রেসিপিঃ পেঁয়াজ এবং রসুনের মজাদার ভর্তা
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি লাগে স্বাগতম। প্রতিনিয়ত মাছ-মাংস খেতে খেতে একদম অরুচি হয়ে গেছে। যদিও মাছ মাংস খেতে খুব একটা পছন্দ করি না কিন্তু বাসার অন্যান্যদের জন্য রান্না করতেই হয়। তাই সেগুলো খেতে ইচ্ছা না করলেও খেতেই হয় কারণ বাবুকে নিয়ে বিভিন্ন পদের রান্না করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না।কিন্তু গতকাল রাতে আমার কাছে কেন জানি না খুব ঝাল ঝাল কিছু খেতে ইচ্ছে করছিল। তাই ভাবলাম পেঁয়াজ এবং রসুন ভেজে মজাদার একটি ভর্তা তৈরি করব। যেই ভাবা সেই কাজ। তাই ঝটপট করে বানিয়ে ফেললাম মজাদার পেঁয়াজ রসুনের ভর্তা। এই ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে। আশা করছি রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
উপকরণ |
---|
পেঁয়াজ |
রসুন |
কাঁচামরিচ |
হলুদ গুঁড়া |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে পেঁয়াজগুলোর খোসা ছাড়িয়ে হালকা মোটা করে কেটে নিতে হবে এবং রসুনের কোয়া গুলো বেছে নিতে হবে।রসুনের খোসা ছাড়ানোর দরকার নেই বা চাইলে খোসা ছাড়াতেও পারেন।
ধাপ-২
এবার কেটে রাখা পেঁয়াজ রসুন এবং কাঁচামরিচ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৩
বসিয়ে পেঁয়াজ এবং রসুনগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে হালকা একটু তেল দিয়ে হলুদ গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে ভাজতে হবে।
ধাপ-৫
ভাজতে ভাজতে যখন কিছুটা পোড়া পোড়া হয়ে যাবে তখন আমি এটা নামিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার ভেজে রাখা উপকরণগুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে আমি শিল পাটায় বেটে ভর্তা বানিয়ে নিয়েছি। আপনারা চাইলে ব্লেন্ডারেও ভর্তা বানিয়ে নিতে পারেন।
❤️পরিবেশন❤️
ভর্তা বানানো হয়ে গেলে আমি একটি ছোট প্লেটে নিয়ে উপরে কাঁচামরিচ দিয়ে হালকা ডেকোরেশন করে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করেছি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের রেসিপি। আশা করছি রেসিপিটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে। অনেক সময় জ্বর হলে আমাদের মুখের রুচি নষ্ট হয়ে যায়। তখন এমন ঝাল ঝাল ভর্তা খেলে খুব সহজে মুখে রুচি চলে আসে। আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন রেসিপি বা অন্য কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
আপু আপনি খুব চমৎকার একটি ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পেঁয়াজ এবং রসুন এভাবে যদি ভর্তা করে খাওয়া যায় তাহলে খুবই দারুণ লাগে। মাঝে মাঝে কোন তরকার দিয়ে যদি ভাত খেতে ইচ্ছে না করে তখন এগুলো দিয়ে খাওয়া হয়ে থাকে। খুবই চমৎকার এবং সুস্বাদু একটি ভর্তা রেসিপি।
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
মাঝে মাঝে বোধ হয় এমন ঝাল খাবার ক্রেভিং সবারই হয়। আমার তেমন ক্রেভিং হলে আমি পেয়াজ-শুকনো মরিচের ভর্তাটা করি। এভাবে করা হয় নি বাসায়। এরপর যেদিন ঝাল ঝাল খেতে ইচ্ছে করবে আপনার আজকের রেসিপিটা ট্রায় করবো আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই রেসিপিটি আমাদের সবার সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু সময় পেলে অবশ্যই এই ভর্তাটা বানিয়ে খেয়ে দেখবেন। আমার বিশ্বাস আপনার খুবই পছন্দ হবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
