হোমমেড প্যান কেক তৈরির রেসিপি
হ্যালো
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি শেয়ার করবো নতুন একটি রেসিপি। নতুন বলতে আমি এটা প্রথমবার বানিয়েছি। তো সেই রেসিপিটা হলে প্যান কেক।আসলে কিছুদিন আগে বাবু যখন অসুস্থ ছিলো আমার বাবা কিছু ভালো কেক এনেছিলো বাবুর জন্য। তখন তো বাবু খেতে পারেনি। তাই সুস্থ হওয়ার পর দেখলাম বাবু কেক গুলা খেতে খুবই পছন্দ করছে। কিন্তু বাহিরের খাবার গুলা আমি বাবুকে একটু কম দেওয়ার চেস্টা করি।
তাই ভাবলাম বাবু যেহেতু পছন্দ করছে আর আমিও মোটামুটি ভালো কেক বানাতে পারি তাহলে কেক টা বাসাতেই বানাই।তো আমি কেক বানানোর জন্য যে বেটার টা তৈরি করছিলাম সেটা দিয়ে কিছু প্যান কেক বানিয়েছি।আর বাকি বেটার দিয়ে কেক বানিয়েছি। তার মানে একের মধ্যে দুইটা রেসিপি। কেকের রেসিপি একদিন সেয়ার করেছি। তো চলুন আজকে প্যান কেকের রেসিপি শুরু করা যাক।
উপকরণ |
---|
ময়দা |
ডিম |
চিনি |
দুধ |
তেল |
বেকিং পাউডার |
ভ্যানিলা এসেন্স |
ধাপ-১
প্রথমে একটা বাটিতে দুটো ডিম ভেঙে নিয়েছি। অবশ্যই ডিম গুলো নরমাল থাকতে হবে। সরাসরি ফ্রিজ থেকে ডিম বের করে কেক বানালে কেক খুব একটা ভালো হবেনা।তাই ডিম ফ্রিজ থেকে এক ঘন্টা আগে বের করে রাখাই ভালো।
ধাপ-২
এরপর ডিমের মধ্যে হাফ কাপ চিনি এবং হাফ কাপ রান্নার তেল দিয়েছি।তারপর সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়েছি। যেহেতু আমি কাঁটাচামচ দিয়ে ফেটিয়েছি তাই একটু সময় নিয়ে ফেটাতে হয়েছে। ভাবছি একটা ইলেকট্রনিক বিটার কিনেই ফেলবো।
ধাপ-৩
ভালোভাবে ফেটানো হয়ে গেলে এক কাপ ময়দা দিয়ে ডিম চিনির মিশ্রনের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে আবারো কিছুক্ষণ ফেটিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এরপর দিয়েছি হাফ চামচের বেশি বেকিং পাউডার এবং এক চামচের মতো ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এরপর বেটারটা পারফেক্ট করার জন্য সামান্য পরিমাণে লিকুইড দুধ দিয়ে আবারো ফেটিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
কিছুক্ষণ বেটার টা রাখার পর আমি প্যান কেক গুলো তৈরির জন্য চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে গরম করে নিয়ে তারপর একটা গোল চামচের সাহায্যে বেটার দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
ধাপ-৭
প্যান কেক গুলো লো আচেঁ ভাজতে হবে। তা না হলে পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তো আমি সব গুলো প্যান কেক একই ভাবে ভেজে নিয়েছি।
❤️পরিবেশন❤️
এরপর আমি প্যান কেক গুলো গরম গরম পরিবেশন করেছি। আমি অনেক খুশি যে আমার ছেলে এটা খুবই পছন্দ করেছে।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি।আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেলে। ভালো লাগলে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন
আপু প্যান কেক বাচ্চাদের অনেক পছন্দ,বিশেষ করে আমার বাচ্চারা অনেক পছন্দ করে। আপনি সত্যি বলেছেন আপু বাইরের খাবার বাচ্চাদের না দেওয়া অনেক ভালো। আপনার কেক গুলো চমৎকার হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। আমি ও মাঝে মাঝে বাচ্চাদের বানিয়ে দেই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
