ইতি || জীবনযুদ্ধে হেড়ে যাওয়া এক মেয়ে😪 || ১ম পর্ব
"হ্যালো",
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করব। এটা আমার বান্ধবীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা। কদিন ধরে ভাবছি লিখব কিন্তু কিছুতে সময় করে উঠতে পারছিলাম না। আমার এত কাছের বন্ধবী ছিল যে আমি কখনোই ভুলতে পারিনা। হঠাৎ করে আজকে খুব বেশি ওর কথা মনে পড়ছিল। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি ওর সাথে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক ঘটনা।
ইতি পরিবারের মেজো মেয়ে। তারা চার বোন ছিল তার কোন ভাই ছিল না। তাদের সংসারে খুব হাসি খুশি বিরাজ করত এবং তাদের বোনদের মতো এত ভালোবাসা যা বলে শেষ করা যাবেনা।ইতির বড় দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে কিন্তু বড় বোনের স্বামী দেশের বাইরে থাকার সুবাদে সে বাবার বাড়িতেই থাকে। এতে করে তার খুব ভালো লাগে কারণ সে বড় বোনের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে এবং গল্প করতে পারে। ইতি একাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। এর মধ্যে গ্রামের সাগর নামের এক ছেলের সঙ্গে ইতির একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ইতি তার বড় বোনকে সবকিছু খুলে বলে।যেহেতু তারা সবসময় একসঙ্গে থাকে আর সে তার বড় বোনের সঙ্গে খুবই ফ্রি। তার বড় বোনের কাছে কোন কথাই সে লুকায় না, তাই এই বিষয়েও সে কোন কথাই লুকাইনি। তো তার বড় বোন তাকে কিছু বলেনা এবং সবাই এই বিষয়টা জেনে যায় এবং সেই ছেলেটাকে মেনে নেয়। তো সবাই চাইছিল যেহেতু মেয়েটা এখনো পড়াশোনা শেষ করেনি তাই তারা চাইছিল যে দুজনের প্রতিষ্ঠিত হোক তারপরে কিছু একটা ভাবা যাবে। সেই ভেবে সময় গড়াচ্ছিল এবং তারা দুজনে তাদের মতো করে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল। ছেলেটা তখন অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়তো।
এভাবেই প্রায় একটা বছর কেটে গিয়েছে। হঠাৎ করেই বড় বোনের স্বামীর দেশের বাইরে থেকে একদিন তার বড় বোনের সঙ্গে কথা বলছিল এবং পাশে ইতি বসা ছিল। বড় দুলাভাই বলছিল যে ইতির জন্য বিদেশে একটা ছেলে দেখেছে। ছেলেটা বাংলাদেশেরই কিন্তু কাজের সুবাদে দেশের বাহিরে তার সঙ্গে সেখানে থাকে। ইতির বড় বোনেরও এতে মত ছিল এটা সে ইতি ভালোভাবে বুঝতে পেরে গিয়েছিল তাদের কথাবার্তা শুনে। তখন ইতি দৌড়ে তার মায়ের কাছে গিয়ে সব কিছু খুলে বলে এবং তার মা বলে যে বিষয়টা উনি দেখবেন।
কিন্তু যতই দিন যাচ্ছিল ততই সবার মত পরিবর্তন হচ্ছিলো। যেহেতু প্রতিষ্ঠিত ছেলে তাই তারা কিছুতে হাতছাড়া করতে চাচ্ছিল না। এদিকে ইতিও কিছুতে রাজি হচ্ছিল না। তারপর সে অনেকে যুদ্ধ করে তার মাকে রাজি করায় যে সে সাগর ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে না। যাইই হোক না কেনো মা তো। অবশেষে মেয়ের কথা শুনে সেও সবার বিরুদ্ধে গিয়ে বলে দেয় যে আমার মেয়েকে আমি ওই ছেলের কাছেই বিয়ে দিব। তারপর তাদের বাসায় রোজকার অশান্তি লেগেই থাকে। তারপর অবশেষে ইতির বাবা ও কোন উপায় না দেখে সাগরকে ডেকে ঘরোয়াভাবে বিয়ের অনুষ্ঠানটা সম্পূর্ণ করে।তো ইতির কোন ভাই নাই তাই সবার অনুরোধে সাগর ইতিদের বাড়িতেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই। আর সাগরের বাড়ি একই গ্রামে হওয়ায় সাগরেও কোন আপত্তি ছিল না।
ঘটনাটা অনেক বড় তাই একটি পর্বে শেয়ার করা সম্ভব হলো না। যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে অবশ্যই সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। আমি পরের পর্বটা শেয়ার করার চেষ্টা করব। কারণ পরের পর্ব টা পড়লে অনেকেই হয়তোবা একটু শিহরিত হবেন।
আজকে পর্যন্ত বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।




