প্রায় তিন বছর পর পরিবারের সাথে ইফতার এবং সুন্দর কিছু মুহূর্ত
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আমার পরিবারের সাথে ইফতার এবং তাদের সঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো। প্রায় তিন বছর পর আমি পরিবারের সাথে ইফতার করলাম।সবার সাথে ভালো সময় কাঁটিয়েছি আর পরিবারের লোকজন সবাই একসাথে হলে সময়টা অবশ্যই ভালো কাঁটে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কাজের সূত্রে সবাই আলাদা আলাদা থাকি তাই সব সময় পরিবারের সঙ্গে একসাথে হওয়া হয় না যে কোন বড় অনুষ্ঠান ছাড়া কিংবা ঈদ পার্বণ ছাড়া।
আমি ভাবলাম যে এবার সবার সাথে ইফতারের পার্টি করলে খুব ভালো হয়। তো আমি গত দুইদিন আগে সবাইকে বলে রেখেছিলাম আমার বাসায় ইফতার করার জন্য। যদিও আমার বাবা মা আসতে পারেনি। তবে আমার ছোট বোন এসেছে। আর আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে সবাই এসেছিল দেবর, দেবরের বউ, শাশুড়ি-শশুর সবাই। যেহেতু অনেক গুলো মানুষের খাবারদাবার আর ইফতারের ব্যবস্থা করতে হবে তাই আমি দুপুরের আগে থেকেই রান্নার কাজে লেগে পডেছিলাম।
তুমি আমি আগে তরকারি গুলো রান্না করে নিয়েছিলাম আমি বেশ কিছু আইটেম করেছিলাম কচু ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে, দেশি মুরগি, খাসির মাংস, সজনে ডাটার চচ্চড়ি রুই মাছ দিয়ে। রান্না গুলো আগে কমপ্লিট করা থাকলে এরপরে চপ বানাতে সময় লাগে না। তাই আমি আগেভাগে রান্না গুলো সেরে নিয়েছিলাম। আর আপনাদের ভাইয়া বাসায় নেই। তাই সবকিছু একা হাতে করতে হচ্ছিল। আমি রান্নাবান্না শেষ করে গোসল করে আবার একটু বাজারে গিয়েছিলাম কিছু ফলমূল কেনার জন্য।
বাজার থেকে আসতেই আমার সাড়ে চারটা বেজে গিয়েছিল।তাই ভাবলাম যে এবার বাকি ইফতারগুলো তৈরি করে ফেলি। তো আমার ছোলা আগে থেকেই ফ্রিজে রান্না করা ছিল। সেগুলো শুধু গরম করে নিলাম। এরপর আগে থেকেই ডাল ব্লেন্ডার করা ছিল পিঁয়াজু ভাজার জন্য। সেগুলো ভেজে নিলাম। এরপর আমি একে একে আলুর চপ, ডিমের চপ, পটলের চপ, বেগুনি সবকিছু বানিয়ে নিয়েছি।
তো চপগুলো ভাজা হয়ে গেলে আমি ফলমূল গুলো কেটে নিয়েছিলাম। আমি বেশ কয়েক ধরনের ফল রেখেছিলাম আর সারাদিন রোজা রাখার পর ফলমুল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আমি বড় একটা তরমুজ কিনেছিলাম যেটা আমি এমনিতেও কেটে দিয়েছি আবার জুসও বানাবো ভেবেছিলাম।প্রায় অর্ধেক তরমুজ দিয়েই আমি জুস বানিয়েছিলাম।সবাই জুস ভীষণ পছন্দ করেছিল।
সব কিছু রেডি করার পর আমার মেহমানরা চলে এসেছিল। তারাও আবার অনেক কিছু এনেছিল আমার বাসায়। তো যাই হোক আমি যেহেতু অনেক কিছু বানিয়েছি তাদের গুলো আমি অমনই ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম। আর সবাই মিলে আমরা প্রথমে ইফতার করে নামাজ-কালাম পড়ে আবার সবাই অনেক গল্প করে তারপর আমার শাশুড়িরা খেয়ে দেয়ে বাসায় চলে গিয়েছিলেন। এখন আমার বাসায় শুধু দেবর, দেবরের বউ আছে আর আমার ছোট বোন আছে। যেহেতু আমি বাসায় একা তাই তাদের যেতে দেয়নি।
তো এই ছিল আমার পরিবারের সঙ্গে ইফতারের আয়োজন এবং তাদের সঙ্গে কাটানো সুন্দর কিছু মুহূর্ত। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আসলে আমরা যতই ব্যস্ত থাকি না কেন দিনশেষে পরিবারের সাথে সময় কাটানো খুবই জরুরী।অনেক দিন পর বেশ ভালো সময় কাটালাম সবার সঙ্গে এবং আমরা অনেক রাত পর্যন্ত গল্প করবো ভেবেছি।
