আমার মায়ের কাজকর্ম ||@shy-fox 10% beneficiary
যেহেতু আমার মা একজন গ্রামীণ গৃহিনী মানুষ। তাই তার কাজের ধরনটা একটু আলাদা। হয়তো যারা শহুরে গৃহিণী মানুষ থাকে, তাদের জীবনে যে কাজগুলো থাকে, সেটা একটু ব্যতিক্রম গ্রামের গৃহিণী মানুষের থেকে। হ্যাঁ এটা একদম সত্য কথা, যদি আমার কথার সঙ্গে কারো অমিল থাকে, তাহলে সেটার আমি প্রমাণ করে দিতে চাই।
দুধের পাতিল হাতে বসে আছে আমার মা। এই দুধগুলো একটু আগেই গরু থেকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। আর সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে, আমার মা নিজেই গরু লালন পালন করে থাকে। সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে ওই যে বললাম, শহুরে গৃহিণী মানুষের থেকে গ্রামীন গৃহিণী মানুষের জীবন একটু আলাদা, এটাই তার প্রথম একটা দৃষ্টান্ত।
বাছুর বিক্রি করে দেওয়ার পর থেকে, এখন দুধ গুলো নিজেদের কাজে ব্যবহৃত হয়। বলতে গেলে নিজেদের খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং বাকি কিছু দুধ বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়।সেখান থেকে কিছুটা হলেও অর্থ আসে, যেটা পরিবারের কাজে অনেকটা ভালো ব্যাকআপ দেয়।
শহুরে গৃহিণী মানুষের জীবনের সঙ্গে আমাদের গ্রামীন গৃহিণী মানুষের জীবনের একটাই মাত্র মিল থাকে, সেটা হচ্ছে সাংসারিক কাজ। সাংসারিক কাজ বলতে রান্না-বান্না ও ঘরের কাজ গুলো। আর আমি মনে করি, তার বাইরে গ্রামের গৃহিণী মানুষগুলো কাজ করে থাকে, সেটা মূলত সত্যিই অনেক কঠিন ও অনেক পরিশ্রমের কাজ। যেটা শহরের গৃহিণী মানুষগুলো সর্বদা করে থাকে না।
আমি আসলে এখানে কারো জীবন কে ছোট করে দেখছি না এবং কারো জীবনের কর্মকে অসম্মান করছি না। আমি শুধু একটু তফাৎ গুলো দেখিয়ে দিলাম। আমি প্রত্যেকের কর্মকে সম্মান করি এবং সকলকে শ্রদ্ধা করার চেষ্টা করি।
দুপুরের পরে যখন বাড়ির উঠানে বসে ছিলাম, ঠিক তখন দেখলাম আমার চাচা গরু গুলো মাঠ থেকে নিয়ে এসে গোয়ালঘরে রাখল এবং আমার মা কিছুক্ষণ আগেই গোয়াল থেকে দুধ সংগ্রহ করেছে আর একটা গরু থেকে। সবমিলে তাদের জীবন গুলো আসলেই সাংসারিক কাজের ভিতরে ব্যস্ত থাকে।
মূলত তার কাজ হচ্ছে সেই সকালবেলা বাড়ির সবার জন্য রান্না, করা তারপর হচ্ছে বাড়ি ঘর গোছানো এবং বিভিন্ন কাজ থাকে ঘরের বাইরে, মূলত গরুর গোবর সংরক্ষণ করে সেগুলো জ্বালানির জন্য প্রস্তুত করা এবং তারপরে গরুকে খাবার দেওয়া আবার আরও বিভিন্ন কাজ থাকে। হয়তো যারা গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে অভ্যস্ত তারা, এই জিনিসগুলো খুব ভালো মতই জানে।
সর্বোপরি যদি এক কথায় বলি, আমার মায়ের সারাদিনের কাজ কর্ম সত্যি অনেকটা আলাদা। কারণ সেই সকাল থেকে সংসার সামলিয়ে তারপরে আবার সংসারের গরুর খামার সামলিয়ে তারপরে আবার পরিবারের লোকজনের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। সব মিলিয়ে তার পুরো দিনটা যায় একদম ভীষন ব্যস্ততা পূর্ণ। কিন্তু এ কাজগুলো তারা একদম সন্ধ্যার ভিতর করে ফেলে। কারণ সন্ধ্যার পরে তাদের যে জীবনটা শুরু হয়, সেটা মূলত একদম বাড়ি কেন্দ্রিক আর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা ঘুমিয়ে যায়। আবার পরের দিন সকালের জন্য অপেক্ষা করে। কারণ পরের দিন থেকে আবারো তাদের একই নিয়ম চালু থাকে।
পারিবারিক সমসাময়িক। শ্রদ্ধা রইল মা'র প্রতি।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার মায়ের দৈনন্দিন কাজ গুলোকে আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনি ঠিকি বলেছেন শহর আর গ্রাম যেরকম ওয়ার্ড দুটি আলাদা আলাদা তদ্রূপ এর কাজকর্মগুলো আলাদা ঠিক সেভাবে আমিও মনে করি এর কাজ কর্মের সব কিছুর মধ্যে একটা ভিন্নতা আছে। আপনার প্রতি আমার একটা পরামর্শ হলো মাকে একটু কাজকর্মে সহযোগিতা করবেন সময় পেলে। আপনার জন্য শুভকামনা। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আপনি আপনার পোস্টে আপনার মায়ের কাজকর্ম গুলো তুলে ধরেছেন।সকল মা খুবই পরিশ্রমী হয়।আপনার মা ও এক কাজ করে দেখছি।
গভীর বাট থেকে সদ্য বের করা কাচা দুধ খেতে আমি খুব পছন্দ করি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
আসলে গ্রামের মহিলারা কাজকর্মের মধ্যেই সারাটা দিন কাটায়। কষ্ট করে জীবন অতিবাহিত করা কাকে বলে তার চরম দৃষ্টান্ত হলেন আমাদের দেশের গ্রামের মহিলারা। আপনার মায়ের সারাদিনের কাজ কর্ম নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।