আমরা সবাই জানেন কিছুদিন আগে আমি বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম। আর আমি বিয়ে বাড়ির বেশ কিছু মুহূর্ত আলাদা করে ভাগাভাগি করে নিয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। এর আগেও বেশ কয়েকবার শেয়ার করা হয়ে গেছে। তো আজকে আমি শেয়ার করব বিয়ে বাড়ির খাওয়া দাওয়া সম্পর্কে। আসলে বিয়েবাড়ি মানে ভুরিভোজ। অনেক খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন থাকে যেগুলো আমরা খুবই ইনজয় করি এবং খুব মজা করে খাই।

আমি বিয়ের মূলত দুই দিন আগে গিয়েছিলাম। যেহেতু আমার খুবই কাছে আত্মীয় তাই খুব জোরাজোরি করছিল। তাই আপনাদের ভাইয়াকে রেখে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম। তো সেখানে গিয়ে বেশ খাওয়া দাওয়ার আয়োজন চলছিল নাচাগানা আর সব মিলে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় গুলো বেশ ভালো কাটছিল। তো তো বিয়ের দিনের রান্না বাড়ির আয়োজন বাসার সামনে বড় একটা জায়গায় চলছিল আমি বেশ কিছু ছবি সেখানকার তুলেছিলাম। যেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি এখন।

প্রথমে আপনারা যে লোক দুজনকে দেখতে পাচ্ছেন এনারা হলেন বড় মাপের রাঁধুনি। এনারা বড় বড় বিয়ে বাড়ি অনুষ্ঠান বাড়িতে রান্নার আয়োজন করে থাকেন। তো তাদেরকে টাকা দিয়ে আনা হয়েছিল বেশ দূরে থেকে কারণ আয়োজনটা একটু ভালোভাবে করতে চাইছিলেন আমার আপু এজন্য।

এগুলো হলো রোস্ট যা আমরা সবাই চিনি। আর বিয়ে বাড়িতে রোস্ট থাকবে না এটা তো হতেই পারেনা। তবে রোস্টটা বেশি কড়া করে ভাজা হয়েছিল যার কারণে খেতেও খুব টেস্টি হয়েছিল।

এগুলো হলো খাসির মাংস আমার আপুর শশুরের অনেক বড় একটি খামার আছে সেখানকার ছাগলের মাংস। আর মাংসটা খেতে খুবই টেস্টি হয়েছিল কারণ মাংসটা যখন আমরা খেয়েছিলাম তখন মাখা মাখা ছিলো কোনো ঝোল ছিলো না ভাজা ভাজা ছিল যা খেতে খুবই ভালো লেগেছে।

এরপর সাথে আরো খাবার ছিল সাদা পোলাও ছিল, বুটের ডাল,ডিম ছিল, সালাদ এবং সবথেকে যেটা ভালো লেগেছিল সেটা হচ্ছে টিকিয়া। আর এটা চিকেন টিকিয়া ছিল যা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আমি বেশ কয়েকটি খেয়ে ফেলেছিলাম। এরপর ছিলো বড় বড় রসগোল্লা আর শেষ পাতে দই।

খাওয়া-দাওয়ার সবশেষে ছিল পানের খিলি। আর আমার পান খেতে যেহেতু খুবই ভালো লাগে তাই আমি খাওয়া দাওয়া শেষে দুই তিন খিলি পান খেয়ে নিয়েছিলাম।

তো বন্ধুরা আজকে এই ছিল আয়োজন। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং সুরক্ষিত থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।