সূর্যমুখী ফুলের বাগানে ঘোরাঘুরির কিছু মুহূর্ত ❤️🌻
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি সূর্যমুখী ফুলের বাগানে ঘোরাঘুরির কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ঘোরাঘুরি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। শুধু আমার নয় আমার মনে হয় প্রত্যেকেই ঘোরাঘুরি করতে খুবই পছন্দ করে। আসলে আমাদের শহরে ঘোরাঘুরির জন্য তেমন কোন ফাঁকা জায়গা কিংবা পার্ক নেই। কিছুদিন হলো গ্রাম থেকে এসেছি বাসার মধ্যে একদম ভালো লাগছিলো না একঘেয়েমি চলে এসেছিলো।আমার এমন অবস্থা দেখে আপনাদের ভাইয়া বলল আমাদের শহরের মধ্যে নাকি কোথায় একটা ফাঁকা জায়গায় সূর্যমুখী ফুলের বাগান গড়ে উঠেছে।
অনেকেই নাকি সেখানে যাচ্ছে ঘুরতে। তাই বিকেল বেলা আমাদেরকে রেডি হতে বললেন। আমারও খারাপ লাগছিল তাড়াতাড়ি বাবুকে রেডি করিয়ে দিয়ে আমিও রেডি হয়ে গেলাম।এরপর রিকশা নিয়ে চলে গেলাম সেই সূর্যমুখী ফুলের বাগানে।সেখানে অনেকটা জায়গা জুড়ে সূর্যমুখী ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে।এটা একদম শহরের মধ্যে এই পাশে অনেক বিল্ডিং তবে মাঝখানের কিছু জায়গা ফাঁকা ছিল যেখানে কিনা পার্ক করার চিন্তাভাবনা করছে জমির মালিক।সেখানে গিয়ে দেখলাম আমাদের পাশাপাশি অনেক লোকজন এসেছে দেখতে। যদিও শুধুমাত্র একটি ক্ষেতেই ফুল ফুটেছে বাকি চারাগুলো এখনো অনেক ছোট।
বাবু তো ভীষণ খুশি সেখানে গিয়ে। অনেক দৌড়াদৌড়ি করছিল কিছু মাঝ বয়সি ছেলে তাকে দেখে আমাকে বলল আপু বাবুর সঙ্গে একটু ছবি তুলতে পারি আমরা। আমি মনে মনে ভাবছিলাম ভাইরে আমাদের সঙ্গেই ছবি তোলে না আপনাদের সঙ্গে কি ছবি তুলবে। যাইহোক ছেলেটা অনেক চেষ্টা করল ওকে কোলে নিয়ে ছবি তোলার কিন্তু কিছুতেই তার সঙ্গে পেরে উঠলো না হয়তো আমার মতই ঘোলাটে কিছু ছবি তুলতে পেরেছে। যাইহোক এরপর আমার নিজেদের মত কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। অনেক কষ্টে একটি ফ্যামিলি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। পরের ফটোগ্রাফি গুলো আমার নিজের একাই করতে হয়েছে তাকে আর পাইনি।
বাবুকে কিছুক্ষণের জন্য নিজের মতো করে ছেড়ে দিয়েছিলাম অনেক ঘোরাঘুরি করছিল দৌড়াদৌড়ি করছিল। ওর এই আনন্দ দেখে বেশ ভালো লাগছিল। সত্যি কথা বলতে এখানে যদি পার্ক হয় বেশ ভালই হবে অন্তত বাচ্চাদের খোলামেলা একটা জায়গার খুব দরকার। সব মিলিয়ে বেশ ভালো কেটেছিল সেদিনের বিকেলটা। বন্ধুরা আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে।
সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
সূর্যমুখী ফুল বাগানে ঘুরাঘুরি করেছেন। এর আগেও কয়েকটি পর্ব দেখেছি সুন্দর কিছু মুহূর্ত ছিল। তাছাড়া সূর্যমুখী ফুলের বাগানের ক্ষেত অনেক সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর ফুল এগুলো দিয়ে কি করে আপু একটু জানতে কৌতুহল হল? ফুল গুলো দেখতে খুবই সুন্দর এবং পুষ্টিতে ভরপুর মনে হচ্ছে ফুল গুলো। অনেক ভালো লেগেছে ব্লগটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু এই সূর্যমুখী ফুলের বাগানটা অনেক সুন্দর ছিল আর অনেক বড় জায়গা জুড়ে ছিল। আমার সঠিক জানা নাই আপু এই ফুলগুলো দিয়ে কি করে। তবে যতটুকু জানি এগুলো দিয়ে তেল তৈরি হয়। সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
সূর্যমুখী বাগানে আপনারা বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করছেন দেখছি।তবে ফুল গুলো দেখতে অনেক তাজা ও সতেজ মনে হচ্ছে । সত্যি আপু বাচ্চাদের ফটোগ্রাফি করা খুবই কষ্টের শুধু দৌড়ে বেড়ায়। আপনারা বেশ ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন যেন অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
হ্যাঁ আপু ফুল গুলো খুবই সতেজ ছিল আর ঠিক বলেছেন বাচ্চাদের ফটোগ্রাফি করা খুবই কষ্টের। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
সূর্যমুখী ফুলের বাগান ভ্রমন করেছেন এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। শীতকাল আসলে যখন সূর্যমুখী ফুল ফুটতে থাকে তখন আমাদের সকলের ইচ্ছা হয় বাগানটা একবার ঘুরে দেখতে। এমন সুন্দর জায়গাতে খুবই ভালো কিছু সময় অতিবাহিত করা যায়।
হ্যাঁ ভাইয়া এমন সুন্দর জায়গাতে খুব ভালো সময় কাটানো যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