তো বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসাথে ইফতারি খাওয়ার মজাই আলাদা আপু। আপনি তো দেখছি একা হাতে অনেক আইটেম করেছেন অনেক কষ্ট করেছেন সবার জন্য। তবে কষ্ট করলেও কিন্তু সবাইকে খাওয়াতে পারলে অনেক ভালো লাগে। এভাবে যদি আস্তে আস্তে আগে থেকে করে রাখলে কিন্তু ঝামেলা হয় না। অনেক মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ আপু আমি সকাল থেকে টুকটাক করে কাজ এগিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলা। যার কারণে আমার খুব বেশি কষ্ট হয় নাই। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
অসাধারণ অভিজ্ঞতা পড়লাম আপনার থেকে।যদিও কখনোই কোন ইফতার পার্টিতে থাকার সৌভাগ্য হয়নি, তবে আপনার বর্ণনা পড়ে যেন মনে হল পুরো বিষয়টা আমি উপভোগ করলাম ।আর এটা ঠিকই বলেছেন সারাদিন উপবাস থেকে তারপরে ভাজাভুজি খাওয়ার আগে ফল খাওয়াটা খুবই জরুরী।এটা খুব ভালো ডিসিশন নিয়েছেন। আর রান্নাবান্না দেখছি কোন কিছুই বাদ যায়নি। খালি পেটে এতকিছু রান্না করা! সত্যিই এলেম আছে আপনার।
প্রিয়জনের জন্য রান্না করতে অনেক ভালো লাগে আপু। আমি বাসায় ইফতার পার্টি করেছিলাম এজন্য সবার জন্য রান্না করার চেষ্টা করেছি সবার পছন্দ অনুযায়ী। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
আসলে পরিবারের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো অনেক বেশি রোমাঞ্চকর হয়ে থাকে। কিন্তু সবার ব্যস্ততার কারণে হয়তোবা সবসময় একসাথে থাকা হয় না একসাথে খাওয়া হয় না। অবশেষে আপনি দারুন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সকলে মিলে একত্রে ইফতার পার্টিতে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। আপনাদের সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বী ভাইয়া কাজের সূত্রে সবাই আলাদা আলাদা থাকা হয়। এজন্য অনেকদিন যাবত এমন সবাই মিলেমিশে থাকা খাওয়া-দাওয়া হয়নি। তো ভেবেছিলাম সবাই মিলে একটু আনন্দ করবো খাওয়া-দাওয়া করবো। তাই আর কি এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
পরিবারের সবার সঙ্গে এরকম সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে। আর পরিবারের সবার সঙ্গে ইফতার করার তো মজাটাই আলাদা। এক হাতে ইফতারের আয়োজন করেছেন তাও তো কোন রান্না বাদ পড়েনি। আগে থেকে কিছু রান্না করে রেখেছেন তা না হলে একসাথে এতগুলো রান্না করতে আপনার একটু একটু কষ্ট হতো। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে ইফতার পার্টিতে সবাই মিলে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। পরিবারের সবার সাথে কাটানো মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পরিবারের সাথে সময় কাটাতে সবসময় ভালো লাগে কিন্তু কাজের কারণে হয়তো আলাদা আলাদা থাকা হয় তাই এমন আয়োজন কখনোই করা হয়নি। আমি তরকারি গুলো আগে রান্না করে রেখেছিলাম ইফতারের কিছু আগে আমি চপগুলো বানিয়ে নিয়েছিলাম এবং ফলমূল গুলো কেটে নিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।