সাম্পান ||@shy-fox 10% beneficiary
আশা করি বন্ধুরা সবাই ভালো আছেন, সবার সময় ভালো যাচ্ছে এই কামনাই করি। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আমার চিন্তা-ভাবনা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার জন্য এবং মাঝে মাঝে চেষ্টা করি, নিজের মনোভাব তুলে ধরার জন্য। আপনাদের কাছ থেকে ভালো রেসপন্স পাই আমি, যার কারণে প্রতিনিয়ত লেখার চেষ্টা করি।
এই সাম্পান গুলো বানিয়ে দিয়েছিল, আমার আদরের ভাতিজারা। সেদিন আমাদের গ্রামে মনে হয় সম্ভবত শেষ দিন ছিল। যাইহোক দুপুরবেলা আমি বাড়ির সামনে বসে ছিলাম, তখন দেখছিলাম ওরা খেলা করছিল ,ওরা বলতে আমার ভাতিজারা । যদিও আমি এই খেলাগুলো ছোটবেলাতে খেলেছিলাম , তবে সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে ওরা বাঁশের পাতা দিয়ে সাম্পান বানাচ্ছিল । ভালই লাগছিল আমার কাছে ,কারণ এগুলোর মাঝে আমার শৈশব জড়িয়ে আছে।
শৈশবস্মৃতি সবথেকে বেশি অদ্ভুত একটা বিষয়। কারণ এটা মুহূর্তে মুহূর্তে ভেসে ওঠে আয়নার মতো করে। কারণ সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে, আপনি যখনই কোন না কোন কিছু দেখবেন, আপনার চোখের সামনে যদি সেটা আপনার শৈশব কেন্দ্রিক হয় তাহলে সেটা মুহূর্তেই আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে। কারণ এমন একটা সময় ছিল যখন, আমি ওদের মতো বয়সে বাঁশের পাতা ছিঁড়ে বহুবার সাম্পান বানিয়েছিলাম। তাই আমার কাছে আমার শৈশবটা মুহূর্তেই ভেসে উঠেছিল।
আন্টি তোমরা তো কালকে চলে যাবে, যাইহোক এই নাও বাঁশের পাতা সাম্পান । এগুলো তোমার জন্য, বিষয়গুলো যখন আমার ভাতিজা আমাকে বলছিল। তখন আমাকে যেন আবেগপ্রবণ করে তুলেছিল । যাইহোক আমি বলেছিলাম ভাসিয়ে, সাম্পান গুলো ঐ জলে ।
আমি মনে করি বাঁশের পাতার সাম্পানের সঙ্গে, সবারই কমবেশি পরিচিতি আছে। বিশেষ করে, শৈশবকালে সবাই কমবেশি এই সাম্পান গুলো বানিয়েছিল। বাঁশের পাতা সাম্পান আর শৈশবকালের খেলার সঙ্গী, যদি বর্তমান সময়েও এক সঙ্গে থাকতো তাহলে সময়টা যে কতো মধুর হতো তা বলে শেষ করা যেত না । তবে চাইলেও তো আর অনেক কিছু পাওয়া যায় না। এইজন্য সাম্পান গুলো দেখছি আর শৈশব স্মৃতি গুলোকে মনের আয়নায় বারবার ভাসিয়ে তুলছি ।
ধন্যবাদ সকলকে ।
আপু আমি ছোট বেলায় কলা গাছের খোলা দিয়ে এটি বানিয়ে ছিলাম।আপনার সাথ আমারও ছোট বেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল।অনেক সুন্দর করে বানিয়েছে সম্পান।শেয়ার করা জন্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
সত্যি আপু আমরা তখন কাগজের তৈরি নৌকা ভাসিয়ে দিতাম। পানি হলে খুবই মনমুগ্ধকর মুহূর্ত ছিল। শৈশব টা খুবই আনন্দের ছি। আসলেই শৈশবের স্মৃতি আয়নার মতো ভেসে ওঠে এবং চঞ্চল ছিলাম আমরা শৈশবকালে। আপনি খুবই সুন্দর বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ভালো লাগলো
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আপনি সম্পানের ব্যাখ্যাটি অনেক সুন্দর করে দিয়েছেন। অনেক কিছু মনে করে দিলেন ছোটবেলার স্মৃতি। ছোটবেলায় কাগজ দিয়ে সম্পান বানাতাম, কাগজ দিয়ে এরোপ্লেন বানাতাম, কাগজ দিয়ে ঘড়ি বানানো তালপাতা দিয়ে বাঁশি বানাতাম আরো কত কি। আপনি সম্পান নিয়ে অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন এত সুন্দর করে পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আপু আমি তো গ্রামে খুব কমই গেছি তাই জন্য এই সাম্পান এর সাথে আমি একেবারেই পরিচিত নই!
তবে আমার কাছে ব্যাপারটি অনেক বেশি ইউনিক লেগেছে কারণ শহরের অনেক নামিদামি খেলার চেয়ে গ্রামের এসব কে আমি অনেক বেশি উপভোগ করি আর ভালোও লাগে। সত্যি বলছি!
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আপনার ভাতিজাদের কাছ থেকে গ্রামের শেষ দিনে এরকম সুন্দর উপহার সত্যি মনে রাখার মত। আর বিষয়গুলো আমাদেরকে সব সময় ছোট বেলার আনন্দঘন মুহূর্ত গুলোর কথা মনে করিয়ে দেয় যেমনটি আপনি বললেন। সেই দিনগুলি সত্যিই অনেক অনেক আনন্দের ছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।