বাড়ীর পুকুর ও সুন্দর অনুভূতির গল্প || 10% to @shy-fox
হ্যালো বন্ধুরা,
আমি তানিয়া আক্তার, ঢাকা-বাংলাদেশ হতে।
আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, আমি এর আগে অনেকগুলো মাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। বলেছিলাম আমার শশুড়বাড়ীতে একটি পুকুর আছে। সেই পুকুর হতে আমার স্বামী প্রায় সময় মাছ ধরতো। আসলে গ্রামে থাকার এটা একটা মজা, নিজেদের পুকুরে মাছ ধরা যায়, সময় ব্যয় করা যায়। কারন মাছ ধরাটা অনেকের আমার নেশা, সময় অসময়ে মাছ না ধরলে তাদের ভালো লাগে না।
আমরা স্কুল জীবনে কিছু গল্প শুনেছিলাম, এই রকম যে, যাদের মাছ ধরার নেশা বেশী, তাদের নাকি ভূতে ধরে বেশী। কারন ভূতেরা নাকি কাঁচা মাছ বেশী খায়। তাই যারা মাছ বেশী ধরে এবং মাছ ধরার নেশা যাদের বেশী থাকে। ভূতরা সব সময় তাদের পিছু থাকে এবং মাছ খাওয়ার চেষ্টা করে। অনেকেই নাকি আবার মাছ ধরতে গিয়ে ভূত দেখে অজ্ঞান হয়ে যেতো। কিন্তু জ্ঞান ফেরার পর দেখতো একটাও মাছ নেই, সব ভূতে খেয়ে চলে গেছে। সত্য মিথ্যা জানি না, এগুলো আমরা শুনতাম।
আমি কোনদিনও মাছ ধরি নাই, তবে আমাদের গ্রামের বাড়ীতে চাচাতো ভাইয়েরা যখন মাছ ধরতো জাল দিয়ে তখন উপরে বসে দেখতাম আর বসে বসে মাছ গুনতাম, কতগুলো মাছ ধরা হলো। আমার কাছে ভালো লাগতো, কারন মাছ ধরাটা যেমন কারো কাছে আনন্দের বিষয়, ঠিক তেমনি আমার কাছে মাছ ধরতে দেখাটাও আনন্দময় মনে হতো। তবে গ্রাম ছেড়ে চলে আসার পর এই সুযোগটা আর পাই নাই। কারন শহরের মাঝে তো পুকুর কিংবা জলাশয় কোনটাই নেই, আর থাকলেও সেগুলোতে মাছ থাকে না।
গ্রামের পুকুর গুলোতে অনেক মাছ থাকে, তাছাড়া বিলের মাঝে মাছ চাষ করা লাগে না, নানা প্রজাতির মাছে এমনিতেই উৎপন্ন হয়। বছরে একবার সবাই আনন্দ নিয়ে মাছ ধরার উৎসব করেন। এগুলো সত্যি খুবই আনন্দের। গ্রামীন পরিবেশে অনেক কিছুই উপভোগ করা যায়। মাছ ধরার বিষয়টি সত্যি অনেক আনন্দের। যারা মাছ ধরেন তারা বিষয়টি ভালো বুঝবেন। হয়তো আমি সুন্দর করে লিখতে পারছি না। যদি গ্রামে থাকি তবে মাছ ধরার বিষয়টি অবশ্যই শিখে ফেলবো।
আজকে আমি কিছু ফটোগ্রাফি করেছি, কয়েকটি দৃশ্য ক্যাপচার করেছি আমাদের বাড়ীর পুকুরটির। পুকুরটি শুধু আমাদের একার না বরং অনেক আত্মীয় এর সাথে শরিক রয়েছে। গ্রামের বড় বড় বাড়ীর পুকুরগুলো শুধুমাত্র একার থাকে। কিন্তু বাকী পুকুরগুলো পরিবার ভিত্তিক শরিকানা থাকে। কয়েক পরিবার মিলে একটি পুকুর তৈরী করেন। আর পুকুরের মাটি দিয়ে বাড়ীর ভিটা কিংবা চারপাশ উচুঁ করেন।
পরের কোন এক সময় মাছ ধরার দৃশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আজ শুধু পুকুরের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম।
w3w link : https://what3words.com/nitrogen.crossword.became
Device: MI Redmi S2
ধন্যবাদ সবাইকে।
Follow Me On Other Sides
আপনার তোলা পুকুরের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে আপু শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
না অসাধারণ হয়েছে আপনার পুকুরের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে আপু ধন্যবাদ আপনাকে শুভকামনা আপনার জন্য♥
গ্রামের বাড়িতে থাকার অনেক মজা। আমরা যারা শহরে থাকি তারা এই আনন্দ গুলি থেকে বঞ্চিত। যেমন গ্রামাঞ্চলে প্রচুর গাছপালা থাকে। ফলের গাছ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গাছ। পুকুর, নদী আরো কত কিছু। গ্রামের পরিবেশটা কত সুন্দর। এই ধরনের একটা কুকুর আমাদের বাড়িতেও আছে। অবশ্য পুকুরটা শুধুই আমাদের। এখনো মনে পড়ে যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম তখন চাচারা এই পুকুর থেকে মাছ ধরাতো। আমরা সবাই পাড়ে দারিয়ে দারিয়ে দেখতাম। সে দিনগুলো সব হারিয়ে গিয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাদের পুকুরটি খুব সুন্দর আপু,নিশ্চয়ই অনেক রকমারি মাছ আছে পুকুরে।ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামের থাকলে অনেক সৌন্দর্য উপভোগ করা যাই। গ্রামের পুকুর আর সেই পুরের মাছ ধরার আনন্দ। কতনা স্মৃতি জড়িয়ে আছে সেই গ্রামে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কিছু অনুভূতির কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যে।
আপনার তোলা ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে অপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমরা যারা গ্রামে থাকি, আমরা বুঝি গ্রামে থাকার মজাটাই আলাদা। যা ইচ্ছা তাই করা যায়।
আপনার ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিলো আপু।
এই পুকুরটা অনেক পুরাতন একটি পুকুর দেখে মনে হচ্ছে।আমাদের এলাকাতেও এরকম কিছু পুকুর আছে। এবং আপু আমরা কি বাচ্চা নাকি যে আমাদের ভূতের গল্প শোনালেন।এটাতো বাচ্চারা শুনলে হয়ত ভয় পেতে পারে আমরা কি ভয় পাব,না বিশ্বাস করব।সুন্দর রিভিউ করেছেন আপনার পুকুরটার। ধন্যবাদ
দারুন লাগলো। প্রকৃতির অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়ে আছে। আপনার ফটোগ্রাফির হাত ও খুব ভালো। দারুন সময় উপভোগ করেছিলেন। ছবি গুলি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
পুকুরটি একেবারে গ্রাম্য পরিবেশের এবং অনেক চমৎকার। আশা করছি খুব শীঘ্রই মাছ ধরার দৃশ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। আর আপনি ঠিকই বলেছেন গ্রামের পুকুর গুলো মূলত কয়েকটা ফ্যামিলি মিলে তৈরি করেন এবং সেই মাটি দিয়ে বাড়ি উচু করেন।