ভর্তা আলাদা একটা লোভনীয় খাবার। আমার বেশ পছন্দের খাবার। তবে এইরকম ভাবে পেঁয়াজ এবং রসুন ভর্তা আমি কখনো খাইনি। আপনার ভর্তা তৈরি করার পদ্ধতি টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমি একদিন তৈরি করব এই ভর্তাটা। ভর্তাটা চমৎকার তৈরি করেছেন আপু। বেশ লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে ভর্তার সুস্বাদু এবং লোভনীয় রেসিপি টা শেয়ার করৃ নেওয়ার জন্য।।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এরকম রেসিপি আমি কখনোই দেখিনি। আর খাওয়া তো অনেক দূরের কথা। আজকে প্রথম আপনার কাছ থেকে এরকম একটি রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারলাম। খুবই সুন্দর দেখা যাচ্ছে এই রেসিপি। আশা করি অনেক সুস্বাদু হয়েছে৷ আর আপনি যেভাবে এই রেসিপি তৈরি করেছেন আমিও চেষ্টা করব এরকম ভাবে এরকম একটি ভর্তা রেসিপি তৈরি করার জন্য৷
এই ভর্তাটি আমার বাসায় মাঝেমধ্যে বানানো হয়। খেতে খুবই সুস্বাদু হয় ভাইয়া। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
যে কোন ভর্তা আমার খুব প্রিয় কিন্তুু এই রসুন ভর্তাটি আমার খুব বেশি প্রিয়।আমার মুখের রুচি কোন কারনে একটু কমে গেলেই আমি এই ভর্তা বানিয়ে শুধু এই ভর্তা দিয়েই ভাত খাই।ঠিক বলেছেন আপনি মাছ মাংস খেয়ে মুখের রুচি একদম থাকে না মন চায় অন্য কিছু খেতে। ভর্তাটি খুব সুন্দর হয়েছে। ভর্তা করার প্রতিটি ধাপ অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ
আমার কাছেও এই ভর্তাটি খেতে খুবই ভালো লাগে। মাঝেমধ্যেই বাসায় বানিয়ে খেয়ে ফেলি। ধন্যবাদ আপু আপনাকেও সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
পেঁয়াজ এবং রসুনের মজাদার ভর্তা কখনো খাইনি। সম্পুর্ন নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। ভর্তা খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম বাসায় তৈরি করে খাবো। ভালো লাগলো নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া রেসিপি পোস্টটি দেখে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু প্রতিদিন মাছ-মাংসের সব খেতে কারোরই ভালো লাগেনা।আপু পেয়াজ আর রসুন দিয়ে যে, এত সুন্দর করে ভর্তা রেসিপি তৈরি করা যায় এটা আগে জানতাম না। খুবই সুন্দর ভাবে রেসিপিটি রন্ধন প্রক্রিয়া আমাদের সাথে সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া মাছ মাংস খেতে একদমই ভালো লাগেনা। আর প্রতিদিন খেতে খেতে একঘেয়েমি চলে আসে। তাইতো মাঝেমধ্যে এমন ঝালঝাল ভর্তা হলে মন্দ হয় না। যাই হোক অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
ঠিকই বলেছেন মাঝে মাঝে মাছ মাংস খেতে খেতে আসলেই একঘেয়েমি চলে আসে । তখন এ ধরনের ভর্তা হলে মন্দ হয় না । আপনার ভর্তা রেসিপিটি দেখে তো আমার এখনই ভাত খেতে মন চাইছে । নতুন একটি ভর্তা রেসিপি শিখলাম । এই ভর্তাটি কখনো করিনি আমি তবে খেতে মনে হচ্ছে অসাধারন টেস্ট লাগার কথা ।
হ্যাঁ আপু এই ভর্তার টেস্ট অসাধারণ। একবার বানিয়ে খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এত মজাদার একটি ভর্তা রেসিপি শেয়ার করলেন আপু। এই ধরনের ভর্তা রেসিপি দেখলে সত্যি খেতে খুব মন চাই। আপনি যেহেতু পেঁয়াজ এবং রসুনের মজাদার ভর্তা তৈরি করলেন। তাছাড়া ঝাল একটু বাড়িয়ে দিলেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার ভর্তা রেসিপিটি দেখে। আপনার রেসিপি দেখে তৈরি করে খেয়ে দেখতে হবে একদিন।
আমার কাছে যে কোন ভর্তায় একটু ঝাল বেশি হলে সেটা ভালো লাগে খেতে। সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।