একাকিত্বের ছুটি || @shy-fox 10% beneficiary
আশাকরি বন্ধুরা সকলে ভালো আছেন। সবার সময় ভালো যাচ্ছে, এই কামনাই করি । যাইহোক আজকে আমার চিন্তাধারা থেকে একটি গদ্য লেখার চেষ্টা করব । আশাকরি আমার যারা পাঠক আছে তাদের কাছে ব্যাপারটি ভালো লাগতে পারে ।
তখনো মাঝরাত চলছিল । আমি বুঝতেছিলাম যে, আমার শরীরের তাপমাত্রা একটু বাড়ছে । আজ হঠাৎ করেই কেন জানি কম্বলটাকে আরো বেশি জড়াতে ইচ্ছা করছে । শরীরের কাঁপুনি কমানোর জন্য ওষুধ নামক কিছু জিনিস আমি ইচ্ছে করেই মুখে দিলাম । পানির সঙ্গে নিমিষেই খেয়ে ফেললাম।
ভোরবেলার দিকে মনে হচ্ছিল আমার আরও ছটফটানি বেড়ে যাচ্ছিল । আমার আসলেই চারদেয়ালে থাকতে ভালো লাগছে না । আজ আমার বাড়ির কথা মনে পড়ছে। মোবাইল ফোনটা বের করে সোজা মায়ের নাম্বারে কল দিয়ে দিলাম। আবেগে আমি আপ্লুত হয়ে মাকে বলছি, আমাকে তুমি বাড়ি নিয়ে যাও। চারদেয়ালের মাঝে আমার আর ভালো লাগছে না ।
যদিও আমি নিজেই বাচ্চার মা । তারপরেও অনেকটাই শিশুসুলভ আচরণ করছিলাম । কেন করছিলাম তা আমি জানি না । হয়তো মনের উপর একটা একাকিত্বের দাগ বসে গেছে । ভালো লাগছেনা এই সুউচ্চ দালান , ভালো লাগছে না আর এই গোছানো সবকিছু । আমি আপাতত ছুটি চাই,কিছু সময়ের জন্য ফিরে পেতে চাই, সেই প্রকৃতির মাঝে আমার ছোট্ট ঘরটা । যেখানে আমার জন্ম, যেখানে আমার বেড়ে ওঠা ।
বড্ড হাঁপিয়ে উঠেছি । আমি বুঝতে পারছি হয়তো শরীরের তাপমাত্রা ওষুধ দিয়ে কমানো যাবে কিন্তু আমার মনের দাগ কমাতে গেলে , আমাকে আমার বাড়িতে যেতেই হবে । আমার ভিতর অনেকটাই একাকিত্বের দাগ বসে গেছে, সেগুলো আমাকে মুছে ফেলতে হবে । হয়তো কাছের মানুষদের সঙ্গে দেখা করে, খোলামেলা ভাবে কথা বলে আমি কিছুটা হালকা হতে চাই ।
এমন সময় আপনাদের জীবনে , কখনো এসেছিল কিনা তা আমার জানা নেই । তবে দীর্ঘ ছয় মাস একঘেয়ামি জীবনের কারণে হঠাৎ করেই কেন জানি মনের ভিতরে একটা আচমকা মোচড় দিয়ে উঠেছে , ভালো লাগছেনা কিছুই। আমি আপাতত ছুটি চাই । বাড়িতে গিয়ে কিছুটা সময়ের জন্য গ্রামীণ পরিবেশে হালকা হতে চাই । প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিয়ে আবারও কাজে মনোযোগ দিতে চাই ।
খুব ভালো লাগলো আপনি আপনার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, আসলে চার দেয়ালের মাঝে থাকতে থাকতে মানুষ বিরক্ত বোধ করে একটা সময় কোথাও ঘুরে আসতে ইচ্ছা করে, আর বাপের বাড়িতে যাওয়া তো মেয়েদের জন্য অনেক আনন্দের বিষয়, আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা আমাদের মাঝে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু, আপনি গ্রামের বাড়িতে গিয়ে একদম সঠিক কাজ করেছেন। কারণ একাকিত্বের দাগ দূর করতে এটি আপনার সর্ব উত্তম পন্থা। বেশিরভাগ মানুষই অসুস্থ হয়ে গেলে তার মায়ের সান্নিধ্য পেতে চায় এটাই মনে হয় সত্যি কথা। আর তাই আপনি শিশুসুলভ আচরণ করে মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য ফোন দিয়েছেন। আমারও মাঝে মধ্যে একই রকম অবস্থা হয়ে থাকে। অসুস্থ হলেই মাকে কাছে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যায়। আপনি গ্রামের বাড়িতে গিয়ে গ্রামের ফুরফুরে হাওয়ায় নিজের মনকে শীতল করে নিন। মায়ের ছায়া তলে থেকে শরীরকে সুস্থ করে নিন। আপনি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই প্রত্যাশা করছি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু হয় এরকম প্রায় সময় হয়, কারণ কর্ম জীবনে একটানা দীর্ঘদিন থাকার পর একঘেয়েমি হয়ে পড়ে। অনেক সময় অনীহা চলে আসে চাকরির প্রতি। ছুটে ছেড়ে চলে যেতে মন চায় গ্রামের বাড়ি। সেখানে নাড়ির টান থেকে যায়। আর মা-বাবা আপনার যতই সন্তান-সন্তনি থাকুক না কেন আপনি মা-বাবার কাছে সেই ছোট্ট রাজকণ্যা এখনো সেই ছোট্ট রাজকণ্যাই। যাইহোক আপনার শরীর খারাপের কথা শুনে খারাপ লাগল। অবশেষে বাড়িতে গেছেন এবং ফ্রেশ হয়ে গেছে এবং স্নিগ্ধ পরিবেশ উপভোগ করছেন। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ সবাইকে অনুপ্রেরণা মূলক মন্তব্য করার জন্য। শুভেচ্ছা রইলো সকলের জন্য।