতে পারে না। আর বুঝতে পারলে কেউ সেটার মর্যাদা দিবে না, এটাও সত্য কথা।
আজ আমি যে রান্নাটি শেয়ার করবো, এটা হলো চাল কুমড়ার সাথে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না। আমাদের বাড়ীতে ঠিক এই পদ্ধতিতে লাউ রান্না করা হতো চিংড়ি মাছ দিয়ে। চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ খেতে অনেক ভালো লাগে আমার কাছে। অবশ্য চাল কুমড়াও খারাপ হয় নাই চিংড়ি মাছ দিয়ে আমি অল্প একটু চেক করেছি। দেখে নিন আপনারা রান্নাটি
উপকরণঃ
- চাল কুমড়া
- চিংড়ি মাছ
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- আদা রসুন পেষ্ট
- হলুদ গুড়া
- লবন
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১
প্রথমে আমি চাল কুমড়াটি ভালো ভাবে ছুকলা ছাড়িয়ে নিয়েছি, তারপর স্লাইস করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
এরপর আমি চিংড়ি মাছগুলোকে পরিস্কার করে কুটে নিয়েছি। চিংড়ি মাছ পরিস্কার করা সবচেয়ে সহজ, যদি ছোট না হয়।
ধাপ-৩
একটি পাতিল চুলায় দিয়ে তেল, কাঁচা মচির ও পেঁয়াজ দিয়ে গরম করেছি।
ধাপ-৩
তার সাথে হলুদ গুড়া ও আদা রসুনের পেষ্ট দিয়ে কষা করেছি এবং চিংড়ি মাছগুলো সাথে দিয়েছি।
ধাপ-৪
কিছুক্ষন পর স্লাইস করে রাখা চালকুমড়াগুলো দিয়ে মসলাগুলোর সাথে মিক্স করেছি।
ধাপ-৫
কিছুটা পানি দিয়ে রান্না করেছি, একটু পর পর নাড়া দিয়েছি, চাল কুমড়াগুলো উপর নীচ করেছি।
ধাপ-৬
অল্প কিছু সময়ের মাঝেই চাল কুমড়াগুলো সিদ্ধ হয়েগেছে, পানি কমে ঘন হয়েছে ঝোল।
ধাপ-৭
এরপর এগুলোকে নামিয়ে নিয়েছি। চাল কুমড়া খুব বেশী সিদ্ধ হলে আবার গলে যেতে পারে। তাই একটু আগে নামিয়েছি আমি।
আজকের চাল কুমড়ার সাথে চিংড়ি মাছ রান্না, এখন প্রস্তুত হয়েগেছে। গরম ভাতের সাথে অথবা রুটির সাথে সবজি হিসেবে খুবই উপযুক্ত।
ধন্যবাদ।
Follow Me On Other Sides
চিংড়ি আমার খুব প্রিয় একটি মাছ। চিংড়ি দিয়ে লাউ অনেক খেয়েছি। কিন্তু চিংড়ি দিয়ে চাল কুমড়া খাওয়া হয়নি। খুব সুন্দর রেসিপি আপু। এইটা একদিন টেস্ট করে দেখতে হবে।।
চিংড়ি স্বাদের মাছে, অনেকেরই প্রিয় মাছ।
যথার্থ বলেছেন আপু।।
চিংড়ি মাছ খুবই সুস্বাদু লাগে আমার কাছে।এটা কুমড়া, ঝিঙে,প্রায় সব ধরনের সবজির সাথে খুব ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যা, চিংড়ি মাছ দিয়ে সব সবজি রান্না করা যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং আপনি যেভাবে শেয়ার করেন তা খুবই ভালো
আপনাকেও ধন্যবাদ।
আপনার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মনে হয় চাল কুমড়া খুবই প্রিয় সবজি। প্রত্যেকটা সবজি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আমি নিজেও চালকুমড়া পছন্দ করিনা। সেজন্য কখনো খাওয়াও হয়নি। আপনি আপনার পোস্টের ভিতরে কিছু কথা বলেছেন। যেগুলো আসলে সত্য আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে। যাইহোক আপনার রান্নাটা সুন্দর হয়েছে। চিংড়ি মাছ দিয়ে যে কোন জিনিস রান্না করলেই সেটা খেতে কিছুটা ভালো হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি বলতে ঠান্ডা জাতীয় সবজিগুলো বেশী পছন্দ করেন, শশা, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া এই সব।
আজ কমিউনিটিতে চিংড়ি মাছের ধুম পড়েছে আপু।চিংড়ি সবারই প্রিয়।অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপিটি।ধন্যবাদ আপনাকে।
চিংড়ি মাছতো সকলের প্রিয় তাই।
খুবই সুন্দর একটি রেসিপি ,চালকুমড়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী ।দেখে খুব ভালো লাগছে আপনারা খুব সবজি পছন্দ করেন এবং টাটকা শাক-সবজি আপনারা নিয়মিত পাচ্ছেন।
হ্যা, আমাদের এখানে সবাই এটাকে ঠান্ডা সবজি বলে ডাকে।