জ্বী আপু আমিও চেষ্টা করি বাবুকে বাসাতেই মাঝেমধ্যে এটা ওটা বানিয়ে খাওয়ানোর। কারণ আমার কাছে বাইরে জিনিস গুলো খুব একটা স্বাস্থ্যকর মনে হয় না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হোমমেড প্যানকেক রেসিপি তৈরি করেছেন।দেখতে খুবই মজাদার মনে হচ্ছে। আমি সাধারণত বাহিরে প্যানকেক খেয়ে থাকি।আর আপনি এটি হোমমেড করেছেন।যাই হোক আপনার তৈরি করা রেসিপি টি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
জ্বী ভাইয়া এই হোমমেড প্যানকেক গুলো খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
প্যান কেক আমার অনেক ভালো লাগে আমি প্রায় সময় প্যান কেক বাসায় তৈরি করে থাকি।আপনি অনেক ভাল একটি কাজ করেছেন বাবুকে বাসায় প্যান কেক তৈরি করে খাওয়াচ্ছেন।তবে বাইরের খাবার না দিলে ভালো হবে।আপনি একবারে ডো তৈরি করে দুইটা কেক বানালে খুব ভাল আইডিয়া।
বাহিরের খাবার বাবুকে দিলে ওর খাবারের রুচি নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে আমি খুবই কম দেওয়ার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কেক খেতে খুবই ভালো লাগে আমার। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে হোমমেড প্যান কেক তৈরির করেছেন । দেখে খুব ভালো লাগলো। বেকিং পাউডার ভ্যানিলা এসেন্স দেওয়াতে স্বাদ অনেক গুনে বৃদ্ধি পাবে। আপনার কেক তৈরি প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। কেক দেখে খেতে খুবই লোভ লাগছে। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
বাসায় তৈরি করা যেকোন খাবার বাবুর জন্য অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হবে। আসলে বাহিরে তৈরি করা খাবার গুলো কম খাওয়াই ভালো। এছাড়া পেন কেক তৈরি করতে খুবই কম সময় লাগে। উপকরণগুলো মিক্স করে নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করা যায়। এটা খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি অনেক স্বাস্থ্যকর হয়। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে ভালো লাগলো আপু।
ঠিক বলেছেন আপু প্যান কেক তৈরি করা খুবই সহজ এবং খুব কম সময়ে বানানো যায়। আর আমার বাবু এটা অনেক পছন্দ করেছে। এখন থেকে ওকে মাঝেমধ্যে এটা বানিয়ে দিব। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার রেসিপি প্যান কেক দেখতে খুব লোভনীয় হয়েছে। বাচ্চারা কেক খুব পছন্দ করে। তাই বাসায় এভাবে করে দিলে বেশ ভালোই হয়। খেতে খুব মজার হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু এটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
প্যান কেক গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে আপু,খেতেও নিশ্চয়ই খুব ইয়াম্মি হয়েছে। আসলে এই ধরনের খাবার ঘরে তৈরি করে খেতে পারলে খুব ভালো লাগে আমার কাছে। কারণ বাহিরের খাবার তেমন স্বাস্থ্যকর নয়। এই রেসিপিটা বিকেলের নাস্তার জন্য পারফেক্ট একটা রেসিপি। যাইহোক রেসিপি তৈরির পদ্ধতি এবং পরিবেশন এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, এতো মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হোমমেড যেকোন খাবার স্বাস্থ্য সম্মত। আর বাচ্চাদের জন্য বাহিরের খাবার না দিয়ে ঘরে বানিয়ে দেয়াই ভাল। আপনার তৈরি করা প্যানকেকটি দেখে মনে হচ্ছে একবারে পারফেক্ট হয়েছে। ধাপগুলোও বেশ সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। বাচ্চা বেশ মজা করে খেয়েছে ,তাই আপনার বানানো স্বার্থক।অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন আপু বাবু পছন্দ করেছে তাই আমার বানানো স্বার্থক। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।