গ্যাস না থাকায় রাইস কুকারে রান্নার অভিজ্ঞতা
হ্যালো
গতকাল রাতে একটি ঘটনা ঘটেছিল সেটি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আসলে এটা আমার কাছে হাসির ঘটনা নাকি দুঃখের ঘটনা খুব একটা ভালো বুঝে উঠতে পারি নি। অনেকটা হেসেছি নিজে নিজে আবার রাগও হচ্ছিল প্রচন্ড। রাত্রে ১১ঃ০০ টা বাজে আমি রান্না করছিলাম। হঠাৎ করে আমার রান্নার গ্যাস শেষ হয়ে যায় এবং এত রাতে গ্যাস কোথায় পাব পরে আমি সেই ভেবে রাইস কুকারে রান্না করেছি।আর আমার সেই রাইস কুকারে রান্নার অভিজ্ঞতা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
বাবু অনেকটাই ছোট এবং ও প্রচুর দুষ্টুমি করে। আর রান্নাঘরে গেলেও একদম রান্না ঘরে কাটাকাটি করতে দেয় না এবং রান্না করতে দেয় না।খুব বিরক্ত করে।আর রান্না ঘরে দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার মত অনেক জিনিসই থাকে যা আমাকে অনেক ভাবায় এবং ভয়ও পাই। যদি ওর কিছু একটা হয়ে যায়। এজন্য সব সময় চেষ্টা করি কাজগুলো ও ঘুমিয়ে থাকার সময় করতে বা রাত্রিবেলা রান্না করে রাখতে।
প্রতিদিন রাতে ওকে ঘুমিয়ে দিয়ে আমি রান্না করতে যাই গতকালও আমি প্রতিদিনের মতো রান্না করতে যায় রান্নাঘরে।তো আমি আলুর একটা তরকারি রান্না করছিলাম। যেটা আমি এক পাশে মসলা দিয়ে মেখে তুলে দিয়েছিলাম এবং এক পাশে আমি মাছ ভাজছিলাম।তরকারিতে খুব একটা জ্বাল পায়নি আর মাছ কেবল একপিট ভাজা হইছে। এর মধ্যে গেলো গ্যাস শেষ হয়ে।
কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না মাছগুলো না ভাজলেও নষ্ট হবে। তরকারি গুলোও নষ্ট হবে। তো অনেক কষ্ট করে মাথায় বুদ্ধি আনলাম যে আমি রাইস কুকারে রান্না করব।রাইস কুকারের দুইটা পাত্র ছিল আমার। একটাতে ভাত রান্না করেছিলাম অপরটাতে আমি তরকারি রান্না করার জন্য বসিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর আমি মাছ ভাজার জন্য তেল দিয়ে যেই মাছগুলো দিয়েছি ওমনি সব মাছগুলো লেগে লেগে যাচ্ছিল। কিছুতেই ভাজা যাচ্ছিলো না। কোন মতো কষ্ট করে হালকা করে ভেজে নিয়েছিলাম।
মাছগুলো হালকা করে ভেজে নিয়ে তুলে নিয়ে আমি তরকারিটা দিয়ে দিয়েছিলাম রাইস কুকারে। তারপর আমি রান্না করে নিয়েছিলাম। আমার রান্না শেষ হওয়ার মধ্যেই তখনই কেয়ারটেকার ভাই গ্যাসের বোতল নিয়ে হাজির। আমি আপনার ভাইকে একবার বলে রেখেছিলাম যে গ্যাস শেষ হয়ে গেছে। ও কখন জানি কেয়ারটেকার ভাইকে ফোন করে বলেছে গ্যাস শেষ হয়ে গেছে। আমি একটু আপনাদের ভাইয়ার রেগে গেলাম যে এত রাতে মানুষটাকে কষ্ট দেওয়ার কী দরকার ছিল। আমিতো একটা উপায় বের করে রান্নাটা করেছি।
তবে রান্না করতে করতে বারবার আমার বড় জা এর কথা মনে হচ্ছিল। ওনি মাঝেমধ্যেই ফোন দিয়ে আমাকে বলতেন যে গ্যাস নাই রান্না করিনি। বসে আছি বা রাইস কুকারে শুধু ভাত আর আলু সেদ্ধ খেয়েছি। আসলে ঢাকা শহরে তো প্রচুর গ্যাসের সমস্যা মাঝে মধ্যে গ্যাস থাকে না। একদিনের জন্য হলেও আমি সেই কষ্টটা ভোগ করেছি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের বিষয়। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোন বিষয় নিয়ে। আর সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং সুরক্ষিত থাকবেন।
রান্নার সময় গ্যাস শেষ হয়ে গেলে সত্যি অনেক বিপদের মধ্যে পড়তে হয়। আমার মাঝে মাঝেই এমন হয়। তবে মাঝে মাঝে রাইস কুকারে রান্না করে ফেলি। কিন্তু এমন কিছু রান্না আছে যেগুলো রাইস কুকারে রান্না করা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে মাছ ভাজা কিংবা ডিম ভাজা এগুলো একেবারেই ভালো হয় না। ঢাকা শহরে এই সমস্যাগুলো আরো বেশি। আমরা তো সিলিন্ডার ব্যবহার করি তাই হয়তো হঠাৎ করেই এই সমস্যায় পড়ি। কিন্তু যারা ঢাকা শহরে থাকে তাদেরকে প্রতিনিয়তই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
জ্বি আপু ঢাকা শহরে গ্যাসের সমস্যা প্রচুর হয়। আমার জা মাঝেমধ্যে ফোন দিয়ে আমার সঙ্গে শেয়ার করেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আর ঠিকই বলেছেন কিছু কিছু রান্নার রাইস কুকারে একদমই করা যায় না।
আমার এখনো এই সমস্যা হয়নি তবে প্রতিদিন গ্যাসের চাপ কম থাকে। বাচ্চা ছোট থাকলে রান্নাবান্না করতে কত ঝামেলা সেটা আমি ভালো করে বুঝি। আপনি তাও বুদ্ধি করে রান্না শেষ করতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। এখন ঢাকা শহরের প্রায় সব জায়গায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ধন্যবাদ আপু গ্যাস না থাকায় রাইসকুকারে রান্না করার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু ছোট বাচ্চা নিয়ে সংসারের কাজ করা খুব কষ্টকর।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য।
আমি তো প্রায় সময়ই গ্যাসের সমস্যা হলেই রাইস কুকারে রান্না করি আপু।আমার রাইস কুকারে রান্না করার অনেক অভিজ্ঞতা আছে।আমি যেহেতু সিলিন্ডার ব্যবহার করি তাই এবারের রাইস কুকার যেটা নিয়েছি সেটা দুটি পাত্র দেখে নিয়েছি।যাতে কোনো সমস্যা হলে একটা পাত্রে ভাত রান্না আবার অন্য একটা পাত্রে তরকারি রান্না করতে পারি।আপনি ঠিক বলছেন আসলেই এমন অবস্থায় গ্যাস যায় যা হয়তো একদম সকালে না হয় গভীর রাতে।তবে আপনার একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা হল হা হা হা।
আমার রাইস কুকারেরও দুইটা পাএ কিন্তু তরকারি রান্না করা গেলেও ভাজাভুজি করা যায়না আপু। জ্বি মজার আর কষ্টের দুইটারি অভিজ্ঞতা হলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।