অনেক ভালো লাগলো আমার আপনার লেখা পোস্টটি পড়ে। আসলে এরকম সুন্দর সূর্যমুখী ফুলের বাগানে সময় কাটানোর মজাই আলাদা। এত সুন্দর পরিবেশে সময় কাটালে মনটা এমনিতেই সজীবতায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। দারুন একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি। চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আপু বেশ কয়েকদিন টানা ঘরের মধ্যে থাকলে তখন মনে হয় বাইরে গিয়ে একটু ঘুরে বেড়াই। যাক বেশ ভালই খোলা জায়গায় সূর্যমুখীর বাগানে ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং বাবুকে নিয়ে বেশ আনন্দ করেছেন ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আসলে বাচ্চারা ছবি তুলতে চায় না ,ওদের সঙ্গে ছবি তোলা বেশ কষ্টকর ।যাই হোক বেশ ভালো লাগলো আপনাদের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু একটানা অনেকদিন ঘরের মধ্যে থাকতে আর ভালো লাগছিলো না তাই তো গিয়েছিলাম ঘুরতে। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি সেখানে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সূর্যমুখী ফুলের বাগানে ঘুরতে গিয়ে বেশ চমৎকার সময় অতিবাহিত করেছেন। তার পাশাপাশি সূর্যমূখী ফুলের দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর একটি মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
সূর্যমুখী ফুলের বাগানে দারুন সময় উপভোগ করেছেন।ফুলগুলোর ফটোগ্রাফি করা দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে বাবুকে নিজের মতো করে ছেড়ে দিয়েছিলেন ও আনন্দের সাথে মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করেছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।
যখন কোন খোলামেলা জায়গা দেখি তখন বাবুকে ছেড়ে দেই যাতে করে ও নিজের মতো করে খেলাধুলা করতে পারে দৌড়াদৌড়ি করতে পারে। বাসার মধ্যে সব সময় বন্ধ থাকে। তাই মাঝে মধ্যে ওকে খোলামেলা পরিবেশ দেওয়ার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
্সবাই কম বেশি ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে। আমিও বেড়াতে বেশ পছন্দ করি।আর মাঝে মাঝে এমনভাবে বেড়িয়ে পরলে মন ভালো হয়ে যায়।বেশ সুন্দর লাগছে জায়গাটি ।চারদিকে বড় বড় সুর্যমুখি ফুল ফুটে আছে।শায়ান বেশ খুশি হয়েছে।তার ফটোগ্রাফি তাই বলে দিচ্ছে। সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।।
সত্যি কথা বলতে আপু আমরা যেহেতু শহরের বাসায় থাকি তাই ও যখন খোলামেলা জায়গা পায় খুব দৌড়াদৌড়ি করে এবং খুশি হয়। তাই এখানে এসে সে বেশ খুশি হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনারা যেহেতু শহরে থাকেন, তাই ঘুরাঘুরি করার জন্য তেমন কোন জায়গা সেখানে নেই বুঝতে পারতেছি। তবে আমরা যেহেতু গ্রামে থাকি, তাই অনেক জায়গায় ঘুরতে পারি। এটা অনেক ভালো লাগে। আসলে গ্রামে থাকার মাঝে রয়েছে আলাদা রকম আনন্দ এবং অনুভূতি। তবে শহরে একটা সূর্যমুখী বাগান হওয়ার কারণে, ভাইয়ার সাথে সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন এবং ভালো সময় সেখানে কাটিয়েছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনাদের কাটানো মুহূর্ত বেশ ভালোই উপভোগ করলাম আমি।
সত্যি কথা বলতে ভাইয়া গ্রাম আমার খুবই ভালো লাগে সেটা নতুন করে বলার কিছু নাই। গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে হাঁটতেও ভালো লাগে। শহরের কোলাহল মুক্ত জীবন আর ভালো লাগেনা। যাইহোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু শহরের জীবন একদম বন্দি খাঁচার মতো। গ্ৰাম থেকে শহরে আসলে একদমই ভালো লাগে না। তবে যাবোই বা কোথায় এখানে তো তেমন কোনো মাঠও নেই। যেহেতু আপনার ভালো লাগছিলো না আর ভাইয়াও ঘুরতে যাওয়ার কথা বলেছে তাহলে তো ভালোই হয়েছে। আপনারা খুব সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। আমাদের এখানেও সূর্যমুখি ফুলের বাগান রয়েছে কিন্তু কখনো সেখানে ঘুরতে যাওয়া হয়নি। আমার ছেলে আবার ছবি তুলতে খুব পছন্দ করে। তার ছবি না তুললে কান্না শুরু করে দেয়। আপনার বাবুর ছবি দেখেই বুঝতে পারছি সে ছবি তুলতে একদমই পছন্দ করে না। এমন সুন্দর পরিবেশে বাচ্চাদের একা ছেড়ে দেওয়াই ভালো তারা মন মত দৌড়াদৌড়ি করতে পারে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক বাচ্চাকে দেখি আপু ছবি তুলতে বেশ আগ্রহী।তবে আমার ছেলে কেন জানি না ছবি তুলতে চায় না। যাইহোক বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি আপু সূর্যমুখী ফুলের বাগানে গিয়ে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।