বেগুন দিয়ে সুরমা মাছের রেসিপি || 10% to @shy-fox
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে,
আমি তানিয়া আক্তার, ঢাকা-বাংলাদেশ হতে।
আমার আগের একটি রেসিপিতে আপনারা সুরমা মাছের কথা শুনেছিলেন, জানিনা কতটা মনে আছে। সেখানে আমি লাউ গাছের শাক দিয়ে সুরমা মাছের বড়া বানিয়েছিলাম, এটা আমার দেখে প্রথম মাছের বড়া বানানো এবং তার সাথে নিজে শেখা। সত্যি মাছের বড়াটি বড়ই আনকমন ছিলো আমার কাছে, পুরো পদ্ধতিটি শিখেছিলাম আমার শাশুড়ির কাছে।
আজ আমি সুরমা মাছের আরো একটি সহজ এবং মজাদার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। সুরমা মূলত সাগরের মাছ কিন্তু অনেকটা দেখতে ইলিশের মতো, স্বাদও অনেকটা ইলিশের মতো মনে হয়। আপনারা যদি মাছটি খেয়ে থাকেন তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন। তবে বিয়ের আগে আমি সুরমা মাছ চিনতাম না এবং কোনদিনও খাই নাই। যার কারনে প্রথমে নামনি শুনে অবাক হয়েছিলাম, এটা আবার কি রকম মাছের নাম। সুরমা বিষয়টি আমরা অন্যভাবে চিনি, কারন আমরা সুরমা চোখে ব্যবহার করি।
সুমরা মাছের একটা ঘ্রান আছে, কিছুটা ভিন্ন রকমের। রান্না করার পর তরকারি হতেও সেই ঘ্রানটি পাওয়া যায়। যার কারনে আমার শশুড় বাড়ির সবাই সুরমা মাছ এবং এর তরকারি খেতে পছন্দ করেন। আজ সুরমা মাছ রান্না করেছি বেগুন দিয়ে। বেগুন আমাদের বাড়ীর গাছের, তাই পরিমানে অল্প দিয়েছি।
উপরকণঃ
- সুরমা মাছ
- বেগুন
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- আদা রসুন পেষ্ট
- হলুদ গুড়া
- লবন
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১
প্রথমে মাছগুলোকে ভালোভাবে পরিস্কার করে কুটে নিয়েছি এবং তারপর মাছগুলোকে ভেজে একটি পাত্রে উঠিয়ে রেখেছি।
ধাপ-২
কড়াই চুলায় দিয়ে কিছুটা তেল এবং পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে একটু গরম করেছি।
ধাপ-৩
এগুলোর সাথে হলুদ গুড়া, আদা রসুন পেষ্ট দিয়ে কিছু সময় কষা করেছি।
ধাপ-৪
তারপর কুটে রাখা বেগুন স্লাইসগুলো এগুলো সাথে মিশিয়ে কষা করেছি আরো কিছু সময়।
ধাপ-৫
ভেজে রাখা সুরাম মাছগুলো এগুলোর সাথে মিশিয়েছি।
ধাপ-৬
অল্প কিছু পরিমান পানি দিয়ে আরো কিছু সময় রান্না করেছি আমি।
ধাপ-৭
পানি কিছুটা কমার পর রান্নাটি চেক করে নামিয়ে ফেলতে হবে।
ধাপ-৮
সবশেষে বাটিতে/প্লেটে নিয়ে পরিবেশন করেছি।
আমার আজকের রেসিপি সুরমা মাছ দিয়ে বেগুন রান্না প্রস্তুত হয়ে গেছে। খুব বেশী ঝামেলা পোহাতে হয় নাই, অল্প সময়ের মাঝেই তৈরী হয়ে গেছে। এটা খেতে অনেক স্বাদের ছিলো।
ধন্যবাদ।
Follow Me On Other Sides
আমি অনেক আগে সুরমা মাছ খেয়েছিলাম। এর স্বাদ ও এখন ভুলে গিয়েছি। আপনার সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
স্বাদটা একটু ভিন্ন রকম না? আমার কাছে ভালো লাগে।
আপনি রেসিপির এক্সপার্ট বলা যায়। খুব সুন্দর রেসিপি বানাতে পারেন। আমার কাছে দারুন লাগে। শুভ কামনা অবিরাম।
না ভাইয়া সকল রান্নায় আমি এক্সপার্ট না এখনো অনেক কিছু শিখতেছি।
সুরমা মাছ খাইনা অনেকদিন হয়েছে। রেসিপি দেখে লোভ লাগছে খেতে ইচ্ছা করছে দেখি কালকে বের হব বাজার থেকে মাছ কিনে আনব।
সুরমা মাছ খেতে অনেক স্বাদের কিন্তু সবাই খায় না।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। সামুদ্রিক মাছ আমারো অনেক ভালো লাগে। সামুদ্রিকের মাছের আলাদাই স্বাদ লেগে থাকে মুখে। ধন্য আপনাকে আপু।
ধন্যবাদ আপনাকেও ভাইয়া।
বেগুন দিয়ে ঝোল আমার খুবই পছন্দের। আপনার প্রতিদিন নতুন নতুন রেসিপি আমার বেশ ভালো লাগে।
মাছটা দেখতে অনেকটা চন্দনী ইলিশের মতো।
এটা সাগরের মাছ হয়তো আপনাদের এখানে এই নামে চিনে, কিন্তু খেতে স্বাদের।
একেক জায়গায় একেক নাম।
এই মাছের নাম আমি প্রথম শুনলাম এবং রান্নাটা দেখে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
এটা খুলনার অঞ্চলের মানুষ বেশী চিনে।
বেগুন দিয়ে সুরমা মাছের তরকারি আমার খুবই প্রিয় এবং অনেক ভাল লাগেছে আপনি এত সুন্দরভাবে যে পরিবেশন করেছেন তা এককথায় অসাধারন ছিল আপু
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকেও।
বেগুন আমার খুব প্রিয়।বেগুনের সঙ্গে সুরমা মাছ খুবই ভালো লাগে খেতে।রেসিপিটি সুন্দর হয়েছে আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
বেগুন অনেকেই অপছন্দ করেন এলার্জির ভয়ে, কিন্তু আমার ভালো লাগে আপু।
বেগুন যে কোন মাছের সাথে রান্না করলে অনেক চমৎকার লাগে। যদিও নামটাও বেগুন আসলে এর অনেক গুণ আছে। ধন্যবাদ এত চমৎকার রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বেগুন সত্যি স্বাদের তরকারি তৈরী করে। ধন্যবাদ ভাইয়া।